নারায়ণগঞ্জের চিটাগাং রোড থেকে চাষাড়া রুটে তিনটি পরিবহন চলাচল করে। এগুলো হল, দুরন্ত পরিবহন, শীতলক্ষ্যা পরিবহন ও নসিব পরিবহন। এই তিনটি পরিবহনের প্রতিটি গাড়ির জন্য নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনকে উন্নয়নের কাজের জন্য দৈনিক পঞ্চাশ টাকা হারে চাঁদা দিতে হয়। গত ৩০শে জুন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ঘোষণা করে আগামী ১লা জুলাই থেকে এই রুটের নসিব ও শীতলক্ষ্যা এই দুটি পরিবহনকে ৫০ টাকার পরিবর্তে ২০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হবে। এর প্রতিবাদে পরিবহণ দুটির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানানো হয়। কিন্তু পহেলা জুলাই থেকে এই ঘোষণা কার্যকর করা হলে ২রা জুলাই পরিবহণ দুটির শ্রমিকরা এর প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে আসেন এবং রাস্তায় গাড়ি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন। ফলে এই রুটে কয়েক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকে। সকাল থেকেই এই রুটের বরফকলে জ্যাম শুরু হয় যার সূত্রপাত বিজয় সরণীতে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, শীতলক্ষ্যা পরিবহনের ৬/৭টি গাড়ি বিজয় সরণি এলাকার আশপাশের রাস্তাগুলো আড়াআড়িভাবে ব্লক করে রেখেছে। বিজয় সরণি থেকে চাষাড়া যাওয়ার দু'লেনের রাস্তাটি, বিজয় সরণি থেকে কালিবাজারে যাওয়ার দু'লেনের রাস্তাটি এবং খানপুর হাসপাতাল সংলগ্ন মুন্নু সিরামিকের সম্মুখের রাস্তাটি শীতলক্ষ্যা পরিবহনের গাড়িগুলো ব্লক করে রাখে। এতে কয়েক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা চরম দুর্ভোগে পড়েন। ফলে বরফকল থেকে যাত্রীদের হেটেই চাষাড়া যেতে হয়। এ সময় নসিব ও শীতলক্ষ্যা এই দুটি পরিবহনের গাড়িগুলো চলাচল বন্ধ রাখে কিন্তু দুরন্ত পরিবহনের গাড়িগুলোর চাঁদা বৃদ্ধি না করায় এ পরিবহণের গাড়ি চলাচল অব্যাহত ছিল। কয়েক ঘণ্টা পর পুলিশ রাস্তা ক্লিয়ার করে।
পরে জানা যায়, সিটি কর্পোরেশনের সাথে পরিবহন দুটির সমঝোতা হয় এবং চাঁদার পরিমাণ অপরিবর্তিত রাখা হয়।
এ ব্যাপারে শীতলক্ষ্যা ও নসিব পরিবহন কর্তৃপক্ষ, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ও পুলিশের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
প্রতিবেদন ও ছবি: ইমরান যুবায়েদ শরীফ
সম্পাদনা: আরিফ হোসেন সাঈদ
৭ই জুলাই ২০১২