বিশ্ববিদ্যালয়ে নারী হয়রানি: আওয়ামী লীগের ভেতরে ঘাপটি মেরে আছে ’আজামায়াতী লীগ’

হাবিব
Published : 18 April 2015, 08:49 PM
Updated : 18 April 2015, 08:49 PM

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নারী নির্যাতন প্রসংগ : বাংলাদেশে বা পৃথিবীর প্রায় সব স্থানেই দুটি দলের নেতা কর্মীরা যথেষ্ট পড়াশোনা করেই রাজনীতি করে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বামপন্থী বলে খ্যাত দলগুলোর প্রধান এবং অঙ্গসংগঠনের নেতা কর্মী সমর্থকরা, অন্যদিকে মৌলবাদ বলে খ্যাত জামায়াত শিবিরের নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা। প্রগতিশীল চিন্তাভাবনার জন্য খ্যাত, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র মৈত্রী বা এরকম সমমনা দলগুলোর নেতা কর্মীরা। তারা মার্কস লেলিন সহ এরকম বহু তাত্বিক বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করে, তারা মানুষ, মানবতা, সৃষ্টি, সমাজব্যবস্থা নিয়ে চিন্তা করে এবং ধর্মনিরপেক্ষ শোষনহীন একটি সমাজ গঠনের কথা চিন্তা করে। অপ সংস্কৃতি দুর করতে এবং সৃষ্টিশীল সবরকম পদক্ষেপের সাথে জড়িত থাকে বাম জাতীয় ছাত্র সংগঠনের নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা। প্রচন্ড জেন্ডার সংবেদনশীল দলের সব পর্যায়ের নেতা কর্মীরা। কোন নারী কর্মীকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখার মত কোন মানসিকতা তৈরী হয় না তাদের মধ্যে।

কোন অশালীন মন্তব্য তো দুরের কথা, নারীর সম্ভ্রম রক্ষার জন্য যা যা করা দরকার সবটুকুই তারা করে। খুব বিস্ময়ের বিষয় না হলেও-এটাই সত্যি যে, কোন সাংগঠনিক সফরে বা দলীয় কোন কাজ কর্মে নারী পুরুষ শিক্ষার্থী পাশাপাশি বসে থাকলে বা শুয়ে থাকলেও, পরস্পর পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই চলে সবাই। এক সিংগাড়া ৪ ভাগ করে, অথবা এককাপ চা ৩ ভাগ করে খেতে কোন আপত্তি থাকেনা কারো। এমনকি কোন অভুক্ত নজরে আসলে নিজের খাবারের ভাগ সেই অভুক্তের কপালেও জোটে। সংগঠনের প্রথম কথাই হলো, আগে মানুষ হও। মানবতা, শালীনতা রক্ষার জন্য, শোষনহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য, অধিকার আদায়ের জন্য সব সময়ই ভদ্র প্রতিবাদ বা আন্দোলন বলতে যা বোঝায়, তার সব টুকুই অর্জন করে এসব সংগঠনের শিক্ষার্থী নেতা কর্মীরা।
অন্যদিকে ছাত্র শিবির বা সমমনা দলগুলোর শিক্ষার্থী নেতা কর্মী, সমর্থকরাও অনেক পড়াশোনা করে। তবে তারা কোন দার্শনিক মতবাদকে গুরুত্ব দেয় না। শুধুমাত্র ইসলাম ধর্ম এবং এর পারিপার্শিকতার জন্য যতরকম বই বড়তে হয়, তারা তা পড়ে-এটা সত্য। সকল ধর্মের মানুষের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ ও হেফাজতের কথা কোরআন শরীফে থাকলেও তারা এ বিষয়টা অনেকটাই এড়িয়ে চলে। যখন কোন খারাপ দৃশ্য বা খারাপ কিছু নজরে আসে, তখন মুসলমান মাত্রই নাউজুবিল্লাহ এবং ভালো কিছুর জন্য আল হাম দু লিল্লাহ পাঠ করেন। প্রসংগত বলতেই হয় যে, ইসলাম ধর্ম ব্যতীত অন্য ধর্মের কেউ যত মানবিক গুনাবলীর সমৃদ্ধ হউক-এমন কেউ মারা গেলে নাউযুবিল্লাহ পড়ে বা পড়তে হয়। তাই এখানে সমতা এবং শ্রদ্ধাবোধের জায়গাটুকু দ্বিধাবিভক্ত। তারা সেই ছাত্র রাজনীতিকাল অবস্থা থেকেই নারীর ঘরের কেউ, এমন চিন্তাভাবনা নিয়েই তারা রাজনীতির কর্মকান্ড পরিচালিত করে। তারপরেও জামায়াত বা শিবিরের নারী কর্মী নেই এটা ঠিক নয়, তবে নারী কর্মী অতি পর্দার সাথে রাজনীতির একটা অংশের দায়িত্ব পালন করলেও তারা জনসম্মুখে আসার কোন অধিকার রাখে না। শিবির জামায়াতের শিক্ষার্থী সংগঠন বা অঙ্গ সংগঠন। এ কারনে জামায়াতের সকল এজেন্ডা তারা বাস্তবায়ন করে।

