সেদিন চৈত্র মাস। সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি’র হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে রাজপথে ব্লগারদের ৪র্থ প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন চলছিল। ১১ই মে ২০১২, কর্মসূচির অংশ ছিল জ্বালাময়ী পথ সঙ্গীত ও যেখানে আলো থাকে না সেখানে মোমবাতি প্রজ্বলন অনুষ্ঠান।
প্রতিদিনই ব্লগারদের কাজ একটু একটু করে আগাচ্ছিল। ১১ই মে ২০১২, দুপুর বেলা। ব্লগারদের পথ সঙ্গীতে যোগ দেয়ার কথা জানান, মিউজিক ব্যান্ড ‘স্পীড ব্রেকার’। তৈরি হচ্ছে সাউন্ড সিস্টেম। প্রয়োজন খোলামেলা অনেকটা জায়গা। কিন্তু পাবলিক লাইব্রেরীর সামনে এতো জায়গা নেই। রয়েছে ছোট্ট একটি জায়গা। আগে থেকেই এই প্রতিবাদী কনসার্ট সম্পর্কে সবাইকে জানানো হয়েছিল। সেখানে জমবে মানুষ, হবে প্রতিবাদী জনতার আনাগোনা। কিন্তু সেখানে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে একটি পুলিশের গাড়ি। প্রচলিত সতর্কীকরণ: ‘বুঝতেই পারছেন, যেহেতু এখানে জনগণের বন্ধুর গাড়ি আছে সুতরাং এইখানে ঝামেলা আছে। ১০০ … দূরে থাকুন।’ কেউ জমতে পারল না সেখানে।
সবকিছু রেডি। প্রয়োজন শুধু ইলেকট্রিসিটি। প্রশাসন থেকে জানানো হল, ইলেক্ট্রিসিটি পাবেন না। আপনাদের কোন প্রতিবাদও হবে না।
-মানে!
-মানে, সব অফ।
স্পীড ব্রেকারকে বিষয়টি জানানো হল। সরকারের অগ্নি চক্ষু আছে জেনেও তারা গান গাইতে রাজি হল। শুধু তাই নয় তারা খালি গলায় গান গাইবে! সরকারের আচরণে আমরা হতভম্ব হইনি। ওটা কুকুরের লেজ। কিন্তু ‘স্পীড ব্রেকার’- এর কথায় আমরা হতভম্ব হলাম। বেটারা বলে কি! সাহস না হয় জন্মের সময় একটু বেশিই পেয়েছে। তাই বলে খালি গলায় গান গাইবে!
আমি কয়েকবার এক ওস্তাদকে (যিনি গানের গুরু, সবাইকে গান শেখান।) অনুরোধ করেছিলাম খালি গলায় গান গাইতে। তিনি রাজি হননি বরং প্রতিবারই হারমোনিয়াম বাজিয়ে আমায় গান শুনিয়ে দিতেন।
স্পীড ব্রেকার যখন ড্রামসে হাত দিল তখন আকাশে ঝড়ের ঘনঘটা। ঝড় আসবে নাকি। নাকি এ বেটারা ঝড় ডেকে নিয়ে এসেছে। খালি গলায় প্রথম গানটি হল – ‘জানি শুধু চলতে হবে, এ তরী বাইতে হবে’। তখন ঝড় হবার অপেক্ষায়। ঝড় কিন্তু এসেছিল। এইটুকুন ছেলেগুলোর সাহস আর গলার জোরে যে ঝড় বইছিল এর সাথে কি কাল বৈশাখী যায়! শুনেছিলাম তানসেনের গান শুনে নাকি চারিদিকে আগুন জ্বলে উঠত। কিন্তু এই ছেলেগুলোর গলা ফাটানো চিৎকারে যে ঝড় চলে এলো!
