০১
দুপুর ৩টার দিকে ঢাকঢোলের বাজনা আর হুহা শব্দ শুনে বিরক্ত। বিশেষ কোন কারনছাড়া চট্টগ্রাম শহরের গুরুত্তপূর্ণ এ এলাকায় (আগ্রাবাদ) সাধরনত এমন আয়োজন করতে দেখি না।
শব্দ শুনে ২ টা কারন ধরে নিয়েছিলাম এমন আয়োজনের, প্রথমত হিন্দু ধর্মের বিহত্তর উৎসব দুর্গাপুজা উপক্ষে কোন শোভা যাত্রা, দ্বিতীয়ত ক্রিকেট পাগল বাঙালির ক্রিকেট উন্মাদনার কোন আয়োজন। যা হারহামেশাই দেখি।
০২
আসর নামাজ পড়তে বেরিয়েছি জামাতের সময় বাকি সামান্য এমন সময় আবারো সেই ঢাকঢোল আর নানান বাদ্য বাজনায় সুজ্জিত দল । সবার হাতে কালেমা লেখা পতাকা দেখে নিশ্চীত হলাম এটি ইসলাম ধর্মেরই কোন অনুষ্ঠান। ব্যানারের লেখায় নিশ্চৎ হলাম – #জিয়াউল_হক_মাইজবান্ডারির ওরশ উপলক্ষে শোভাযাত্রা। জিয়াউল হক মাইজবান্ডারি যে চট্টগ্রামের একজন গুনি এবং বুজর্গ অলী ছিলেন এতে কোনই সন্দেহ নেই। এবং কোন অলী কিংবা আলেম কখনই ঢাকঢোল বাজিয়ে উৎসব করার অনুমতি দিবেন্না এটাই স্বাভাবিক। কেননা এধরনের আয়োজন মানুষকে উশিৃংখল এবং বেহায়া করে তুলে এছাড়া সাধরন মানুষের কষ্টের কারন ও বটে।
সাধরন মুসলিম হয়েও বলতে পারি এমন উগ্র আচরনে ধর্মিয় উৎসব ইসলাম সমর্থন করে না। আমাদের প্রিয় নবি হযরত মুহাম্মদ (সঃ) এর জীবনি দেখলে প্রতিয়মান হয় যে ইসলাম কোন বিধর্মি কে কষ্ট দেওয়াও অনঅনুমিত। সে যায়গায় একজন অলীর নামে এমন জগন্য আয়োজন তাও আবার নামাজের সময় পর্যন্ত মসজিদের পাশেই কিভাবে হয়??
কোন যুক্তিতে হয়? যেখানে চলমান দূর্গাপুজাউপক্ষে দেখলাম প্রশ্রাশনের অনুরোধে পূজাউদযাপন কমিটি সিদ্বানতছেন রাত বারটার পর তাদের মাইক বন্দ রাখবেন। তাদের ধর্মে তো এটি অনুমিত শুধুমাত্র জনস্বার্থ বিবেচনায় এমন উদ্বেগ।
০৩
কিছুদিন আগে এক সুন্নি মুসলিম ভাই তাদের দলের দাওয়াত দিতে গিয়ে বলেই বসেন তারা নাকি কাবা শরিফের রক্ষার আন্দোলন করেছেন। সেই ভাইকে প্রশ্ন নিজের দেশকে কতটুকু রক্ষা করতে পেরেছেন আপনারা? আল্লার অলীদের প্রবিত্র নাম ব্যবহার করে সুন্নি পরিচয়ে কত বন্ড় দেশে ইসলাম তথা প্রকৃত সুন্নিয়তের অপমান করছেন তাদের হাত থেকে আগে অন্তত নিজের দেশকেতো রক্ষা করবেন!
অপর দিকে ধর্মরক্ষার নামে জঙ্গীবাদ সৃষ্টী করে ইসলামকে কুলশিত করেছে। এদুটই ধর্মিয় অন্ধতারই বহিপ্রকাশ। তাই প্রকৃত মুসলিম বিশেষ করে সুন্নি মুসলিমদের কুসংস্কার হতে বেরিয়ে সঠিক ঈমান, ইসলাম এর প্রচার করতে উদ্যোগী মনোভাব নিয়ে নিস্বার্থ এগিয়ে আসার অনুরোধ করছি।