সবারই গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনীতি করার অধিকার রয়েছে

আতাস্বপন
Published : 2 Jan 2013, 07:24 PM
Updated : 2 Jan 2013, 07:24 PM

পবিত্র কালামে পাকে আছে,

তোমাদের মধ্যে এমন একটি দল থাকতে হবে যারা সত্য ও ন্যয়ের পথে মানুষকে ডাকবে।

কাজেই ইসলামী দল অবশ্যই থাকবে।

যারা বলে ইসলামী দল বা রাজনীতি ইসলামে নেই তারা বোকার সর্গে বাস করছে। জেনে বুঝে ইসলাম সম্পর্কে কমেন্টস করা উচিত। আমাদের একজন সম্মানীত মন্ত্রী সম্প্রতী নিজের মনগড়া মত দিয়ে ইসলামকে ব্যাখ্যা করতে যেয়ে মুসল্লীদের দ্বারা লাঞ্চিত হয়েছেন। এটা সত্যই দু:খজনক। এটা অপ্রত্যাশিত। কিন্তু যারা এমন পর্যায়ের ব্যাক্তি তাদের কথাবার্তা একটু তথ্যবহুল হওয়া দরকার।

গনতন্ত্রে সবদলই অংশ গ্রহন করবে। জনগন যাকে খুশি তাকে ভোট দিয়ে বাছাই করবে। আর আল্লাহ চাহেত যে বেশী ভোট পাবে সেই সরকার গঠন করবে। কাজেই এখানে অমুক দল থাকবেনা তমুক দল নিষিদ্ধ এটা গনতন্ত্রের খেলাপ। ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদে যারা বিশ্বাসী তারা যদি জনগনের আস্থা অর্জন করতে পারেন তারাও নির্বাচিত হতে পারেন। কাজেই ইসলামী দল আর ধর্মনিরপেক্ষ দল বা অন্য মতাদর্শের যেকোন দল সবারই গনতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজনিতী করার অধিকার রয়েছে। বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে অন্যদলে পাশাপাশি ইসলামী দল রাজনিতি করছে। সম্প্রতি মিশরে তেমন একটি দল ক্ষমতায় গিয়েছে। কম হোক বা বেশী হোক ইসলামী রাজনৈতিক দল যেমনই ভোট পাক তাতে তাদের নিষিদ্ধ করার দাবি করা কখনো উচিত নয়।

বাংলাদেশের মানুষ যদি ইসলামী দল পছন্দ করে তবে ইসলামী দল নির্বাচিত হবে। না করলে না। তাদের রাজনৈতিক ময়দানে অংশগ্রহন অবশ্যই যু্ক্তিযুক্ত। তাদেরকে কেউ প্রতিহিংসা বসত বা নিজেদের নৈতিক আদর্শ চুতির কারনে ভয় করে ভোটে হারার ভয়ে নিষিদ্ধ করার পায়তার বা দাবি যেনো মামুর বাড়ীর আবদার।

যারা রাজাকার মানবতা বিরোধী তাদের বিচার শুদ্ধ ও স্বচ্ছ হতে হবে। এতে কারো আপত্তি নেই। দেশ প্রেমিক জনতা মীরজাফরদের বিচার চায়। তবে ছল চাতুরী করে কাউকে আসামী বানিয়ে নয়। তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে প্রমান করে তবেই বিচার করতে হবে। আর এক্ষেত্রে ইসলামী দলকে টার্গেট করে বিচার করা ঠিক নয়। হ্যা কোন কোন ইসলামী দলে যুদ্ধাপরাধী থাকতে পারে। তাই বলে সব ইসলামী দল বা পুরো দল কে দোষারপ ঠিক নয়। এতে শুধু প্রতিহিংসাই প্রাকশিত হয়। মোট কথা যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে ইসলামী দল নিষিদ্ধের পায়তারা করা কখনোই উচিত হবে না।

হ্যা কোন দল যদি যুদ্ধাপরাধের বিচার এর বিরোধীতা করে তার বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে সব দলকেই। নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠ বিচার করার পর তার বিরুধিতা যুক্তিযুক্ত নয়। তবে বিচার এ যদি সমস্যা থাকে তার বিরোধিতা শুধু নয় এর বিরুদ্ধে জনমত গঠন করা সকল দলেরই কর্তব্য। আন্তর্জাতিক ভাবে যদি এ বিচারের নিরপেক্ষতা প্রমান করা যায় তবে আসামীদের কোন লবিংই সত্যকে ধামাচাপা দিতে পারবে না।

ইসলামী দলগুলোর বেশীর ভাগই নিরপেক্ষ বিচারের পক্ষে। তারা শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চিরতার্থের হাতীয়ার হিসেবে যেনো বিচার না হয় এর বিপক্ষে। আর যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে ইসলামী দলকে শুধু টার্গেট করা ঠিক নয়। অনেক অমুসলিমও আছে যারা রাজাকার ছিল।

গোলাম আজম নিজামী সাইদী যদি অপরাধী প্রমান হয় অবশ্যই তাদের বিচার চাই। শুধু বলছি প্রমান সাপেক্ষে। যেহেতু এটা বিচার। ফয়সালার বিষয়। মহনবী সা: জেনার আসামীকেও প্রমানের অভাবে ছেরেদিয়েছেন। তাদেরকে শুধু লেয়ান করিয়েছেন। লেয়ান হল একজন আরেকজনকে ধংস হবার অভিশাপ দেয়া আল্লাহর নামে। কেউ কেউ মনে করেন বিচার না করে সন্দেহ ভাজনদের সরাসরি ফাসিতে ঝুলিয়ে দিলে কি লেঠা শেষ। এটা কখনো ইসলামী বলেন বা আন্তর্জাতিক বলেন কোন আদালতে গ্রহন যোগ্য নয়। জামায় ইসলামী স্বাধীনতা বিরোধী দল সবার জানা। স্বাধীনতার বিরুধীতার বিচার হলে তাদের বিচার অবশ্যই হতে হবে। তবে মানবতা বিরোধী অপরাধ কারা কারা করেছে তা তদন্ত করে বের করে করতে হবে। কারন এখানে বিচার করা হচ্ছে। বিচার মানে সত্য-মিথ্যা যাচাই। যদি জানেনই কে অপরাধী তাকে বিচারর করার দরকার কি? আমার একটিই কথা একটি ইসলামী দল অপরধী হলে অন্যগুলো নিষিদ্ধ হতে হবে এটা ঠিক নয়।

অনেকে মনে বলতে পারেন আমি জামায়াতকে ইসলামী দলের সাথে মিশাছ্চি কেন? তারা কি ইসলামী দল?
জামাযাতকে ইসলামের সাথে মিলাচ্ছি না।ইসলামী নাম থাকায় তারা ইসলামী দল হিসেবে পরিচিত। তারা কতটুকু ইসলাম মানে বা মানে না তা আমার জানার বিষয় নয়।
সকল দল যদি থাকে ইসলামী দলও থাকা উচিত এটাই এখানে মূখ্য বিষয়