একটু কষ্ট করুন । বাম হাতের আঙুল দিয়ে আপনার নাকটা চেপে ধরুন। কিছু সময়ের জন্য নি:শ্বাস গ্রহণ এবং বর্জন বন্ধ থাকবে। নিচু হয়ে ডান হাত দিয়ে আপনার পায়ের পাতা স্পর্শ করুন। এবং একই ভাবে স্পর্শ করুন ঘরের মেঝে, ছাদ, আর দেয়াল চক্রাকারে। পুরো ব্যাপারটিতে যখনই অভ্যাস তো হতে পারবেন এবং যখন দেখবেন পূর্বের চেয়ে স্বাভাবিক ভাবে এই কাজটি করতে পারছেন, তাহলে মনে করবেন আপনার পেটের এক কোনায় পড়ে থাকা সত্য তো কথাটা এবার বলতে পারবেন । মিথ্যা থেকে মুক্তি ঘটল।
আর একটি উপায় অবস্থা আছে, প্রাথমিক সেটা একটু কঠিন মনে হতে পারে । যদিও সত্যের মত মহান বিষয়কে নিজের সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে বাধতে চাইলে এইটুকুন কষ্ট প্রকৃত পক্ষে কোনও কষ্টই না। তাহলে এবার সোজা ছাদে চলে যান। ছাদটা কমপক্ষে পাচ তলা উচ্চতা হতে শুরু করে উপরে যেকোনো উচ্চতার হতে পারে। কিনারা ঘেষে দাঁড়ান। রেলিং বিহীন ছাদ। বাতাসের দিকে মুখ করে না দাঁড়ালে হবে না। চোখ বন্ধ থাকবে, দুই হাত প্রসারিত করুন দুই দিকে। নিজেকে আপনার শূন্য স্থানে কল্পনা করতে হবে। এবং এক সময় ভাবতে হবে আপনি ভর শূন্য। তারপর ভাববেন জগত্ শূন্য, উঁচু স্থান থেকে নিচে মাটিতে পড়ে যাচ্ছেন। পড়েও গেলেন। যদি মৃতুর হয় তাহলে বুঝবেন সেটা হয়েছে আপনার ভেতরে থাকা মিথ্যার মৃত্যু। ঠিক সেই মুহূর্ত থেকেই আপনি হবেন সত্যবান, কঠোর সত্যবান।
জাতি সত্যবান মানুষ খুঁজছে। তাই জলদি নিজেকে গড়ে তুলুন। সত্যকে সমর্থন করার ক্ষমতা না থাকলে, সত্য তো দেখতে, শুনতে, বলতে ও করতে না পারলে নিজেকে এভাবেই কঠোর অনুশাসনে রেখে গড়ে তুলুন। শুধু বিবেককে একটু জাগ্রত করে মিথ্যাকে পরিহার করার সাহস সঞ্চয় করতে না পারলে উপরোক্ত উপায় অবলম্বন করা ছাড়া আর গতি কী?
আমি আপাতত দুটো উপায় বলেই ক্ষান্ত হলাম, আর শত কোটি উপায় বাকি সবাই খুজে বের করুক। তবুও তো জানব সত্য প্রতিষ্ঠিত করতে মানুষ অন্তত কিছুতো করছে। শুরুটা নাহয় ভাবনা দিয়েই হোক। পরিষ্কার, টলটলে, শুভ্র একটা সমাজের স্বপ্ন দুদিন বাদে দেখবো তার আগে চলুন নিজেকে প্রস্তুত করি স্বপ্ন দেখতে। ……তারপর হবে বাকি কাজ, এক এক করে, ক্রমানুসারে। এই দু'দিনে চলুন নির্ধারন করি কোন পথ অবলম্বন করব, কোনটা আমরা চাই। নিজ নিজ বিবেককে জাগ্রত করে সত্য মিশে যাব, নাকি…….চলতে থাকবে এইসব বাহানা আর উদ্ভট কর্মকাণ্ড !!!