জয়পুরহাটের যুদ্ধাপরাধের কাহিনী

মো: আল-আমিন রাজু
Published : 7 Dec 2011, 06:48 AM
Updated : 7 Dec 2011, 06:48 AM

জয়পুহাটে যে সকল পাকিস্তানি আর্মি গনহত্যা, নির্যতন চালায় তাদের মধ্যে কর্নেল এস এম ইকবাল, মেজর আজমল, মেজর আফজাল হোসেন এবং মেজর মোস্তফা উন্নতম।

একাত্তর সালে উপরক্ত পাকিস্তানি আর্মি ও তাদের সহকারিরা ততকালিন জয়পুরহাট মহকুমায় অত্তাচার নির্যাতন ও জাতিগত নিধনের যে স্টিম রোলার চালায়, তা যে কোন বিবেকবান মানুষকে বিস্মিত ও হতবাক না করে পারেনা। জয়পুরহাটের পাগলা দেওয়ানে পাকি সেনা ও তাদের সহযোগীরা হাজার হাজার লোককে হত্যা, সহস্রাধিক নারির সম্ভ্রমহানি এবং অসংখ বাড়িঘর ধংস করে বলে প্রত্যক্ষদরশীদের দেয়া তত্থ্যে জানা যায়। পাগল দেওয়ান ও তার আশেপাশের চরবরকত, নামুজানিধি, পাওনন্দা, খাস পাওনন্দা, ছিট পাওনন্দা, নওপাড়া, বিল্লা, রুপনারায়নপুর, জগদিশপুর, ভুটিয়াপারা, মল্লিকপুরসহ অসংখ্য গ্রাম পাকি বাহিনী র্নিমম ধংসযজ্ঞ চালায়। মে মাসের শেষের দিকে পাকিবাহিনী জয়পুরহাট থেকে পাগল দেওয়ান গিয়ে ঘাটি স্থাপন করে। কেদারপুকুর পাড়ের আখের গুর তয়রির চুলাতে ১৯/০৪/১৯৭১ তারিখে বহু বাঙ্গালিকে মাটিচাপা দিয়ে হত্যা করে। এ ছাড়া জয়পুরহাটের কড়ই কাদিপুর গ্রামে পাকি বাহিনী নিরমম ধংসযজ্ঞ চালায়। এখানে একইদিনে ৩৬১ জনকে লাইনে দাড় করে ব্রাস ফায়ারে হত্যা করা হয়। নিহতদের ডোমপুকুরের ভিটায় গরত খুড়ে মাটিচাপা দেয় তারা। কড়ই কাদিপুর গ্রামের ১০৫ ঘর হিন্ধু ও ৪ ঘর মসলমান পরিবারের সবাইকেই পাকি বাহিনী হত্যা করে। ভারতীয় সীমান্তসংলগ্ন গ্রাম পাগলা দেওয়ানে রয়েছে ১টি বড় বধ্যভূমি। সে সময়ে ভারতগামি হাজার হাজার শরনার্থিকে পাকি সেনারা এখানে এনে হত্যা করে। গ্রামবাসিদের মতে প্রায় ১০,০০০ লোককে এখানে হত্যা করা হয়েছে। ১৮/০৬/১৯৭১ তারিখ শক্রবার মসজিদের ঘরে নামায পরার সময় ২৮ জন কে হত্যা করা হয়।

