নৈতিকতার ফারাক

আতাস্বপন
Published : 1 May 2015, 06:29 AM
Updated : 1 May 2015, 06:29 AM

সোহেল তাজকে স্যালুট জানাই। বাঘের বাচ্চা একজন। অন্যায়ের সাথে আপোষহীন এক নেতা। পদের চেয়ে আদর্শ যার কাছে বড়। সালাম বস। আনিসুল হক আমি এই লোকটিকে টিভির উপস্থাপক হিসেবে প্রথম দেখি। লোকটির সুন্দর উপস্থপনা কথার মাধুর্য আমায় মুগ্ধ করে। অনেক কাল পরে এসে তাকে দেখলাম ব্যাবসায়ীদের নেতা হিসেবে নতুন রূপে। আজ তাকে দেখছি মেয়র রূপে। এ লোকটির প্রতি আমার একটা অন্যরকম ধারনা ছিল যা সোহেল তাজের ক্ষেত্রে রয়েছে। কিন্তু তা সিটি নির্বাচনে ভেঙ্গে গেল। ভেবে ছিলাম উনি একজন আদর্শবান বুঝদার নিরপেক্ষ মানুষ। যে কথাগুলো উনি বিশ্বাস করেন তাই বলেন। সে মতে চলেন । আজ সে মানুষটির প্রতি তেমন ধারনা রাখতে পারছি না। উনার মত এমন একজন মানুষ আজ পদ পদবীর কাছে বিক্রি হয়ে গেলেন। নৈতিক ভাবে তার এ পরাজয়ে আমি সত্যই বিস্মিত ।

যেখানে সোহেল তাজ পদ পদবিকে বুড়ো আংগুল দেখিয়ে নিজ সততা আর নৈতিকতার পতাকাকে উচ্চে তুলেছেন। সেখানে এমন বুঝদার একজন লোক হযে যে নির্বাচন আসলে কোন নির্বাচনই নয় প্রহসন তা জেনেও দাঁত কেলিয়ে হেসে মেয়র হবার জয় সেলিব্রেট করছেন। উনার সাথে এটা যায় না। তার সে বিবেককি মরে গেছে। যা টিভির উপস্থাপনার সময় জাগ্রত ছিল। কত সমস্যা কত অসংগতি নিয়ে তিনি কথা বলেছেন। সত্য ন্যয়ের পক্ষে। আজ সেগুলো তিনি ভুলে গেলেন পদ পদবির মোহে। বুকে হাত দিয়ে উনি কি বলতে পারবেন এ নির্বাচনটি সুষ্ঠ নির্বাচন। উনার মত একজন লোক এমন একটা প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের পরও কি করে এখনও …………..মেয়র হিসেবে শপথ নেয়ার কথা ভাবে। ওনার তো বলা উচিৎ ছিল আমি এভাবে মেয়র হতে চাই না। জনগনের স্বাধীন ভোটে নির্বাচিত হতে চাই। এই ভোট আমাকে ছোট করেছে।


না! তিনি পারলেন না। তেমনটি করতে বিকিয়ে দিলেন নিজেকে। সাথে সাথে নিজের এতেকালের গড়া ন্যায় নিষ্ঠতার ইমেজকে গুড়িযে দিয়েছেন। সত্যই আজ তিনি একজন রাজনিতীবিদ হয়ে উঠেছেন। সত্যকে মিথ্যা । মিথ্যাকে সত্য ভাবেতে শিখেছেন। আর সোহেল তাজ রাজনিতিবীদ ছিলেন উনি সত্যকারের মানুষ হয়েছেন। আজ একই দলের দুই জনের মাঝে নৈতিকতার ফারাক।