তীরহারা এই ঢেউয়ের সাগর, পাড়ি দিব রে
দুর্গম গিরি, কান্তার মরু
মাগো ভাবনা কেন

ব্যান্ড - স্পীড ব্রেকার, সদস্য - নোমান
কনসার্ট শেষে আমি স্পীড ব্রেকারকে বলেছিলাম, “আধুনিক সাউন্ড সিস্টেমে যে রক ব্যান্ড গান গায় তারা আজ তাঁর থেকে অনেক বেশি ভাল গান গেয়েছে।”

ব্যান্ড - স্পীড ব্রেকার
স্পীড ব্রেকারের প্রধান ভোকালে ছিল রুমানা, ড্রামসে ছিল নোমান, গীটারে ছিল হৃদয় ও অয়ন, প্রধান ও ব্যাকআপ ভোকালে ছিল যুবায়ের, বেস গিটারে ছিল রিফাত। কিন্তু ভোকাল আর ড্রামস পেটানো ছাড়া বাকি সবটা গলার উপর দিয়েই গেছে।
স্পীড ব্রেকার থেকে নোমান বলেন, “আমরা সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি’র খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার এবং সঠিক বিচারের দাবিতে পথ সঙ্গীতে যোগ দিয়েছি। আজকের এই কর্মসূচিতে যোগদান করে আমরা খুবই আনন্দিত। এর মধ্য দিয়ে আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে সাগর-রুনি হত্যার সঠিক বিচার হবে এই আশা করছি।”
আরিফ হোসেন সাঈদ
১২ই মে ২০১২
জাগো বাহে জাগো বলেছেনঃ
লক্ষ্য ঠিক রেখে এগিয়ে যাবার জন্য সচেষ্ট হলে কোন বাধাই যে বাধা না, ব্লগারদের কালকের প্রচেষ্টা সে কথাই বলে।
আরিফ হোসেন সাঈদ বলেছেনঃ
মনের বাধাই সবচেয়ে বড় বাধা। ধন্যবাদ।
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
স্পীড ব্রেকারকে নিয়ে এমন একটা পোষ্টের খুব দরকার ছিল আরিফ – ওদের কাছে আমাদের অনেক ঋণ। তুমি অনেক চমৎকার কাজ করেছ।
আরিফ হোসেন সাঈদ বলেছেনঃ
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
জাহেদ সাহেব, সামনা-সামনি এ ভদ্রতাটা না দেখালেও অন্তত ব্লগে দেখান। আপনি করে সম্বোধন করুন। এটা আপনার চায়ের আড্ডা নয়। ধন্যবাদ।
আরিফ হোসেন সাঈদ বলেছেনঃ
হুম, মনের বাধাই সবচেয়ে বড় বাধা। ধন্যবাদ।
আরিফ হোসেন সাঈদ বলেছেনঃ
আমি ভেবে দেখলাম কারও বিশ্বাসে আঘাত করার অধিকার আমি রাখি না। জাহেদ ভাইয়ের উদ্দেশ্যে করা আমার মন্তব্যে প্রচণ্ড আঘাতকারী উপাদান ছিল। আমি কাউকে আঘাত করার অধিকারও রাখি না। আমি লজ্জিত, দুঃখিত। আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি প্রচণ্ড আবেগি মানুষ, সবকিছুতেই আবেগ বেশি। জাহেদ ভাই, ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
জাহেদ ভাই, এক কাজ করুন, আপনি আমাকে একটা মেইল করুন। সেখানে উল্লেখ করুন, আরিফ হোসেন সাঈদ’কে ব্লগে আমি তুমি করেই সম্বোধন করতে চাই। আমি ব্লগ-পোষককে পাঠাচ্ছি। ধন্যবাদ।
arifhossainsayeed@gmail.com
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
আপনি-টাপনি কইতে পারুম না। ‘তুমি’তে না পোষাইলে কইয়া দিও – তোমার লেহায় আর মন্তব্য করমু না। 👿 ।
আরিফ হোসেন সাঈদ বলেছেনঃ