কয়েক জন প্রত্যক্ষদর্শীর স্বাক্ষ এখানে উল্লেখ করা হল।
১। মোস্তাফিজুর রহমান বলেনঃ ৭১ সালে আমি জয়পুরহাট কলেজের স্নাতক শ্রেনীর ছাত্র ছিলাম। জয়পুরহাট শহরে প্রথম যেদিন পাকি বাহিনী প্রবেশ করে, তার পরের দিনই এখানকার মুসলিম লীগ ও জামায়াতের লোকজনদেরকে সাথে নিয়ে দোগাছি উইনিয়নের কুটিবাড়ি ব্রিজ থেকে শুরু করে পেচুলিয়া মৌজা পর্যন্ত অনেক বাড়িঘরে তারা আগুন লাগায়। নিরহ গ্রাম বাসিকে হত্যা করা হয়। এদের মধ্যে নয়া মিয়া, আমার সহ পাঠি আব্দুল মতালিব ও মোগলা নামের একজন বৃদ্ধের কথা আমার মনে পরে। এছাড়া শহীদ নূরু মিয়ার ভাই গনি মিয়া ও একজন মহিলা আহত হন। এদের সাথে আমার এক দাদীও পাকি বাহীনির গুলিতে আহত হন। আহত হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই আমার সেই দাদিকে নিয়ে আমি ভারত চলে যাই। ভারতের বালুঘাটা হাসপাতালে তাকে ভর্তি করি।

২। আনিসুর রহমান বলেন, এখানকার অত্যাচার নির্যাতনকারি পাকি আর্মির মধ্যে মেজর আফজাল হোসেনের নাম আমার এখনো মনে আছে। সে এখানে সব ধরনেরর অপকরমের সাথে জরিত ছিল। এখানে মুসলমানদের চেয়ে হিন্দুদের উপরে বেসি নির্যাতন করেছে ঘরবাড়ি জিনিস পত্র সব লুটপাট করা হয়। আর্মিদের সহযোগীরা হিন্দুদের টাকাপয়সা, গরু-ছাগল, কাপরচোপড় সব কিছুই লুট করে নেয়। গিরিবাবু, কারতিক, গবিন্ধ, কাশীদে প্রমুখের বাড়িঘর এভাবে লুটপাট হয়ে যায়।

৩। আমজাদ হোসেন বলেন, ২০-২২/০৪/১৯৭১ তারিখে পাকি বাহিনী জয়পুরহাট শহর প্রবেশ করে। রাতে শহরে অবস্থান করেই তারা জয়পুরহাটের পুর্বদিকে মুভ করে কড়ই কাদিপুর গ্রাম আক্রমান করে। কড়ই কাদিপুরের ৩৫০ থেকে ৪০০ লোককে সেদিন তারা হত্যা করে। সবাইকে লাইনে দাড় করিয়ে ব্রাশ ফায়ার করা হয়। পাকি বাহিনী কড়ই কাদিপুরে প্রবেশের সময় ৯ জন গ্রামবাসী প্রানের ভয়ে ১টা বট গাছে উঠে পাতার আড়ালে লুকান।
পাকি বাহিনী গাছের ওপরে তাদেরকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করে। জয়পুরহাট শহর থেকে ৩.৫ কিলোমিটার দূরে ওই গ্রামের অবস্থান। সম্ভবত ২২/০৪/১৯৭১ তারিখে সেখানে গনহত্যা চালানো হয়। এখানে আক্রমনকারী আরমির মধ্যে মেজর আজমল ও কর্নেল এস এম ইকবাল উল্লেখযোগ্য।

জয়পুরহাটে প্রবেশের পর পাকি আরমি খঞ্জনপুর মিশন এলাকা, সুগারমিল ও বর্ডার বেল্টে ক্যাম্প করে। তারা ১৪/১২/৭১ পর্যন্ত সেখানে ছিল। এ সময়ের মধ্যে তারা জয়পুরহাটের প্রাই ৪/৫ হাজার লোককে হত্যা করে। এখানকার ৪/৫ টি গনকবরেও অনেক লাশ ফেলা হয়। কড়ই কাদিপুর, জয়পুরহাট সরকারি কলেজ ও খঞ্জনপুরেও গনকবর আছে। পাগল দেওয়ানেই সবচেয়ে বেশি হত্যাকান্ড ঘটানো হয়। শুধু গনকবরেই যে হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে এমন নয়, এর আশপাশেও বিচ্ছিন্নভাবে তারা অনেক হত্যাকান্ড করে।

