আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ইন্ডিয়ার সম্পর্কে আমাদের অনেকের যা ধারনা টিভি, মিডিয়া,হিন্দি ফিল্ম, নাটক ইত্যাদির মাধ্যমে, আসলে তার বাস্তবতা পুরোটাই উল্টো।ইন্ডিয়ার বাস্তবতা সম্পর্কে আজকের বিষয়- ধর্ষণ।
ইন্ডিয়া যে দেশ কে আমরা অনেকে নতুন আধুনিক, সভ্য ও আবার অনেকে
একে মডেল দেশ হিসেবে দেখি।কিন্তু বাস্তবে দেখা যায় ইন্দিয়া একটি দারিদ্র, বিভিন্ন অপরাধ, দুর্নীতি, নারীর প্রতি বৈষম্য,ধর্মীয় বৈষম্য, যৌতুক প্রথা ইত্যাদি সহ নানান কুসংস্কারে লিপ্ত একটি দেশ।
ইন্দিয়ায় ২০১১ সালে ২২,১৭২টা ধর্ষণের মামলা হয়েছিল। মানে ইন্দিয়ায় প্রত্যেক দিনে ৬০ টি, প্রত্যেক ঘণ্টায় ২.৫, মানে প্রত্যেক ২৫ মিনিটে একটি করে ধর্ষণ সংগঠিত হয়েছিল। ধর্ষণের পরিমান সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায় ৭৩৪%, ১৯৭১ সালে আর তার পর থেকে প্রত্যেক বছর ধর্ষণের মামলার পরিমান বৃদ্ধি পাচ্ছে।
যদিও দেখা যায় ৪০% এর চেয়েরও কম ধর্ষণের জন্য মামলা করা হয়,
বেশির ভাগের ক্ষেত্রে ধর্ষণ কারী কোন আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশী বা পরিচিত কেউ হয়ে থাকে বলে আথবা ধর্ষণকারী ধর্ষিতাকে বা তার পরিবার কে ভয় দেখানোর কারনে প্রায় ৬০% ধর্ষণের মামলা করা হয়না।যদিও প্রকৃত ধর্ষণের পরিমান লক্ষাধিক হতে পারে।
২২,১৭২ টা মামলার মধ্যে মাত্র ৭০ % ধর্ষণ কারী কোনো শাস্তি পায় না।উল্লেখ্য যে ইন্ডিয়ায় প্রত্যেক ৭৫১ লোকের জন্য বরাদ্দ ১ জন মাত্র পুলিশ। যেখানে ৪০০ জনের জন্য ১ জন পুলিশ প্রয়োজন ছিল।এ থেকেই বুঝা যাই পুলিশের কতটি ধর্ষণের মামলা ও তার বিচার করার সামর্থ্য রয়েছে।
ভারতে প্রতি ৪ টি ধর্ষণের মধ্যে ১ হয়ে থাকে দিল্লিতে। গত ৪০ বছরে ভারতে ৭৯২% ধর্ষণের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৭৩ সালে ধর্ষণের মামলার সংখ্যা ছিল ২৯১৯ এবং ২০১০ এ এর পরিমান দারায় ২০,২৬২।
২০০৯ সালে ৮৯,৫৪৬ স্ত্রী স্বামী ও তার পরিবারের হাতে নির্যাতিত হয়েছে,যৌতুকের কারনে মৃত্যু হয়েছে ৮,৩৮৩ জনের, ২৫,৭৪১ জন নারী অপহরণ হয়েছিল,৩২১ জন নারী একাধিক বার ধর্ষিত হয়েছিল।
আপনারা উপরের পোস্টে নিশ্চয় দেখেছেন ইন্ডিয়ায় নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যা বেশি, এটি নিয়ে নিয়ে ইন্দিয়ার বাস্তবতার অন্য কোনো পর্বে আলোচনা করবো। ইন্ডিয়ার বাস্তবতা নিয়ে আমার পূর্বের পোস্ট গুলো-
সূত্রঃ http://www.thehindu.com/news/national/article2982508.ece?homepage=true
http://www.cinecynic.com/2011/11/crime-in-india-2010/
যদি ভাল লেগে থাকে তবে মন্তব্য করুন।