আমরা সাংবাদিকরাও কি এই মরা ছাগলের ভাগ্যবরণ করতে চলেছি!

আমীন কাদীর
Published : 1 June 2012, 09:51 AM
Updated : 1 June 2012, 09:51 AM

গৃহপালিত একটি ছাগলকে বেঁধে রাখা হয়েছে গৃহস্থ বাড়ির আঙ্গিনায় কাঁঠাল গাছের নিচে। গাছ থেকে কাঁঠালপাতা পড়ে। ছাগলটি খায়। কাঁচা পাতা খায়। পাকা পাতা খায়। ছাগলটি সর্বভুক। কেউ কলার খোসা দিলে তাও খায়। পলিথিনও খায়।

খেয়েদেয়ে ছাগলটি নাদুসনুদুস। গা চকচকে। থুতনিতে দাড়িও ফ্রেঞ্চকাট। গৃহস্থ বাড়িতে যারা বেড়াতে আসেন ছাগলটির দাড়ি ধরে তারা টানেন। মজা করেন আর কি। ছাগল কিছু বলে না। বাড়ির ছেলেপেলেও লাথি-গুঁতা দেয়। ছাগল কিছু বলে না। রাস্তার ছিঁচড়ে ছেলেপেলেরা লাঠি দিয়ে গুঁতা দেয়। ছাগলটি ভ্যা-ও করে না। রান্নাঘরের পাচক ছুরি দেখায়। লেজে পোঁচ দেয়। ছাগল কিছু বলে না। তারপর একদিন গৃহস্থ ছাগলটিকে জবাই করে ভূরিভোজ করেন। এবারও ছাগল কিছু বলে না।

ঈশপের বাণী : মরা ছাগল কখনও প্রতিবাদ করতে পারে না। প্রতিবাদ করতে হলে মরার আগেই করতে হয়।
* আমরা সাংবাদিকরাও কি এই মরা ছাগলের ভাগ্যবরণ করতে চলেছি!