রমজান আসলে বাংলাদেশের মুসলিম ব্যবসায়ীরা মাথায় টুপি ঠিকই লাগায়, তবে মালের দাম পাহাড় পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। সারা বছর যা লাভ করে না, এই রোজার এক মাসে ঠিক তার চেয়ে বেশি মুনাফা করতে তারা মরিয়া হয়ে ওঠে।
আর এতে করে গরীবেরা উচ্চমূল্যে খাবার কিনতে পারে না। তারা ইফতার, সাহরীতে পরান ভরে খেতে পারে না। অথচ অন্যান্য মুসলিম দেশে দ্রব্যমূল্য রোজার মাসে কমিয়ে দেওয়া হয়। এ দেশের প্রাণিগুলোর যে ইহুদী, খ্রিস্টান আর হিন্দুদের নাম শুনলে চুলকানি ওঠে, ঐ অমুসলিমরাও তাদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সময় পণ্যমূল্যে এতো উচ্চ মুনাফা করে না। অথচ এদেশের মানুষগুলো নাকি মুসলমান! ব্যবসায়ীরা নাকি মুসলমান!
এরা কি মাথায় টুপি রেখে মাল বিক্রি করে যাতে রোজাদাররা তাদের মাল কিনতে আকর্ষিত হয়? এদেশের ব্যবসায়ীরা যদি মুসলিম হতো তাহলে সওয়াবের আশায় হলেও অন্তত এই একটি মাস অতিমুনাফা করতো না। ইসলামের শিক্ষাটাই এদের অন্তরে নেই। তাই বলি কি- এরা মানুষই না, মুসলমান হয় কি করে!
মুসলমান দেশের মুসলমান ব্যবসায়ী হয়েও তুই কালোবাজারি করিস, পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরী করে তুই কারসাজির মাধ্যমে দাম বাড়াস, তাও রোজার মাসে! ছিঃ, ছিঃ! আল্লাহর প্রতি ভয় কি তোর আছে?
তোর মুনাফার লোভ মেটে না? হালাল ব্যবসাকে পাপ কাজের মাধ্যমে তোরা হারাম করে দিয়েছিস। এতো পাপের টাকা দিয়ে কি করবি! আর ন্যায় পরায়ণ একজন একনায়ক যদি দেশে থাকতো, তাহলে তোর হাড় ভেঙে তোর কালোবাজারি বন্ধ করতে পারতো।
এই রমজানে বাজারে প্রত্যেকটা খাদ্যপণ্যের দাম দ্বিগুণের চেয়েও বেশি। ১০ টাকার মাল এক লাফে ২০, ২৫ হয়ে গেছে। আরে এই অতি মুনাফা কি শরীয়ত সম্মত? তুই ব্যবসায়ী তো রোজা রেখেছিস, তবে কেনো তোর ব্যবসাকে পবিত্র করতে পারলি না?
যেখানে তোর রোজার মাসে দাম আরো কমানোর কথা, দান-সদকা করার কথা, সেখানে তুই অতি মুনাফা করছিস, কালোবাজারি করছিস! এ ভন্ড হারামি, তোর ধর্ম কি তোরে এই শিক্ষা দিছে?
অন্যান্য দেশের ব্যবসায়ী রমজানে পণ্যের দাম কমিয়ে, বিভিন্ন ছাড় দিয়ে তারা নেকি হাসিল করার জন্য রমাজানের অপেক্ষায় থাকে। আর তুই এই দেশের ব্যবসায়ী সারা বছর রমজানের অপেক্ষায় থাকিস মানুষের পকেট কাটার জন্যে। আবার নামাজ-রোজাও করিস! মাথায় টুপি দিয়ে কালোবাজি করিস! এই নাকি তোর মুসলমানদারি!