আপনি তো নাস্তিক মানুষ। যুক্তি তর্কের বাইরে কিছু বোঝেন না। এত হীনমন্যতায় ভোগেন কেন? আপনার নিশ্চয়ই জানা উচিত একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষকে তুমি করে সম্বোধন করতে হলে তাঁর অনুমতি নিতে হয়। একজন তো এই সমস্যায় পরে আপনি-তুমি বাদ দিয়ে মন্তব্য করে। হ্যাঁ, মানছি আমিও হীনমন্যতায় ভুগছি তা না হলে এ ব্যাপারটায় মাথা ঘামাতাম না। কিন্তু আমার তো একটা যুক্তি আছে, আপনি অনুমতি ছাড়া আমার ব্লগে তো অবশ্যই আমাকেও তুমি করে সম্বোধন করতে পারেন না। এক্ষেত্রে নাস্তিকের যুক্তি কি? আপনি কাল বলেছেন মুসলমান হলে ১০০% মুসলমান হতে হবে। আমি বলছি শুনুন নাস্তিক ও ১০০% নাস্তিক হতে হবে। আপনি যুক্তি ছাড়া একটি ** ও দিতে পারবেন না। আমি কিছু কিছু ক্ষেত্রে খুবই উগ্র। সবার জন্য নয়, কেউ কেউ আমার ঘরে নগ্ন হয়েও প্রবেশ করতে পারে, আর কিছু কিছু মানুষকে চকচকে জুতো আর সুট-টাই পরে আসতে হবে। আপনি পুরোপুরি নাস্তিক হন আর ৫০ ভাগ হন, তাতে আমার কোন মাথা ব্যথা নেই। আমাকে নাস্তিক পরিচয় দিলে যুক্তির ভেতরেই থাকতে হবে, তা না হলে, ঐ মুখে নাস্তিকতার কথা কইলে হলে পায়ের জুতোগুলো খুলে দুগালে বসিয়ে দেব।
আরিফ হোসেন সাঈদ বলেছেনঃ
ভেবে দেখলাম কারও বিশ্বাসে আঘাত করার অধিকার আমি রাখি না। জাহেদ ভাইয়ের উদ্দেশ্যে করা আমার মন্তব্যে প্রচণ্ড আঘাতকারী উপাদান ছিল। আমি কাউকে আঘাত করার অধিকারও রাখি না। আমি লজ্জিত, দুঃখিত। আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আমি প্রচণ্ড আবেগি মানুষ, সবকিছুতেই আবেগ বেশি। জাহেদ ভাই, ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
জাহেদ ভাই, এক কাজ করুন, আপনি আমাকে একটা মেইল করুন। সেখানে উল্লেখ করুন, আরিফ হোসেন সাঈদ’কে ব্লগে আমি তুমি করেই সম্বোধন করতে চাই। আমি ব্লগ-পোষককে পাঠাচ্ছি। ধন্যবাদ।
arifhossainsayeed@gmail.com
মোত্তালিব দরবারী বলেছেনঃ
ভাব ভালা না-লক্ষণ খারাপ।
কিসের মধ্যে কী পান্তাভাতে ঘিঁ।
এরকম একটা বিষয়ের আলোচনায় এটা কিসের আলামত।
দয়া করে আপনার চুপ করুন।
আরিফ হোসেন সাঈদ বলেছেনঃ
আপনাকে ধন্যবাদ।
মাহবুবুর রহমান বলেছেনঃ
স্পীড ব্রেকারের ফেসবুক
জয়েন্ট হতে ভিজিট করুন
https://www.facebook.com/SpeedBreaker.rock
আরিফ হোসেন সাঈদ বলেছেনঃ
মাহবুবুর আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সোহেল মাহমুদ বলেছেনঃ
@আরিফ, স্পীডবেকার সম্পর্কিত এটা একটা আগুন পোষ্ট, অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। তবে মন্তব্যের ক্ষেত্রে মার্জিত হতে আদেশ নয়, অনুরোধ করছি। অনেক বেশি ভাল থাকুন।
আরিফ হোসেন সাঈদ বলেছেনঃ
আপনাকে ধন্যবাদ।
আমি এক লাফে সাগর পাড়ি দেই নাই।
আরিফ হোসেন সাঈদ বলেছেনঃ
আমি ব্লগে ব্যক্তিগত সম্পর্ক গরে তুলতে চাই না। এখানে এসে আমার বাবা যদি মন্তব্য করে তাঁকেও আপনি করেই সম্বোধন করতে হবে। ধন্যবাদ।
আরিফ হোসেন সাঈদ বলেছেনঃ
ক্ষমা দিয়েন ভাই আপনার সাথে কঠিন কথা বলে ফেলছি। 😯
সামসুল আরেফিন বলেছেনঃ
আগুন রে ভাই,আগুন,আপনি পুরাই আগুন ঝরা পোস্ট দিছেন
আরিফ হোসেন সাঈদ বলেছেনঃ
আরেফিনকে ধন্যবাদ।
আইরিন সুলতানা বলেছেনঃ
ছবি-ভিডিও-লেখা মিলিয়ে অসাধারণ পোস্ট আরিফ! এই বিপ্লবী গানগুলো মিউজিকে শুনেছি কতবার, কিন্তু এবারের আনপ্লাগড গুলো যেভাবে সাহস দিল, তা আর কখনোই হয়নি!
