‘রি-এক্সামের’ আবেদন ফি ও প্রাসঙ্গিক কিছু কথা

আরজু আহমাদ
Published : 18 Sept 2015, 07:57 PM
Updated : 18 Sept 2015, 07:57 PM

আমাদের দেশে সাধারণত বড় দুই পাবলিক পরীক্ষা এস এস সি এবং এইচ এস সি তে ফল প্রকাশের পর রি-এক্সামের জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ে। একই অবস্থা অধুনা শুরু হওয়া জে এস সি পরীক্ষার ক্ষেত্রেও। এসকল আবেদন শিক্ষা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমলে নিয়ে আবেদনকারী ছাত্রছাত্রীদের খাতা যাচাই করে দেখেন। সাধারণত দুটো বিষয় এ ক্ষেত্রে লক্ষ্য করা হয়। এক. যে সব প্রশ্নের উত্তর শিক্ষার্থীরা করেছে কিন্তু তাতে নাম্বার প্রদান করা হয় নি। যদি এমন উত্তর থেকে থাকে যা মূল্যায়ন করা হয় নি, তবে তা মূল্যায়ন করে নাম্বার প্রদান করা হয়। দুই. যাচাই করে দেখা হয় এমন কোনো উত্তর রয়ে গেছে কিনা যাতে নাম্বার প্রদান করা হয়েছে কিন্তু তা মোট নাম্বার যোগ করার সময় বাদ পড়েছে। যে কোনো এক ক্ষেত্রে কিংবা দুটোতেই নাম্বার বৃদ্ধি পেলে তা সংযোজিত করে রি-এক্সামের ফল প্রকাশিত হয়। যেহেতু এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে কতৃপক্ষের সময় ও অর্থ দুইই ব্যয় হয়। তাই আবেদনকারী শিক্ষার্থীকে প্রতি সাবজেক্ট পিছু একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ আবেদনের সময় প্রদান করতে হয়। এ পর্যন্ত পুরো পক্রিয়াটিই ঠিক আছে। তবে উল্লেখ্য যে, যার রিজাল্টে পরিবর্তন হয় তাকেও কোনো অর্থ ফেরত দেওয়া হয় না। আর সমস্যাটি ঠিক এ জায়গাতেই। কারণ যে শিক্ষার্থীর খাতা পুনঃনিরীক্ষার পর নাম্বার বৃদ্ধি পায়, তার খাতা যে ত্রুটিপূর্ণ ভাবে মূল্যায়ন করা হয়েছিল তা এতে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয় এবং যা সম্পূর্ণই কতৃপক্ষের ত্রুটি। আর কতৃপক্ষ নিজেদের ত্রুটির জন্য ভোক্তভোগীর কাছ থেকে মাসুল আদায় করবে এটা নৈতিক হতে পারে না। আমি মনে করি, মানবিক দিক বিবেচনায় হলেও অন্তত কতৃপক্ষের উচিত এই অর্থ ফেরত দেওয়া। তাছাড়া পৃথিবীর অনেক দেশেই এরকমটাই করা হয়। যেমন ব্রিটিশ কাউন্সিলে আই ই এল টি এস পরীক্ষার রিজাল্ট চ্যালেঞ্জ করে পুনঃনিরীক্ষার আবেদন করা হলে তা যাচাই-বাছাই করে যদি আবেদনকারীর নাম্বার বৃদ্ধি পায় তবে তার আবেদনের সময় জমা নেওয়া অর্থ ফেরত দেওয়া হয়। আর এটাই যথোচিত।

ফেসবুকঃ www.facebook.com/arju96