ইসলামি রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনায় তারা বিভিন্ন কায়দায় মানুষকে সম্মোহীত করে, অনেকেই পা বাড়ায় ধ্বংসের বা হত্যার রাজনীতির মধ্যে। গত পহেলা বৈশাখের দিন প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলে খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় যুগ যুগ ধরে নারী পুরুষ বৈশাখ উৎসব উদযাপন করে। এরকম জনসমাগমে নারীদের অংশগ্রহণ সম্পূর্ন নিষেধ বলেই জামায়াত আর শিবিরের রাজনীতির একটা মূলনীতি। নারীর অংশ গ্রহণ ঠেকাতেই সুপরিকল্পিতভাবে জামায়াত শিবিরের কুট চক্র এমন শ্লিলতাহানীর ঘটনা ঘটিয়েছে, এটা চরম সত্য। অনেকেই আমার মতামতের সাথে ভিন্নমত পোষন করলেও, অনেকেই জানেন যে, রাজনৈতিক অবৈধ সুবিধা লাভের আশায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের অধিকাংশ পরিবারের সদস্যরা কেউ আওয়ামীলীগ বা অঙ্গ সংগঠন, একই পরিবারের আবার কেউ বিএনপি বা অঙ্গ সংগঠন, ওই পরিবারেরই কেউ আবার জামায়াত বা অঙ্গ সংগঠনের সাথে জড়িত থাকে।

এসব পরিবারগুলো দেখলে মনে হবে, একই পরিবারে অনেকগুলো মত বা ভিন্ন ভিন্ন আদর্শের লোক রয়েছে। কিন্তু এটা বড়ই সত্য যে, যে পরিবারের কেউ জামায়াত বা শিবির করে, সেই পরিবারের অন্য সদস্যরা আওয়ামীলীগ বা বিএনপি বা অন্য কোন দলের মতাদর্শী হলেও, তাদের মানসিকতাও জামায়াত শিবিরের রাজনীতির অনুরুপ। কারন যে লোকটি বা শিক্ষার্থীটি জামায়াত বা শিবির করে, সে পরিবারের ভিন্ন মতাবলম্বীদের আয়ত্বে রাখার ক্ষমতা রাখে। অপ্রিয় হলেও সত্য যে, ছাত্রলীগ বা ছাত্রদল করতে আলাদাভাবে কোন পড়াশোনার প্রয়োজন হয় না। তাই ছাত্রদল বা ছাত্রলীগ যখন টেন্ডার ভাগাভাগি, ক্ষমতায় আসা, খুন, রাহাজানি বা অর্থ উপার্জনের জন্য পেশিশক্তির লড়াই করে, তখন জামায়াত শিবিরের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা তাদের আদর্শে এবং নিজস্ব কৌশলে রাজনীতির স্তম্ভ শক্ত করতে থাকে। তারা গ্রামে, শহরে সব স্থানেই ধর্মের মত স্পর্শকাতর বিষয়ে মানুষকে সম্মোহিত করে দল বৃদ্ধির কার্যকলাপে ব্যস্ত থাকে। ছাত্রলীগ, ছাত্রদলের অনেক বদনাম থাকলেও, শিবির কর্মীদের আর্থিক বদনাম খুব একটা নাই বললেই চলে।

তারা সুদুর প্রসারী চিন্তা করেই এগিয়ে যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনাটি একেবারে পরিষ্কার যে, ভবিষ্যতে এরকম আয়োজনে নারীদের অংশগ্রহন ঠেকাতেই জামায়াত বা শিবিরের একটি অপকৌশল। ছবিতে, ভিডিও ফুটেজে শ্লীলতাহানীকারীরা ছাত্রলীগ কর্মী বা সমর্থক বলে মন্তব্য অনেকেই মন্তব্য করেছেন। এমন মন্তব্য সঠিক হলেও, যে ছাত্রলীগ কর্মীটি এ কাজে অংশ নিয়েছে, তার খোজ নিয়ে দেখা যাবে যে, সে হয়তো জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত কোন পরিবারের ছেলে, যে এখন ছাত্রলীগে ঢুকে পড়েছে। শিবিরের রাজনীতি যে শুধু শিবিরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ, তা অবশ্যই নয়, জামায়াত শিবির আওয়ামীলীগ, বিএনপি সহ বিভিন্ন সংগঠনে ঢুকে, এমনকি সেখানে সামনের সারীর নেতার পদ দখল করেও, সে জামায়াত শিবিরের কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে।