একটা অফ টপিক শেয়ার করি সবার সাথে, পরে বিস্তারিত পোস্ট দেব। গতকাল শাহবাগ যাওয়ার পথে, বাসে আমার পাশে বসেছিল একটি মেয়ে। বসার কিছুক্ষণের মধ্যেই হুট করে প্রশ্ন ”কোথায় যাবা?” , দিলাম উত্তর, একটু পর, আবার প্রশ্ন, “কোথা থেকে উঠসো?” …। এভাবে বেশ কিছু আলাপ ..। অর্ধেক রাস্তা পার হয়েছি ততক্ষণ, এবার মেয়েটি জিজ্ঞেস করল, ”তুমি কী পড়?” ..। আমি বললাম, আমি? আমি তো চাকরি করি! মেয়েটি মুখে হাত দিল লজ্জায়! বলল, আমি তো বুঝিনি, আমি তুমি করে বলসি! আমি হেসে উঠলাম, বললাম, কোন সমস্যা নেই, তুমি করেই বল। উল্লেখ্য মেয়েটি এবার এসএসসি পাস করল। 🙂
আরিফ হোসেন সাঈদ বলেছেনঃ
হি হি হি
😀 😆
জাহেদ-উর-রহমান বলেছেনঃ
আরিফ সাহেব,
আমি আপনাকে ‘তুমি’ সম্বোধন করার জন্য দুঃখিত। আর এই পোষ্টে আমার দ্বিতীয় মন্তব্যের (মন্তব্য 3) জন্য লজ্জিত। আমি আসলে আমার প্রথম মন্তব্যে আপনাকে ‘তুমি’ বলে সম্বোধন করার জবাবে যা বলেছেন সেটাকে আপনার মজা করা ভেবেছিলাম। মজা করা আপনার স্বভাবজাত -কাল আপনার সাথে পরিচয়ের পর এটা আমার খুব ভাল লেগেছিল। তাই পরের মন্তব্যতে আমি মজা করেছিলাম। এবং 👿 -এই ইমোটাও মজা করেই দিয়েছিলাম।
আসলে পরিচয় হবার পর যাদেরকে আমি ‘তুমি’ সম্বোধন করেছিলাম ব্লগে এসেও সেটা করে গিয়েছিলাম। কাল আপনার অনুমতি নিয়েই আপনাকে ‘তুমি’ বলেছিলাম। তাই আমি ভাবতেই পারিনি ব্লগে সেটা করার জন্য আমাকে আলাদাভাবে অনুমতি নিতে হবে। আমার শিক্ষা হয়েছে ভালভাবে – আমাকে ভদ্রতা জ্ঞান আরো ভালভাবে শিখতে হবে। আর আমার ভদ্রতা শেখা বিষয়ক প্রয়োজনটা হাড়ে হাড়ে টের পাইয়ে দেবার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আমার ধর্ম বিশ্বাস সম্পর্কে কাল ব্যক্তিগত পর্যায়ে আপনাকে যা বলেছিলাম সেটা ব্লগে এভাবে লিখে দেয়াটা কতোটা যুক্তিযুক্ত এবং নৈতিক হয়েছে সেটা আপনিই ভেবে দেখুন – আপনার ভদ্রতা জ্ঞান আমার চাইতে অন্তত অনেক বেশী আছে। আর ব্লগে আপনাকে ‘তুমি’ সম্বোধন করার সাথে ওটার, বা আমার ‘হীনমন্যতার’, বা আমার গালে জুতো বসিয়ে দেবার কী সম্পর্ক আমি আপনার দীর্ঘ মন্তব্য পড়ে বুঝতেই পারিনি।
বরাবরের মত অনেক ভাল সব পোষ্ট লিখতে থাকুন। অনেক শুভকামণা আপনার জন্য।
আরিফ হোসেন সাঈদ বলেছেনঃ
আমি আপনাকে অনুমতি দিইনি, আপনিও চাননি। পুরো ব্যাপারটা আমি ভুলে যেতে চাই। আপনি শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি। ক্ষমা করে দেবেন। আমি অবশ্যই আমাকে তুমি করে বলতে পারেন। আসলে নানান কারণে আমি কাল খেপেছিলাম। সেটা আপনার উপর ঝেড়েছি। দয়া করে ক্ষমা করে দেবেন। আমি অনুতপ্ত। এটা নিয়ে আর আমাকে লজ্জায় ফেলবেন না। আমি আসলেই মজা করতে পছন্দ করি। আসলে আমার কিছু সমস্যা ছিল।
