Multi-Nickosis একটি ব্লগিয় “বিমার” (স্যাটায়ার)

এনামুল হক
Published : 14 Sept 2012, 02:44 PM
Updated : 14 Sept 2012, 02:44 PM

Multi-Nickosis: মাল্টিনিকোসিস একটি ব্লগিয় ভাইরাসজনিত রোগ। ইন্টারনেট দুনিয়ায় ব্লগিং শুরু হওয়ার পর থেকেই এই রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পরে সারা পৃথিবী জুড়ে। লক্ষ ডলার খরছ করে লোকজন নিজের জেন্ডার পরিবর্তন ট্রানসজেন্ডার করে কিন্তু ব্লগিয় জীবনে এই ভাইরাসের প্রভাবে একদম বিনামূল্যে শুধু লিঙ্গ পরিবর্তনই নয় এমনকি একাধিক লিঙ্গেরও অধিকারী হওয়া যায়, এমনকি হিজড়াও হওয়া ।

প্রকারভেদঃ দুই ধরনের মাল্টিনিকোসিস রোগী দেখা যায়। প্রথম ধরনের রোগীরা একাধিক নিক ব্যবহার করে শুধুমাত্র নিজের পোস্টে কমেন্টের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য। কেউ তাদের পোস্ট পড়ে না, বা কম পড়ে এতে আত্মসম্মানে খুব আঘাত লাগে। একাধিক নিক তৈরীর মাধ্যমে তারা নিজের পোস্টে মন্তব্যের সংখ্যা বাড়াতে পারে। দ্বিতীয় ধরনের রোগী, যারা অন্যকে আক্রমন করার জন্যই শুধুমাত্র একাধিক নিক তৈরী করে থাকেন। মূল নিক থেকে এক ভালো কমেন্ট করে নিজের তৈরী ভূয়া নিক থেকে ইচ্ছে মতো গালাগালাজ করা যায়।

উপসর্গঃ নিজের পোস্টে কেউ মন্তব্য করছে না দেখে যখন খারাপ লাগবে এবং সাথে সাথে একাধিক ভূয়া নিক তৈরী করে সেই পোস্ট সর্বাধিক মন্তব্যের পোস্টে উন্নীত করার মনোভাব এবং কারোও সাথে মতের মিল না হলে একাধিক ভূয়া নিক থেকে সে ব্যক্তিকে আক্রমন।

কারণঃ এই রোগ ব্লগিয় ভাইরাস Mentalicoli এর আক্রমনে হয়ে থাকে। Multi-Nickosis প্রথম নিকারোগুয়ায় সন্ধান পাওয়া যায়, সেখানে এক ব্যক্তির ১মিলিয়ন নিক উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তিনি একটি মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসাধিন।

রোগ নির্নয়ঃ আক্রান্ত ব্যক্তির সয়াহতা ছাড়া এই রোগ নির্নয় করা খুব কঠিন। তবে ব্লগিয় বাতাসে নিয়মিত পর্যবেক্ষণ রাখলে অসংখ্য Multi-Nickosis রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়।

চিকিৎসাঃ ব্লগা-মাইসিন ৫০০মি,গ্রাম ইঞ্জেকশন একটি প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবহৃত হয়ে আসছে, যা একটি ব্লগিয় ঝাড়ু প্রচলিত নাম পরিচিত । কিন্তু তা শুধুমাত্র সাময়িক কিছুক্ষেত্রে কার্যকারী। ব্লগেক-টমি বা ব্যান একটি কার্যকারী সার্জিক্যাল চিকিৎসা পদ্ধতি যা শুধুমাত্র দক্ষ সঞ্চালক দ্বারাই সম্ভব, এটি ব্লগিয়-এম্পুটেশন নামেও পরিচিত । তাতেও কাজ না হলে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন কোনো দ্বীপে রোগীকে প্রেরণ করে ৬মাসকালীন অবস্থান নিশ্চিত করতে পারলে স্থায়ী চিকিৎসা নিশ্চিত করা যায় (বিতর্কিত পদ্ধতি)।

টিকাঃ ইহা একটি রস রচনা- বাস্তবিক এমন কোনো রোগ নেই।
তথ্যসূত্রঃ হেমায়েতপুর