(ইহা একটি কল্পনাপ্রসূত কাহিনী, কোন বাস্তব ঘটনা বা ব্যক্তির সাথে সাদৃশ্য কাকতাল মাত্র।)
রাখাল বাহাদুর মনের আনন্দে ঘাস ( থুক্কু পান) চিবাইতেছিলেন । কান চুলকাইতে খায়েছ জাগিলেও কর্ণ ছিদ্রের দুরাবস্থার কথা ভাবিয়া, মস্তিক হইতে সেই চিন্তা ঝাড়িয়া ফেলিলেন। ধীরে ধীরে কেমন যেন নস্টালজিকও হইয়া গেলেন (পানের সাথে কী কাঁচা সুপারি ছিল আজ?) । আপন মনে গাহিয়া উঠিলেন
"বিচারপতি, তোমার বিচার করবে যারা
আজ জেগেছে সেইত জনতা ……. "
নাহ, এই জনতাকে জাগিতে দেওয়া যাইবে না । বড়ই খাতরনাক জিনিষ এরা। আজ ইহাকে ভাললাগে তো কাল উহাকে । বহু কষ্ট করে টানা দুইবার পাঁচশালা ইজারা পাহিয়াছেন। আর এই বিচারপতিদের দল, মুখে যাহা আসে বলিয়া দেয়, কথায় কথায় মোটা মোটা পুস্তককথা বলিয়া বসে। কী করা যায় ভাবিতে ভাবিতে আইন বাহাদুরকে ডাকিয়া পাঠাইলেন। অবস্থা দেখিয়া, ( যত না দেখিয়া তাহার চাইতে বেশি কল্পনা করিয়া ) এক ফন্দি পাতিলেন।
রাখাল বাহদুর, গানের মাঝেই তো সমস্যার সমাধান আছে। কহিলেন আইন বাহাদুর।
কী রূপে? রাখাল বাহাদুরের প্রশ্ন।
তোমার বিচার করবে যারা, এই রূপে কহিতে থাকিলেন আইন বাহাদুর, লুই কর্ণ সাহেবের নকশা করা ঘরে যারা বসে তাহারাই তো জনগন। জনপ্রতিনিধি বলিয়া কথা।
তো?
কেন আপনার মনে নেই? আগে তো আমারাই অভিশংসন করিতে পারিতাম। মূল আইন পুস্তকে একখানা সংশোধন করিলই সমস্যার সমাধান। ব্যখ্যা করিলেন আইন বাহাদুর।
যেরূপ ভাবনা সেরূপ কর্ম, কালকে বিল্মবিত হইতে না দিয়া, এক দশ ছয়তম সংশোধন করিয়া ফেলিলেন।
তাহার পরেও উটকো ঝামেলার তো অভাব নাই। প্রানসখি সবাইকে বলিয়া কহিয়া বেড়াইলেন, ইহা অনাচার, আসুন আমরা একদিনের কর্ম বিরতী পালন করি।
জনগন বড়ই খাতরনাক, বলিয়া দীর্ঘশ্বাস ছাড়িলেন রাখাল বাহাদুর।