৪। আডভোকেট নন্দকিশোর আগরয়ালা বলেন, আমি পেশাগতভাবে আডভোকেট হলেও সাংবাদিকতার সাথে জড়িত। ১৯৯২ সালে আমিনুল হক বাবলু (সংবাদ প্রতিনিধি) আমাকে বললেন, পাগল দেওয়ানে যে সব হত্যাকান্ড ও নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে, তার তথ্য সংগ্রহের জন্য সাংবাদিক হিসাবে আমাদের সেখানে যাওয়া দরকার। আমরা সে বছরের ডিসেম্বরে সেখানে যাই। আমরা সেখানে গিয়ে ৭১এর হত্যাকান্ড ও নারী নিরযাতনের বিষয়ে স্থানীয় লোকজনদের সাথে কথা বলি। যাদের মধ্যে সোলায়মান আলী, আবেদ আলী, আফসার আলী, মোজাম্মেল হক প্রমুখের নাম উল্লেখযোগ্য। এদের মধ্যে মোজাম্মেল হক মুক্তিযোদ্ধা এবং সোলায়মান আলী ও আবেদ আলী পাকি বাহিনীর বরবর আক্রমনে মারাক্তকভাবে আহত হয়েও কোন রকমে বেচে গিয়েছিলেন। আমরা যখন পাগলা দেওয়ানে যাচ্ছিলাম তখন পথে একজন আদিবাসীর সাথে আমাদের কথা হয়। তিনি আমাদেরকে জানান যে, পাগলা দেওয়ানে ৭১ সালে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। আদিবাসী সেই লোকটির কথা আমাদের বিশ্বাস হচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল আদিবাসী লোকটি হাজার কি সেটা হয়ত ভাল বোঝে না। তারপর আমার পাগলা দেওয়ানে গিয়ে একটি মাদ্রাসার কাছে বসলাম। সেখানে অনেক লোকজনের সমাগম ঘটল। তাদের সাথে কথাবলে বূঝতে পারলাম যে. সত্যিই একাত্তরে পাগলা দেওয়ানে হাজার হাজার লোককে হত্যা করা হয়েছে। এ সময়ে এক বৃদ্ধ আমাদের বললেন তরমুজের সময় যেরকম ক্ষেতে তরমুজ ছাড়া আর কিছু দেখা যায় না তেমনি একাত্তর সালে এখানকার জমিতে শুধু মানুষের মাথা দেখা গেছে। তিনি বলেছেন যুদ্ধের পর এখানে নারী নির্যাতনের অনেক আলামত পাোয়া যায়। এসব আলমতের মধ্যে ছিল কাচের চুড়ি ব্রা শাড়ি ব্লাউজ ইত্যদি। এলকাবাসী আমাদেরকে দুটো জায়গা দেখিয়ে দেয়। আমার তখন সেইদুটে জায়গা খুড়ে শহীদদের হাড়গোড় মাথার খুলি তুলে একটা খবরের কাঘজের উপর রেখে ছবি তলে নেই । এ সময় একজন বৃদ্ধ সেখানে এসে ডুকরে কেদে উঠল তার ছেলেকে এখনে এনে হত্যা করা হয়েছিল এই হাড়গোড়গুলো তার ছেলের কিনা। সেটা ভেবে তিনি কাদছিলেন। তার পর আমরা সেই হাড় গোড়ের ছবিগলো বিভিন্ন পত্রিকায় পাঠিয়ে দিই। সেগুলো ছাপানো হয়। আমি তখন আজকের কাগজের প্রতিনিধি ছিলাম।
আক্কেলপুরে জামায়তে ইসলামীর নেতা নূর বখতের বাড়ি গিয়ে পাকি আর্মি কচি মেয়ে যোগাড় করে দিতে বলে। নুর বখত আর্মিকে নিয়ে গ্রামে মেয়ে খুজতে বের হলে তার নিজের মেয়েকেই আর্মি বাড়িতে ফেলে ধর্ষন করে। নূর বখত গ্রামে বিভিন্ন বাড়িতে মেয়ে খুজে বাড়ি ফিরে এসে দেখে তার মেয়েকেই পাকি আর্মি ধর্ষন করেছে। তখন সে ধর্ষক আর্মিকে থাপ্পড় মারে। থাপ্পড় মারার পর মেজর আফজালের কাছে নালিশ করা হলে সে বলে রেপ করে অন্যায় করেছে কিন্তু তুমি থাপ্পড় মারলে কেন? অতএব তুমি কান ধরে দশবার উঠবস কর । এভবে নূর বখ্ত নিজেই তার অপকর্মের শাস্তি পেয়েছিল।