শুভেচ্ছা।
আপনি আমাকে তুমি করেই বলেন। আমার চেয়ে ১০/১৫ বছরের ছেলেরাও আমাকে তুমি করেই বলে। আমার শারীরিক কিছু ঝামেলা আছে সেটা আমি মেনে নিয়েছি। আমার কিছু মানসিক ঝামেলাও আছে। যাই হোক, এতে আমি কিছু মনে করি না। আপনি বয়োজ্যেষ্ঠ, প্লিজ লজ্জা না দিয়ে তুমি করেই বলেন।
তবে আপনি একজন ভাল মানুষ।
আরিফ হোসেন সাঈদ বলেছেনঃ
ও ভাই আমার এতোক্ষণে মনে পড়ছে আপনাকে আমি তুমি করে না, তুই করে বলার অনুমতি দিছিলাম, 😉 👿
আরিফ হোসেন সাঈদ বলেছেনঃ
আসলে ক্ষেপেছিলাম তো মজাটা চোখে পড়ে নাই। আমার উবুচেতন মনের কাম এইডা। বিশ্বাস করেন, আমি অরে যাইত্তা মাইরা ফালাইছি। আচ্ছা ভাই ক্ষেপার সাথে তো দেখি চোখের সম্পর্ক আছে। ভাল চোখের ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। কিন্তু গিয়া কিভাবে বুলবো বুজতেছিনা। ভাই একটু ম্যানেজ কইরা আমার সমস্যাটা ডাক্তারের কাছে বুলতে পারবেন না, 🙁
আবু সুফিয়ান_অনুসন্ধানী প্রতিবেদক বলেছেনঃ
@অসাধারণ পোষ্ট আরিফ। ধন্যবাদ আপনাকে।
আরিফ অসাধারণ একজন ভালো ছেলে।
জাহেদ ভাই আমরা আপনাকে অসম্ভব পছন্দ করি।
দুই পছন্দের মানুষ।
দেখা হবে।
চা খাবো না খুনি ধরুন।
একটাই দাবি। অন্য কিছু নয়।
চলুক আন্দোলন।
ছিলাম। আছি। থাকবো।
আরিফ হোসেন সাঈদ বলেছেনঃ
ভাই, তুমি করেই বলেন, 😉
আরিফ হোসেন সাঈদ বলেছেনঃ
ভাল ছেলে বুল্বেন না। ভাল ছেলে বুললে আমার কান্না পায়, 😀
মোত্তালিব দরবারী বলেছেনঃ
আসুন আমরা সবাই মিলে আমাদের লক্ষের দিকে এগিয়ে যাই।
অযথা নিজেদের মধ্যে ঝামেলা না করি।
ধন্যবাদ সকলকে।
আরিফ হোসেন সাঈদ বলেছেনঃ
ঝামেলা কোথায়! 😮
জাহেদ ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক পাকাপোক্ত করে নিলাম। 😮
জিনিয়া বলেছেনঃ
কাল থেকে পোস্ট পড়ে যতটা ভাল লেগেছিল, জাহেদ-আরিফ দ্বন্দ্ব পড়ে মনটা তার থেকে অনেক বেশি বিষন্ন ছিল। সামান্য তুই-তুমি যে এত বিশাল ব্যাপার এ নিয়ে কোনও দিন চিন্তা ও আসে নাই। সম্মান কী তুই-তুমি দিয়ে হয়!!!যাই হউক আজ আরিফ এর মন্তব্য পড়ে কিছুটা ভাল লাগলো। মাথায় আর মনে যত সমস্যা ই থাকুক, দয়া করে অন্যের উপর তা প্রকাশ করবেন না..বাংলাদেশ এর সবাই কোনও না কোনও ঝামেলায় থাকে..সুখী কেউ নয়.।
দেশ এ কত সমস্যা আছে, তা নিয়ে আমাদের ফোকাস করা উচিত বলে মনে হয়। নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করেই তো আমরা ধ্বংস হতে চলেছি, আর নয়..আর নয়..চাই একতা..
