জীবনের ঝুঁকি জেনেই সাংবাদিকতায় আসতে হবে: আরেফিন সিদ্দিক

আমিনুর রহমান হৃদয়
Published : 20 Oct 2017, 01:56 AM
Updated : 20 Oct 2017, 01:56 AM

সাংবাদিকতাকে ঝুঁকিপূর্ণ পেশা হিসেবে উল্লেখ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, সত্য প্রকাশ করতে গিয়ে অনেক সময় অনেকের শত্রুতে পরিণত হতে হয়। এমনকি অনেকে হত্যাকাণ্ডেরও শিকার হন। এটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ পেশা। এ ঝুঁকি যতটা না চাকরি তার চেয়ে বেশি জীবনের। এটা জেনেই সাংবাদিকতা পেশায় আসতে হবে। আর বর্তমানে তরুণরা সাহস নিয়েই এই পেশায় আসছেন।

.

বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আর সি মজুমদার অডিটোরিয়ামে 'একতাই বল যোগাযোগই সম্বল' এই ধ্বনি নিয়ে বাংলাদেশ জার্নালিজম স্টুন্ডেটস কাউন্সিল (বিজেএসসি) এর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের অভিষেক এবং ''সাংবাদিকতা শিক্ষা ও পেশা : বর্তমান ও ভবিষ্যত'' শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি'র বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সাংবাদিকতার সবচেয়ে বড় বিষয় বিশ্বাসযোগ্যতা এ কথা সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের মনে করিয়ে দিয়ে তিনি আরো বলেন, গণমাধ্যমের বিশ্বাসযোগ্যতা না থাকলে জনগণ সেটা গ্রহণ করবে না। ব্যক্তি হিসেবে সাংবাদিকের বিশ্বাসযোগ্যতা থাকা আবশ্যক। সেই জন্য সত্যনিষ্ঠতার প্রয়োজনীয়তা আছে। সাংবাদিকতা ও সত্যনিষ্ঠতা একে অপরের পরিপূরক। সাংবাদিকের কাজই হচ্ছে সত্য প্রকাশ করা। সাংবাদিকতায় মিথ্যাচার বা অপসাংবাদিকতার সুযোগ নেই। সাংবাদিকতা পেশায় সত্যনিষ্ঠতা আনতে হলে একজন সাংবাদিককে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিকভাবে সত্যনিষ্ঠ হতে হয়। আজকের বিশ্বের যোগাযোগ ব্যবস্থা একটি বড় সম্পদ। সে সম্পদকে কাজে লাগানোর জন্য যোগাযোগের দক্ষতা প্রয়োজন।

.

এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহম্মদ শফিকুর রহমান। সভায় বিজেএসসি'র সভাপতি সনজিৎ সরকার উজ্জ্বলের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক মোঃ মফিজুর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. শাহ মোঃ নিসতার জাহান কবির, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, স্বাধীনতা সাংবাদিক পরিষদের আহ্বায়ক বরুন ভৌমিক নয়ন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক সালমা আহমেদ প্রমুখ।

সভা সঞ্চালনা করেন বিজেএসসি'র সাধারণ সম্পাদক ইমরান আহমেদ । অনুষ্ঠানে ১১টি সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগে অধ্যয়নরত প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়।