সাতাইশ টঙ্গির একটি ঐতিহাসিক এলাকা। সাতাইশে ডাকাতির ঘটনা যেনো নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। এইতো গত কিছু দিন আগে সাতাইশ ব্যাংক পাড়ায় জনাব মুজিবর ভেন্ডারের ভাইয়ের বাসায় ডাকতি হয়ে গেল। রাতের আধাঁরে ডাকতরা তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের বেঁধে ডাকাতি করে চলে গেল। তারও কিছু দিন আগে ডাকাতি হয়ে গেল সাতাইশ পূর্ব পাড়ার কিছু বাসায় । বেশীর ভাগ বাসই দুপুরে ডাকাতি করা হয়েছে। দুপুরে গার্মেন্টস কর্মীরা কাজে থাকে। তখন তাদের খালি বাসগুলোতে দুপুরের নির্জনতায় চুরি- ডাকাতি করে দুর্বৃত্তরা। দিন দিন যেনো এর প্রকোপ আরো বাড়ছে। সময় থাকতে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। তা নাহলে জন নিরাপত্তা হুমকীর সমুক্ষীন হবে।
২০০৯ সালের কথা। সাতাইশ এলাকায় তখন কারেন্টের তার চুরি অস্বাভাবিক হারে বেড়ে গিয়েছিল। দিনে নতুন তার লাগানোর পরপরই রাতে বাঁশের খুটি কেটে তার কেটে নেয় চোররা। কী যে মগের মল্লুক অবস্থা! সে সময় এ অবস্থা উত্তরনে এগিয়ে আসে এলাকার কিছু তরুন। ভাই ভাই যুব সমিতি নামে তাদের একটি সংগঠন এই কাজে সহযোগিতায় এগিয়ে আসে। এর উদ্যোগে এলাকার সকল স্তরের জনগনকে ঐক্যবদ্ধ করে টংগী থানার প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় সাতাইশ পূর্ব পাড়া ঈদগাঁহ রোডে চুরি-ডাকাতি প্রতিরোধ কল্পে ২০০৯ সালের শেষ দিকে কমিউনিটি পুলিশ কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। এর ফলে রাতে কিছুটা স্বস্তি আসলেও দিনে দুপুরে স্বস্তি পাওযা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর আর প্রশাসনকে আশু পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ করছি।
সূত্র: