চাঁদাবজির লাইসেন্স এবং প্রানহানি আর বেপরোয়া ছাত্রলীগ

আতাস্বপন
Published : 17 July 2012, 11:03 AM
Updated : 17 July 2012, 11:03 AM

পদ্মা সেতু সংক্রান্ত একটি লেখা কিছুদিন আগে ব্লগে লিখেছিলাম। তাতে সাধারণ জনগনকে অর্থ কালেকশনের সাথে বা ফান্ড গঠনে না জড়ানোর কথা বলেছিলাম। সরকার গো ধরেছেন তারা সাধারণ জনগনের কাছে থেকে ফান্ড যোগার করবেনই। মাননিয় প্রধান মন্ত্রী এর জন্য একাউন্টও খুলেছেন। আর এক্ষেত্রে এগিয়ে আছে সরকারী দলের অংগ সংগঠন ছাত্র লীগ।

পদ্মা সেতু নিয়ে তারা রিতিমত চাঁদাবাজী শুরু করে দিয়েছে। যা সত্যই দু:খজনক। চাঁদা তুলতে হবে কেন? সমাজের বিত্তবান যারা, অঢেল টাকার মালিক যারা, যারা এসব টাকা অপচয় করেছেন বিদেশে মার্কেটিং করে বা সফর করে। বা দামি দামি গাড়ী ক্রয় করে। তাদের থেকে ফান্ড গঠন করতে পারেন। দলিয় এম.পি. মন্ত্রি, এবং দানশীল নেতা কর্মীদের কাছে থেকে নিতে পারেন ফান্ড। অযথা জনগনের কাছে ফান্ড গঠনেব উছিলায় নিজেদের অংগ সংগঠনের ফান্ড করার জন্য চাঁদা তুলা ঠিক হচ্ছে না। এই চাদা নিযেই চলে গেল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি তাজা প্রান। কোন অপজিশন তাকে মারেনি। মেরেছে তারই দলের লোকেরা। মনিং সোজ দ্যা ডে বলে একটা কথা আছে। পদ্মা সেতু ফান্ড গঠনের শুরুটা হয়েছে নৃসংশতা দিয়ে। এর ফল কতটা ভাল হবে ? আল্লাহই জানোন। এই ভাবে পদ্মা সেতুর নামে চাঁদা তুলে সে টাকা যে লুট হবে না তার গ্যারেন্টি কে দিবে? যারা শেয়ারের মাধ্যমে জনগনের লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিল তাদের কি বিশ্বাস করা যায়?

পদ্মা সেতুর নামে চাঁদাবাজির লাইসেন্স দিয়ে সরকার কি লুটেরাদের উৎসাহিত করছেন না? নি:স্ব জনগনের ধারে কাছেও টাকা চাইতে বা চাঁদা চাইতে আসবেন না। জনগান বরই ক্ষ্যাপা। চারিদিক লুটেরায় ভরে গেছে। জনগনকে লুটেপুটে খাচ্ছে তারা। লুটেরাদের চিহ্নিত করে তাদের কাছ থেকে চাঁদা তুলুন। ঋণ খেলাপিদের ঋণ পরিশোধে বাধ্য করুন।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার দলের ছাত্র সংগঠন চাঁদা বাজি করতে যেয়ে যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করল তা দেখে কি আপনার মনে হয় পদ্মা সেতুতো দুরের কথা, এদের দ্বারা ভবিষ্যতে দেশের ভাল কিছু হবে।