৫। মক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম বলেন. পকিস্থানি আর্মি যুদ্ধের নমাসে জয়পুরহাটে ব্যাপক নারী নির্যাতন চালায়। নির্যাতিত নারীদের মধ্যে বিশেষভাবে যাদের কে চিনি তাদের মধ্যে ডলি (আঞ্জুয়ারা বেগম ডলি) অন্যতম। পাকিস্থনি আর্মি পিস কমিটির চেয়ারম্যন মেম্বারদের পরিবারের মহিলাদের উপর পাশবিক নির্যাতন চালায়। জয়পুরহাটে মুক্তিযুদ্ধের নমাসে যেসব পকি আর্মি গনহত্যা, নারী নির্যাতন, ধবংসযজ্ঞ চালায়, তাদের মধ্যে মেজর আফজালের নাম আমার বেশেষভাবে মনেপাড়ে।
তিনি আরো বলেন পাগলা দেওয়ানে ১৮/০৬/১৯৭১ তারিখ শক্রবার মসজিদের ঘরে নামায পরার সময় পাকি বাহিনীর একটি গাড়ি খাদে পড়ে যায় তখন মসজিদের ঘর থেকে ২৮ জন মুসলমানকে ডেকে এনে গাড়ি তুলে তাদের কে কাটা তারের উপর দিয়ে হাটানো হয়, যারা হাটতে পারেনি তদেরকে রাইফেল এর বাট দিয়ে খুচিয়ে মারা হয়েছে আর সবাই কে ব্রাস ফায়ার করে মারা হয়।

