বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের ইতিহাস

আরিফ হোসেন সাঈদ
Published : 20 April 2012, 07:47 PM
Updated : 20 April 2012, 07:47 PM

ভারতের ভাইসরয় লর্ড কার্জন তার শাসনামলে ১৯০৫ সালের ১৬ অক্টোবর বঙ্গভঙ্গ কার্যকর করেন।

রবী ঠাকুর তখন বঙ্গভঙ্গ'র বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। বঙ্গভঙ্গ থেকে শুরু হওয়া স্বদেশী আন্দোলনকে সমর্থন করে বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে আন্দোলনে বাংলার মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে এ সময় রবীন্দ্রনাথ অনেকগুলো দেশাত্মবোধক গান রচনা করেন। সে সময় বাংলার মানুষের প্রাণের গান ছিল বাউল গান। তাই রবী ঠাকুর বাউল গানের আদলে গানগুলো রচনা করেন। সে সময় বাউল গানের আদলে লেখা রবীন্দ্রনাথের কুড়িটি গান নিয়ে 'বাউল' নামে একটি বই প্রকাশিত হয়। ঐ গানগুলোর মধ্যে লেখা রবীন্দ্রনাথের একটি গান 'আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি' বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীতের মর্যাদা পায়।
সে সময় বাংলায় লালন পরবর্তী এক বাউল 'গগন হরকরা' তার একটি গান 'আমি কোথায় পাব তারে, আমার মনের মানুষ যে রে' বাংলায় বেশ জনপ্রিয় ছিল।

রবীন্দ্রনাথের লেখা 'আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি' গানটি গগন হরকরার বাউল গান 'আমি কোথায় পাব তারে, আমার মনের মানুষ যে রে' এর সুরে ও আদলে লেখা।
গগনের এই বিখ্যাত গানটিতে সাতটি শুদ্ধ সুর ও কোমল নিখাদের ব্যবহার রয়েছে। লোক সঙ্গীতে ব্যবহৃত কৌশল ঝিঁঝিটের ব্যবহারও রয়েছে গানটিতে।

সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের 'মনের মানুষ' উপন্যাস অবলম্বনে গৌতম ঘোষের নির্মিত বাংলা ছায়াছবি 'মনের মানুষ' এ কুষ্টিয়ার বাউল সাধক গগন হরকরা চরিত্রটির লালনের সঙ্গে সাক্ষাত হয়। এ সময় তিনি লালনকে এ গানটি গেয়ে শোনান।

কৃতজ্ঞতায়: বাংলাপিডিয়া