প্রগতিশীল আওয়ামীলীগ সরকার, সারা দেশে স্থানীয় সাংসদদের মাধ্যমে, জেলা, উপজেলা ইউনিয়ন বা ওয়ার্ড কমিটি গঠনের সময় সেভাবে যাচাই বাছাই প্রকিয়া করেননি। কিছু অসাধু নেতা জামায়াত-শিবিরকে নিজ দলে ঠাই দিয়ে দলের বারোটা বাজিয়েছেন। আমার জানামতে, এমন অনেক পরিবার আছে, যে পরিবারের অধিকাংশ সদস্য জামায়াত-শিবির বা তাদের মদদপুষ্ট রাজনৈতিক দলের সক্রীয় সদস্য, আর সেই পরিবারের একজন প্রগতিশীল রাজনীতিতে ঢুকে, দলের সভাপতি, সাধারন সম্পাদক বা এরুপ গুরুত্বপূর্ন পদে রয়েছে। জামায়াত-শিবির সমর্থিত কোন পরিবারের সদস্য নিজেকে যতই প্রগতিশীল বলে দাবি করুক, তার অন্তরে জামায়াত-শিবিরের বীজ বপন করা রয়েছে। সুবিধাবাদী কিছু অপরাজনৈতিক নেতার এমন ভুলের কারনে, পদে পদে স্বাধীনতার স্বপক্ষের দল বলে বিবেচিত আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংঠনের নেতা কর্মীরা বারবারই সমালোচিত হচ্ছেন। তাই সময় থাকতেই নিজ দলকে মৌলবাদ মুক্ত করার অভিযান শুরু করা দরকার। নইলে আগামীতে আরো ভয়াবহ কিছু দেখতে হবে বাংলাদেশের মানুষকে। এখনই কথা উঠছে, জামায়াত-শিবির, জঙ্গীবাদ, মৌলবাদ এবং টেরোরিস্টদের ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মীরাই আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছেন।

২০০৫ সালে সারা দেশে একযোগে বোমা হামলার পরে, সে সকল জঙ্গী সন্ত্রাসী ধরা পড়েছিল, এসবের বৃহত্তম একটি অংশকেই আওয়ামীলীগ বা প্রগতিশীল রাজনৈতিক সমর্থিত আইনজীবিরাই জামিন করার সব ব্যবস্থা করেছিল। ঠিক এ কারনেই পুলিশ বা আইন শৃঙ্খলা বাহীনি অনেকটাই শিথিল হয়ে পড়ে। নইলে সে সময়ই বাংলাদেশ থেকে মৌলবাদী সংগঠন উৎখাত হয়ে যেতো। জেলায় জেলায় বা উপজেলা ইউনিয়নে খোজ করলেই এমন কথার সত্যতা পাওয়া যাবে। আমি কিছু নাম লিখতে পারতাম, কিন্তু বিষয়টাকে কেউ কেউ হয়তো অসৎ উদ্দেশ্য বা মানহানীকর বলে মনে করতে পারেন। সংবাদ মাধ্যমের অধিকাংশই এসব মৌলবাদ আর জঙ্গীবাদের আশ্রয়দাতা। ২০০৫ সালের পরে সকল পত্রিকার পাতা খুললেই দেখা যাবে যে, কিছু কিছু পত্রিকা জঙ্গীদের দ্বারা কোন নাশকতার পরে নেহায়াত বাধ্য হয়ে সে সংবাদ পরিবেশন করে। দেশব্যাপী হাজারো সাংবাদিক আছে, যারা এসব মৌলবাদ, জঙ্গীবাদের কার্যক্রম, তাদের অপকৌশল, রাজনীতি, অর্থযোগানদাতা এমন কি প্রশিক্ষনের অনেক খবর পত্রিকা অফিসে পাঠালেও তারা ছাপায় না। এই ক্ষেত্রে ওইসব মিডিয়া সরকারের সাথে মিলে থেকে, সরকারকে তোষামদি করে, নিজেদের প্রগতিশীল হিসেবে দাবি করেও তারা জঙ্গীদের ও মৌলবাদীদের আশ্রয় ও প্রশয় দাতা। তারা আগাম কোন সংবাদ পরিবেশন না করে সরকারকে কৌশলে বেকায়দায় ফেলতে চায়, এবং তাদের মনের ভেতরের মৌলবাদী অপরাজনীতি লালন করে। বারবারই বলে আসছি, জঙ্গী কোথায় খোজহ করেন-জামায়াত-শিবির সমৃদ্ধ পরিবারের যারা আওয়ামী রাজনীতিতে ঢুকে পড়েছে, তাদেরই বলুন, কোথায় আছে জঙ্গী আর উগ্রবাদীরা, উত্তর তাদের কাছেই আছে।

