চায়ের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় শঙ্কিত সচেতন ব্লগার সমাজ

আরিফ হোসেন সাঈদ
Published : 8 April 2012, 02:28 PM
Updated : 8 April 2012, 02:28 PM

প্রাচীনকাল থেকেই এদেশে চায়ের প্রচলন। সকাল হোক বা বিকাল আড্ডায় বা অনুষ্ঠানে চা তো থাকবেই। চায়ের বৈজ্ঞানিক নাম ক্যামেলিয়া সিনেনসিস। চায়ে ক্যাফেইন (C8H10N4O2) নামক একধরণের অ্যালকালয়েড থাকে। যা শরীর-মনকে চাঙ্গা ও সতেজ করে, মাথা ব্যথা দূর করে, ব্রেইনে উদ্দীপনা জাগায়, কর্মক্ষমতা ও কর্মোদ্যম বাড়িয়ে দেয়। হঠাৎ ক্লান্ত শরীরে শক্তি ফিরিয়ে আনতে বা অবসাদ দূর করতে চলার পথে, মিটিং মিছিল আন্দোলনে বা খেলাধুলায় আমরা চা পান করে থাকি। পরীক্ষার রাতে রাত জেগে পড়া আর চা খাওয়া তো আছেই নিঃসন্দেহে চা আমাদের ঐতিহ্যও বটে। আজকাল বাজারে এনার্জি ড্রিংক নামে বেশ কিছু পানীয় পাওয়া যায় যেমন মাউন্টেন ডেউ, স্পিড ইত্যাদি। এগুলো খেলে মনে হয় নিমেষেই শরীরে কর্মোদ্যম ফিরে এসেছে। একধরনের শক্তি অনুভব করা যায় এটা আসলে ক্যাফেইনের কাজ।

হঠাৎ আমাদের দেশে চা পানে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে যার ফলে সচেতন সমাজ উদ্বিগ্ন। গতকাল ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার এক আন্দোলনে আন্দোলনরত সাংবাদিক নেতারা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আয়োজিত এক চা পানের অনুষ্ঠানে যান। আমরা সচেতন সমাজ আশায় বুক বেধেছিলাম চা পান করে আমাদের নেতারা আরো উজ্জীবিত হবেন। ক্যাফেইনের কার্যকারিতায় আন্দোলনের গতিবেগ বৃদ্ধি পাবে। কিন্তু আমাদের অবাক করে দিয়ে সাংবাদিক নেতারা তাঁদের আন্দোলন স্থগিত করে দেন। ফলে চায়ের নতুন এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে সচেতন সমাজ আতঙ্কিত।
আন্দোলনরত ব্লগারদের এক মিটিংয়ে চা পানে একটি সতর্ক-বার্তা প্রকাশ করা হয়।

সতর্কীকরণ: আপনি কি একজন সাংবাদিক? কোন আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন? তাহলে চা পানে সতর্কতা মেনে চলুন। চায়ের এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় চায়ের উপর নতুন করে গবেষণা না হওয়া পর্যন্ত সকল নেতাদের চা পানে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে।

ব্লগার বিশেষজ্ঞগণ মনে করছেন পৃথিবীর আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে এর বিরূপ প্রতিক্রিয়া চায়ের উপর পড়েছে। জানা যায়, বাংলাদেশে ৭ এপ্রিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ে চা পানের পর্ব শেষে সাংবাদিক নেতাগণ নিস্তেজ হয়ে পড়েন এবং কর্মোদ্যম হারিয়ে আন্দোলন থেকে সরে আসেন।

আশঙ্কা করা হচ্ছে, চায়ের এই নতুন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ফলে এটি মাদকে পরিণত হতে পারে। তাই চায়ের উপর গবেষণার জন্য একটি মহা পরিকল্পনা প্রয়োজন।

ব্লগারদের মিটিংয়ে এই ব্যাপারে ব্যাপকভাবে গবেষণার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। ব্লগাররা সরকারের প্রতি চা পানের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার কথা বলেন এবং আক্রান্ত সাংবাদিকদের সুচিকিৎসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। প্রাথমিকভাবে গবেষণায় এই ফলাফল বেড়িয়ে এসেছে।

আরিফ হোসেন সাঈদ
৮ এপ্রিল ২০১২