ফ্ল্যাট অথবা প্লট কেনার ক্ষেত্রে রিহাব (REHAB) কোনো ভূমিকা রাখে না

আমিআজানা
Published : 7 May 2012, 05:31 PM
Updated : 7 May 2012, 05:31 PM

রিহাব (REHAB) হচ্ছে real estate কোম্পানিগুলোর একটা সমিতি .আমরা দেখি যে অনেক কোম্পানি ফ্ল্যাট অথবা প্লট কেনার জন্য টাকা দেয়ার পরও তারা ফ্ল্যাট অথবা প্লট পাচ্ছে না আসলে এইটা অনেকদিন থেকে এই অবস্থা চলতেছে . ইদানিং আমরা দেখি যে সুমনা হাউজিং একটা কোম্পানি অনেক গ্রাহক থেকে টাকা নিয়ে তারা ফ্ল্যাট দিচ্ছে না. অনেককে মনে করবেন যে রিহাব (REHAB) এ অভিযোগ করলে ঠিক হয়ে যাবে এবং গ্রাহক ফ্ল্যাট বুজে পাবে. কিন্তু আসলে রিহাব (REHAB) কিছুই করে না সাধারণ গ্রাহকদের জন্য .কারণ আমি আবার বলছি রিহাব (REHAB) হচ্ছে real estate কোম্পানিগুলোর একটা সমিতি। তারা কোম্পানিগুলোর সমস্যা দেখে, সাধারণ কোনো গ্রাহকের না।

আপনাদের একটা ঘটনা বলি, বনানীর জয়নাল আবদিন নামে এক লোক ২০০৬ সালে tamanna real estate নামে এক কোম্পানি থেকে একটা ফ্ল্যাট বুকিং দেয়. ফ্লাটের অবস্থান উত্তরা. এক বছরের মধ্যে সকল টাকা দিয়ে দেয়ার পর আজ পর্যন্ত ফ্ল্যাট বুজে পায় নাই. কিন্তু ফ্ল্যাট দেয়ার কথা ছিল ২০০৭ সালে. কোম্পানির মালিক হচ্ছে কফিল হাসান. এবং কোম্পানি রিহাব (REHAB) এর মেম্বার. জয়নাল আবদিন ফ্ল্যাট না পেয়ে রিহাব (REHAB) এ অভিযোক করলে রিহাব (REHAB) শুধু একটা চিঠি দেয় tamanna real estate এ . চিঠি পাওয়ার পর কফিল হাসান বলে রিহাব (REHAB) এ যখন অভিযোগ করেছেন ফ্ল্যাট রিহাব থেকে নেন।

কিছুদিন পর দেখা গেল যে রিহাবের এক নির্বাচন হচ্ছে এবং tamanna real estate এর মালিক কফিল হাসান ওই নির্বাচনের প্রার্থী. পরবর্তী তে জয়নাল আবদিন মামলা করে tamanna real estate এর বিরুদ্ধে . বর্তমানে এই নিয়ে মামলা চলছে.

এখন কথা হচ্ছে রিহাবের ভূমিকা নিয়ে. আমরা প্রতিদিন খবরে দেখি যে ফ্ল্যাট এবং প্লট নিয়ে অনেক প্রতারণা করতেছে কোম্পানি গুলা এবং এই সব কোম্পানি সবাই রিহাব মেম্বার।
রিহাব কিন্তু কোনো সরকারী প্রতিষ্ঠান না । তারা শুধু real estate কোম্পানিগুলোর agent। আপনারা আজ পর্যন্ত দেখেন নাই কোনো গ্রাহক রিহাব (REHAB) এ অভিযোক করে রিহাবের মাধ্যমে তাদের ফ্ল্যাট অথবা প্লট পেয়েছেন। আসলে তারা তেমন কিছু করে না গ্রাহকদের জন্য. তারা দেখে না কোন কোম্পানির কি প্রজেক্ট করতেছে এবং গ্রাহক রা কি ঠিক মত তাদের ফ্ল্যাট অথবা প্লট বুঝে পাচ্ছে কিনা।

রিহাব কিন্তু কোনো সরকারী প্রতিষ্ঠান না. তাদের মেম্বার হতে প্রথমে ৩ লাখ টাকা লাগে এবং প্রতি বছরের ফিস ২৫ হাজার টাকা।

এখন রিহাবের মোট মেম্বার প্রায় ১১০০ . তার মানে দেখতে পারছেন তারা প্রতি বছর কোম্পানি গুলো থেকে কত টাকা নেয়. সরকারী প্রতিষ্ঠান হলে বুজতাম যে সরকার রাজস্ব পাচ্ছে .কিন্তু তা নয়.রিহাব করতেছে চাঁদাবাজি আর রিহাবের মেম্বাররা করতেছে প্রতারণা. রিহাব বলে রিহাব মেম্বার ছাড়া ফ্ল্যাট অথবা প্লট না কিনার জন্য। এখন কথা হচ্ছে রিহাব মেম্বার থেকে কিনার পর যদি না পায় ফ্ল্যাট অথবা প্লট তখন রিহাবের কি ভূমিকা. রিহাব কোনো শাস্তি দিতে পারে না এবং তারা শাস্তির পরিবর্তে পুরস্কৃত করে কোম্পানিদের মালিককে।

আমরা allianz real estate এবং sumona real estate এর কথা শুনলাম গত সপ্তাহে মিডিয়ার আসছে দেখে। এইরকম অনেক ঘটনা হচ্ছে যা মিডিয়াতে আসে না। বেশির ভাগ কোম্পানি তাদের প্রদান ব্যবসা হচ্ছে প্রতারণা। প্রতারণা মোটামুটি সকল real estate কোম্পানি করে। কিছুদিন আগে আমরা দেখলাম বসুন্ধরার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে প্লট না দেয়ার জন্য।

সবাই একটা ফ্ল্যাট অথবা প্লট এর সপ্ন দেখে আর এই স্বপ্ন কে দুঃস্বপ্ন করে এই real estate কোম্পানিগুলো এবং রিহাব তাদের সমর্থন করে কারণ রিহাব তাদের প্রদান আয়ের উত্স ।