আমার দেশের সম্পাদক মাহামুদুর রহমান কোন কালেই সাংবাদিক না হয়েও নিজেকে রক্ষা করতেই সংবাদপত্রের সাথে জড়িয়েছেন। এরকম অনেক মাহামুদুর রহমান এখন পত্রিকার সম্পাদক, উপ সম্পাদক বা মিডিয়ার উচ্চ আসনে বসে আছে। তাদেরকেই ধরতে হবে, মৌলবাদের অর্থদাতা কোথায়, জঙ্গীরা চোখের সামনেই ঘটনা ঘটায় কিভাবে ? খামোখা পুলিশকে গালিগালাজ বা দোষ দিয়ে লাভ নাই-কারন পুলিশ বেচারারা সন্ত্রাসী ধরলেও বিপদ, না ধরলেও বিপদ। ধরলে, কোন মন্ত্রী, এমপি বা পত্রিকার সম্পাদকের রোষানলে পড়তে হবে, না ধরলে সরকারের রোষানলে পড়তে হবে। তাই মাঝামাঝি থাকার জন্য পুলিশের সুন্দর কৌশল হলো, জঙ্গী, মৌলবাদ বা কোন সন্ত্রাসীকে ধরতে যাবার সময় সাইরেন বাজিয়ে ওই এলাকায় দ্রুত পৌছায়। এতে করে সন্ত্রাসীও পালায় আর পুলিশই দৌড়ানি দিয়ে বাহবা নেয়। এতেই পুলিশের দুই তরফা রক্ষা হয়ে গেলো।

সম্প্রতি সিরাজগঞ্জে যে ৫ জন জঙ্গীকে র‌্যাব আটক করেছে, তাদের মধ্যে জঙ্গী সংগঠনের একজন এহসার সদস্যের জন্য আওয়ামীলীগের একজন সংসদ সদস্য সহ অনেক আওয়ামীলীগার লিখিতভাবে সুপারিশ করেছে। তাই দায়িত্বশীলদের প্রতি অনুরোধ আওয়ামীলীগ থেকে আজামায়াতীলীগ বিভাজন করার উদ্যোগ নিন, এদেশে আর সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটবে না। মিডিয়ার ধারক বাহকদের থিসিস করুন, ছুড়ে দিন ডাস্টবিনে, আইন মানতে বাধ্য করুন-দেশে কোন সময়ের জন্যই জঙ্গীবাদের উত্থান হতে পারবে না। আর দায়িত্বশীলরাই যদি আজামায়াতীলীগ প্রতিপালন করেন, তবে খামোখা কাদাছোড়াছুড়ি করে কি লাভ ? দেশকে বাচাতে হলে মৌলবাদ উত্থান ঠেকাতে হবে, আজামায়াতীলীগ বেছে ছুড়ে ফেলতে হবে। পুলিশকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে, বিচারকদের স্বাধীনতা দিতে হবে, সকল মিডিয়াতেই প্রগতিশীলদের বসাতে হবে, অপসাংবাদিকতা, অপ সম্পাদকদের বের করে দিতে হবে, আমলাদের বাছাই করা খুব জরুরি। কারন গত কয়েকদিন আগে কয়েকজন সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছে, তার মধ্যে একজনকে আমি কঠিনভাবে চিনি। এখনো আমার হাতে এই লোকের দুর্নীতির অনেক দলিল রয়েছে। সংবাদ করেও কোন লাভ হয়নি, বরং প্রমোশন হলো। আমরা যারা প্রগতিশীল ধারায় বিশ্বাস করি, তারা বড়ই মনোকষ্ট পাচ্ছি, মৌলবাদীদের মদদদাতারাই হলেন, সরকারের ভেতরে থাকা লোকজন আর কিছু সংবাদ মাধ্যম।