৬। দেওয়ান মোজাম্মেল হক বলেন, যুদ্ধের নয় মাসের প্রায় প্রতিদিনই এই পাগলা দেওয়ানে হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। আনুমানিক দশ থেকে পনরো হাজার লোককে এখানে হত্যা করা হয়। কারণ হচ্ছে বগুড়া শেরপুর নন্দিগ্রাম, পাবনা. নাটোর. রাজশাহী এবং চাপাইনবাবগঞ্জ এলাকার লোকজন এই রাস্তাটিকে নিরাপদ ো সংক্ষিপ্ত মনে করে এ পথে যাতায়াত করত। আর এসব জায়গায় লুকিয়েথাকা পাকি আর্মি এসব শরনার্থীদেরকে হত্যা করত এবং মেয়েদেরকে বাঙ্কারের ধরে নিয়ে নিযার্তন চালত। নির্যতিত মেয়েদের অনেকের লাশ আমরা পাশের একহিন্দু বাড়ির মাটির ঘরে স্বাধীনতার পর খুজে পেয়েছিলাম। আমর বাড়ির পূর্ব পাশের নজিমউদ্দিনের মেয়েকে পাকি সেনারা হাতচেপে ধরে। তখন নজিমউদ্দিন তাদের কাছে অনেক অনুনয় করে বলেন বাবা আমর মেয়েকে ছেড়ে দাউ বিনিময়ে তোমরা আমাকে হত্যা কর। তখন পাকিরা মেয়েকে ছেড়ে নজিমউদ্দিনকে গুলি করে হত্যা করে। তখন কেউ কেউ সীমান্ত পথে নিয়মিত আসা যাোয়া করত তাদের কাছ তেকে োপরে বসেই আমরা সব খরব পেতাম। ছোট ছোট ছেলেো খবর আনা নেোয়া করত। তাছাড়া শরনার্থীদের যাোয়ার পথে তারা হত্যাকরেছে। সেৌভাগ্যক্রমে যারা বেচে যেত তারা সীমান্ত পার হয়ে আমাদের কাছে এবস ঘটনা বর্ননা করত্ কেউ কেউ বলেছেন আমরা গ্রামের সাবাই ভরতে যাোয়র জন্য রোনা দিয়েছিলেন কিন্তু মাত্র ৫ জন বেচে আসতে পেরেছি। ভারত থেকে ফিরে এস আমি বাড়িতে ঢুকতে পারছিলাম না। আমার বাড়ির চারদিকে কুকুর শিয়ালে খাোয়া অনেক লাশ পরে ছিল। ঘরের মধ্যে মদের বোতল. মহিলাদের ছেড়া কাপড় বিক্ষিপ্ত অবস্থায় পড়ে ছিল মনে হয়েছিল ভুতের দেশ। এখানে বেশির ভাগ বাইরের এলকার লোকজনকে হত্যা করা হয়েছে। তবে স্থানীয় বেশ কিছু লোককে ো তারা এখানে হত্যাকরে। যারা সে সময় ভরতে গিয়েছিল তাদের কাছ থেকে এসব ঘটনা শনেছি। পলীপাড়া স্টোরের মালিক আব্দুলের সামনে পাকি বাহিনী সাতজনকে গুলি করেন হত্যো করার পর সেখান থেকে দশ পনোরো জন মেয়েকে উঠিয়ে নিয়ে যায়। পকি আর্মি মেয়েগুলোকে আমার বাড়ির পেছনে ৌযাচের দেয়ানের বাড়ির একটি ঘরে উলঙ্গ অবস্থায় বন্দী করে রাখে। স্বাধনিতার পর আমরা সেখানে মদের বোতল ো মেয়েদের রক্তাক্ত ছেড়া কাপড়চোপড় পড়ে থাকতে দেখেছি। কুকুরগুলো লাশ নিয়ে টানাটানি করছিল এবং রক্তাক্ত কাপড়চোপড় চাটছিল। তখন কুকুরগুলো পাগলা হয়ে গিয়েছিল। জীবিত মানূষ দেখলেো কুকুরগুলো তেড়ে আসত। এই কুকুরগুেক পরে মেরে ফেলাহয়।

৭। আমিনুল হক বাবুল বলেন. আমি কয়েকজন সাংবাদিক মিলে প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে োই গনকবরটি সংরক্ষনের ব্যবস্থা করি। এছাড়া জয়পুরহাট কলেজের পাশে বারোঘাটি পুকুরের দক্ষিন পাড়ে বহু নিরীহ বঙালিকে পাকিস্থনি আর্মি হত্যা করে। সেখানে বেশ কিছু গর্ত ছিল। এখন সেগুলো পুকুরের সাথে অনেকটি মিশে গেছে। খঞ্জনপুরেো বহু নিরহ বঙলিকে পাকিস্তানি আর্মি হত্যা করে। ন্যাপ নেতা সেকান্দার আলীকেো সেখানে হত্যা করা হয়।

আরো অনেক অজানা কাহিনী আছে যা আমরা সংগ্রহ করতে পারিনি।

বি: দ্র: ভুলত্রটি ক্ষমা করবেন। যদি লাইক বেশি পাই তাহলে স্বাধীনতার ঘোষনা নিয়ে যে বির্তক তার সমাধান দিব ইনশাল্লাহ।

সহায়ক গ্রন্থ: পাকিস্তানি যুদ্ধা পরাধী ১৯১ জন (ডা: এম এ হাসান)এবং অন্নান্য বই।