ভূমি দস্যু দক্ষিন খান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ লোকমান হাকিমের কাণ্ড

আমিআজানা
Published : 1 March 2012, 04:45 PM
Updated : 1 March 2012, 04:45 PM

দক্ষিন খান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ লোকমান হাকিম গত কয়েকদিন আগে দক্ষিন খান থানার উদয়ন স্কুলের ২০০ গজ দুরে ৫ কাঠা জায়গা দখল করে নিয়েছে |

এই জমির বর্তমান মুল্য ২ কোটি টাকার বেশি | রহিম উল্লাহ বাবুল নামে এক লন্ডন প্রবাসী মালিকানা দাবি করে তার কাছে ৯০ লক্ষ টাকাই বিক্রি করে দেয় | আসল মালিক কিন্তু রহিম উল্লাহ নয় | রহিম উল্লাহ কিছু ভুয়া কাগজ তৈরি করে লোকমান হাকিমের কাছে বিক্রি করে |

রহিম উল্লাহ বাবুল জানে সে এই জমিতে যাইতে পারবে না তাই সে এইটা একজন শক্তিশালী লোকের কাছে বিক্রি করে দেয় | আর সেই শক্তিশালী লোক হচ্ছে দক্ষিন খান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ লোকমান হাকিম |

মোহাম্মদ লোকমান হাকিম সস্থায় এই জমি কিনে দখল করে নেয় এবং ওই জায়গায় কয়েকটা নারিকেল গাছ ছিল | সে ঐগুলা কেটে ফেলে | লোকমান হাকিম জমি জবর ধকল করছে তার থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের দিয়ে |

প্রকৃত মালিক যখন ওই জায়গায় যায় | দেখে যে কয়েকজন পুলিশ অস্ত্র এবং পুলিশ ড্রেস এ ঐখানে মাটি বরাট করতেছে এবং দক্ষিন খান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ লোকমান হাকিম এক পাশে দাড়িয়ে আছে | পুলিশ কি ভাবে এই কাজ করতে পারে?ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ লোকমান হাকিম যখন এই জমি কিনে, সে জানে সে প্রকৃত মালিক থেকে খরিদ করছে না এবং সে প্রকৃত মালিকের সাথে দেখাও করে নাই | সে চিন্তা করছে সে OC এবং তার কাছে শক্তি আসে | সে কম দামে কিনে শক্তি দিয়ে দখল করে নিবে |

সে নিজের নামে কিন্তু কিনে নাই | এইখানে সে চালাকি দেখাইছে | সে কিনেছে তার এক আত্মীয়এর নামে |একজন পুলিশ কর্মকর্তা এত টাকা কোথায় পাইল? সে অবৈধ ভাবে আরেকজনের জমি কিনছে তার
অবৈধ অর্থ দিয়ে তার এক আত্মীয়এর নামে | জমির প্রকৃত মালিক এখন পর্যন্ত মোহাম্মদ লোকমান হাকিম এর বিরুদ্ধে কোনকিছু করতে পারে নাই | দক্ষিন খান থানার লোকজন বলে মোহাম্মদ লোকমান হাকিম নাকি প্রকাশ্যে ঘুস লেনদেন করে | সে এত টাকা পাইল কোথায় এবং এই টাকার উৎস কি তা সরকার কে অনুরোধ করার জন্য বলা হয়েছে | মোহাম্মদ লোকমান হাকিম বলে নাকি প্রকৃত মালিক কে উডাই দিবে যদি প্রকৃত মালিক জায়গায় যায় | একজন পুলিশ কর্মকর্তা কিভাবে এইসব কথা বলে | একজন পুলিশ কর্মকর্তা সারা জীবন চাকরি করলেও ৯০ লক্ষ টাকা থাকার কথা না | এইটা কি মগেরমুল্লুকের দুনিয়া নাকি?জমির প্রকৃত মালিকের উকিল বলছে যদি মামলা করা হয় তখন মামলার রিপোর্ট দিবে থানা থেকে ,থানা প্রকৃত মালিকের পক্ষে রিপোর্ট দিবে না কারণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ লোকমান হাকিম এর সাথে জড়িত | এর সাথে আরো জড়িত লন্ডন প্রবাসী রহিম উল্লাহ বাবুল ,তার বন্ধু বিজন কুমার ভৌমিখ সে এখন অবৈধ ভাবে লন্ডন থাকে এবং পাশের জমির মালিক মহাব্ব।

দক্ষিন খান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ লোকমান হাকিম এর ফোন নাম্বার:০১৭১৩৩৭৩১৬৫ | প্রকৃত মালিক আদালতে এই বিক্রি বাতিল করার জন্য জন্য মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।