আরিফ হোসেন সাঈদ বলেছেনঃ
জিনিয়া, আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ও মা দিবসের শুভেচ্ছা। মাসের কয়েকদিন আমি পাগল থাকি, এটা কিছু না। তবে পরে কিন্তু সবার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিই। আসলে প্রতিভাবানরা একটু পাগলই থাকে। 😐
আরিফ হোসেন সাঈদ বলেছেনঃ
ম্যাডাম, মনে হয় একটা জিনিস মিস করেছেন, তুই তুমি ফ্যাক্টর না, ব্লগে প্রাচীনকাল থেকেই আমাকে অনেকে তুমি করে সম্বোধন করে আসছে, আমি আপত্তি করি নাই। সমস্যা আমার পেটের। পেট ভাল হইছে। ধন্যবাদ।
জিনিয়া বলেছেনঃ
আরিফ, আপনাকে ধন্যবাদ। আমার কাছে প্রতিটি দিনই মা-বাবা দিবস। আপনার পেট এর সমস্যা দূর হয়েছে শুনে ভাল লাগলো। আর মাসের যে কয়টা দিন পাগল থাকেন, দয়া করে সে কয়েকটা দিন ব্লগ এ লিখবেন না। অন্যদের ও পাগল করবেন না। নিজেকে প্রতিভাবান ভাবা পাগলের প্রধান লক্ষণ।
ভাল থাকুন..বেশি বেশি পোস্ট লিখুন। ইনশাআল্লাহ পাগলামি দূর হয়ে যাবে। অনেক শুভেচ্ছা তোমাকে। হি হি হি।
আরিফ হোসেন সাঈদ বলেছেনঃ
আপনি খুব মজার মানুষ। কথাগুলো খুব বন্ধু-সুলভ শোনা গেছে। আসলে আপনারা যারা ভেবেছেন আপনি তুমিতে আমি খুব কঠোর তা কিন্তু নয়। এতে আমি মাথা ঘামাই না। তাছাড়া আমাদের বাঙালি সমাজে, শুধু বাঙালি সমাজ বলছি কেন, সব সমাজেই কিন্তু যুক্তি মেনে সম্বোধন করা হয় না। আমাদের দেশের প্রচলিত নিয়ম হল, ছোটকে তুমি, খুব কাছের কাউকে তুই, আর বয়োজ্যেষ্ঠদের আপনি সম্বোধন করে বলা।
অফিসিয়ালি ব্যাপারটা কিন্তু আমাদের নিজেদের জিনিস নয়। এখানে ছোট বড় সবাইকেই আপনি করেই বলতে হয়। আমরা বাঙ্গালিরা কিন্তু এতে অভ্যস্ত নই।
অনেক দেশেই শুধু একটি শব্দ দিয়েই সম্বোধন করতে হয়। আবার জাপানে সম্বোধনের জন্য ৫টি শব্দ রয়েছে।
আমার কিছুটা মানসিক সমস্যা আছে ঠিক, সেটা আমি জানি, এতে কাউকে সমস্যায় পরতে হয়না। তবে শারীরিক কোন সমস্যা নেই, এটি আমার বংশগত কারণ।
আমি যে খুব ধার্মিক মানুষ, তা নয়। কেউ কেউ আমাকে নাসিকও বলে। সেটি মূল কথা নয়।
জাহেদ ভাইয়ের সাথে খারাপ ব্যবহার করার কারণও আপনি তুমি নয়, সেটি উপলক্ষ মাত্র।
