নকল ডলার বিক্রেতাদের দৌরাত্ম বেড়েছে চট্টগ্রামে!!

আশরাফ উদ্দিন
Published : 18 April 2012, 05:52 AM
Updated : 18 April 2012, 05:52 AM

আজ সকালে অফিসে আসছিলাম সকাল ৮:৩০ হবে নাগাদ। সিলভারস্পুন রেস্টুরেন্ট এর সামনে আসতেই এক ব্যক্তি আমাকে লক্ষ করে বলে উঠলেন এই সার আমাকে একটু সাহায্য করতে পারবেন?
আমি: হাঁ বলুন
ব্যাক্তি: এই টাকাটা কোথায় ভাঙ্গানো যেতে পারেন বলূন তো?

সাথে সাথে আমার বড় ফুফার একটা ঘটনা মনে পড়ে গেল। একদিন এরকম এক ব্যাক্তি আমার বড় ফুফাকে একটি ড়লারের নোট দিয়ে বললেন য়ে স্যার টাকাটা কোথায় ভাঙ্গানো যাবে? এরকম অনেক কথা বার্তার পর বড় ফুফা ড়লারের নোট টা রেখে তাকে কিছু টাকা দিলেন। সেটা ছিল আসল ডলার । আর সেটা বিক্রি করে আমার বড় ফুফা অতিরিক্ত কিছু টাকা পেয়েছিলেন। এর কিছু দিন পর একই ব্যাক্তি বড় ফুফার কাছে বেশ কিছু ড়লার এলে বললেন স্যার আমার কাছে আরো বেশ কিছু ডলার আছে আমি তো এগুলো সঠিক বাংলা টাকার পরিমাণ জানিনা আপনি যদি এগুলো বিক্রির ব্যবস্থা করে দিতেন তাহলে আপনি ও কিছু টাকা পেতেন আবার মার ও একটু উপকার হতো। তো বড় ফুফা তার কাছ থেকে টাকা গুলো নিলেন এবং তাকে অফিসে বসিয়ে রেখে অফিসের এক পিয়ন কে দিয়ে ডলার গুলো ভাঙ্গানোর জন্য পার্শ্ববর্তী একটি ব্যাংকে পাঠালেন। তখন ব্যাংকের অফিসাররা তাকে আটক করে বড় ফুফাকে ফোনে জানালেন। ফুফা তাদের পূর্ব পরিচিত ও ভালো যোগাযোগ থাকায় পিয়ন ও তিনি বেছে গেলেন ওই লোকটা পালিয়ে গিয়েছিল সুযোগ বুঝে সময়মতো।

ঘটনা টা সাথে সাথে মনে পড়ে গেল আমার লোকটা যখন তার মানি ব্যাগ থেকে একটা ডলারের ১ শত টাকার নোট বাহির করে আমার চোখের সামনে নাড়া -নাড়ি করছিলেন।
একবার ভেবেছিলাম তাকে নিয়া কিছুক্ষণ খেলবো। অফিসে এনে টাকা নিয়া থানায় খবর দিয়ে উচিত শিক্ষা দেব। আবার চিন্তা করলাম ওতো ঝামেলা করার সময় নেই ।
তাকে বললাম আপনি যে কোন ব্যাংকের সাহায্য নেন।

সাথে সাথে সে বুঝতে পালো আমার চিন্তাধারা সে আমার সাথে আর কোন কথা না বাড়িয়ে খুব দ্রুত আমার নজরের বাহিরে ছলে গেল। আমি তার ছলে যাওয়ার গতিবেগ একটু দাড়িয়ে উপলব্ধি করে নিজের কর্মস্থলের দিকে যাত্রা শুরু করলাম।

আমাকে ঠকাতে না পেরে হত সে এখন অন্য কোন সহজ সরল ব্যাক্ত কে খুঁজছে তার উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য।