আসল কারণ হল, তিনি প্রকাশ্যে সবাইকে বুঝানোর চেষ্টা করেন, আপনার ধর্মটি ঠিক নয়, সেটি ভুল বা বাহুল্য বা দরকার নেই ইত্যাদি ..।
সেটি কেন জানি আমাকে আঘাত করেছে। প্রকাশ্যে কেউ এভাবে কারও ধর্ম বিশ্বাসে আঘাত করার অধিকার রাখেন না।
নাস্তিকরা একটি বিষয় বোঝানোর চেষ্টা করেন, সেটা হল যুক্তি। যুক্তি দিয়ে তারা বুঝানোর চেষ্টা করেন ধর্ম ভুল। কিন্তু তারা জানেন না, ধর্ম কেউ যুক্তি মেনে করেন না। ধর্ম যুক্তির বাইরে। তারা এটি বিশ্বাসে করেন। যুক্তি দিয়ে সব কিছু প্রমাণ করা যায়। সৃষ্টি কর্তা আছে তার পক্ষে যেমন জোরালো যুক্তি আছে তেমনি সৃষ্টি কর্তা নেই তার পক্ষেও জোরালো যুক্তি আছে। যুক্তি দিয়ে সব রহস্য সমাধান করা যায় না।
আমি বোঝাতে চেয়েছিলাম, নাস্তিকরাও যুক্তি মেনে চলেন না। তারাও বিশ্বাসে চলেন, তারাও বিশ্বাস করেন সৃষ্টি কর্তা নেই। এটি এক রকম বিশ্বাস। যা ধর্ম। ধর্মের মূল ভিত্তিই হল বিশ্বাস। তিনি আমাকে বয়সে ছোট বলে তুমি করে সম্বোধন করেছেন, কারণ এটি হল প্রথা, সামাজিক নিয়ম, এক ধরণের বিশ্বাস। যা ধর্ম। একজন নাস্তিকের অবশ্যই সৃষ্টি কর্তায় অবিশ্বাসের অধিকার রাখেন। তবে একজন ধর্মাবলম্বীর উপর প্রভাব ফেলা বা তাঁকে বলার অধিকার রাখেন না যা ঐ ব্যক্তি বিশ্বাস করেন।
ধন্যবাদ।
আরিফ হোসেন সাঈদ বলেছেনঃ
দুঃখিত- কেউ কেউ আমাকে নাস্তিক বলে
আরিফ হোসেন সাঈদ বলেছেনঃ
তবে আমি কিন্তু স্বীকার করেছি, জাহেদ ভাইয়ের সাথে আমার আচরণ অন্যায় হয়েছিল।
আবু সুফিয়ান_অনুসন্ধানী প্রতিবেদক বলেছেনঃ
আরিফ, রুহআফজা খামু ভাই।
আরিফ হোসেন সাঈদ বলেছেনঃ
🙄 ঠিক আছে 😮 ঠিক আছে 😯 ঠিক আছে 🙁 ঠিক আছে 😥
জিনিয়া বলেছেনঃ
আরিফ, ধর্ম নিয়ে আপনার ভাবনার সাথে আমি শত ভাগ সহমত। আমাকে অবশ্য নাস্তিক বলার কেউ সাহস রাখে না। কারণ আমি কাউকে সে সুযোগ দেই না। আমি মনে যা বিশ্বাস করি, তাই প্রকাশ করি।
ভাল কথা এই সব ঝগড়া ফ্যাসাদ এর মধ্যে লাভ (তৃতীয় পক্ষের) মানে আমারই হল..আপনাকে জানার সুযোগ হল…ভাল থাকুন..
আরিফ হোসেন সাঈদ বলেছেনঃ
এতো সহজে মানুষকে বোঝা যাবে না।