মাদ্রাসা শিক্ষা আধুনিকায়নে সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা প্রয়োজন

আতাস্বপন
Published : 7 Sept 2015, 04:50 PM
Updated : 7 Sept 2015, 04:50 PM

আমাদের দেশে তিন প্রকার শিক্ষা ব্যবস্থা আছে। বাংলা, ইংরেজী আর মাদ্রাসা। বাংলা ও ইংরেজীর প্রতি সবার আগ্রহ বেশী। মাদ্রাসাকে সবাই একটু অন্যরকম ভাবে দেখে। দেখা য়ায সমাজের বৃত্তবানদের বেশীর ছেলেমেয়ে ইংলিশ মিডিয়ামে পড়ে। মধ্যবিত্তদের বেশীর ভা্গ বাংলা মিডিয়ামে পড়ে। মধ্যবিত্তদের কিছু অংশ আছে তারা তাদের ছেলেমেয়েদের মাদ্রসায় পড়ান। তাও আবার আলিয়া মাদ্রাসায়। যে সরকারী ভাবে অনুমোদিত মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। দারিদ্রের কষাঘাতে পিষ্ট গরিব মানুষের সন্তারা কেউ হয়তো পড়েই না। আর যাও বা পড়ে তাদের বেশীর ভাগকে দেযা হয় কাওমি মাদ্রসায়। সরকারী ভাবে কাওমী মাদ্রাসার কোন বোর্ড নাই। তাই এ মাদ্রসা গুলো নিজেরা একটা ফাউডেশন গঠন করে তার মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করে। সরকারী হস্তক্ষেপ না থাকায় এ শিক্ষা ব্যবস্থার মান নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। কাওমি মাদ্রাসায় সাধারনত আরবী উর্দূ ফরাসী ইত্যাদি ভাষায় পড়শুনা হয়। বাংলা আগে ছিল না ইদানিং বাংলা সংযোজন হয়েছে। এ শিক্ষাব্যবাস্থার সিলেবাসে রয়েছে পবিত্র কোরআন আর হাদিসের আরবী উর্দু তাফসীর আর ইসলামী ফিকাহ এবং হিফজুল কোরআন। এতে করে আলেম হওয়া যায় সত্য কিন্তু একজন সঠিক যোগ্য আলেম হওয়া যায় কি? এই শিক্ষা ব্যবস্থায় দরকার আধুনিক শিক্ষাব্যবস্থার সাথে সমন্বয় সাধন। এখানে সংযোজন করা দরকার ইংরেজী, গণিত, বিজ্ঞান. কম্পিউটার ইত্যাদি বিষয়। আর এ জন্য দরকার সরকারী হস্তক্ষেপের। তা না হলে কওমী মাদ্রসার আলেমরা আধুনিক বিশ্বের সাথে তাল মিলাতে ব্যর্থ হয়ে পিছিয়ে পড়বে। মাদ্রসার ছাত্রদের ইদানিং জংগি বলে যে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে তা আসলে কতটুকু যুক্তিযুক্ত? মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে আধুনিকায়ন না করে বা সঠিক পৃষ্ঠপোষকতা না করে শুধু তাদের সমালোচনা করা কি ঠিক? জংগি কি আধুনিক শিক্ষপ্রতিষ্টান বা শিক্ষা ব্যবস্থায় হচ্ছে না? বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় সে খানে প্রতিনিয়ত চলছে অস্রের মোহরা। কয়টা মাদ্রাসা এমন দেখা গেছে যেখানে ওপেন অস্রের মোহরা দেয়া হয়?

ইসলামী শিক্ষার মুখ্য জায়গা হলো মাদ্রাসা । যেখানে ধর্মীয় মুল্যবোধ এর চর্চা করা হয়। যার ফলে নৈতিকতার শিক্ষায় গড়ে উঠে একজন শিক্ষার্থী। হ্যা অব্যবস্থাপনা আর কারো লাগমছারা স্বেচ্ছাচারিতায় কোন কোন মাদ্রাসা পরিনত হচ্ছে কয়েদ খানায় কিংবা টর্চার সেলে। এগুলো যাতে না হয় তার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। এর জন্য সম্পূর্ণ মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে দায়ি করা ঠিক হবে না। স্কুলে দেখা যায পড়া শুনার সময় একটা বাধা ধরা রুটিন আছে। মাদ্রাসায়ও আছে কিন্তু তা ভিন্ন। এখানে দেখা যায একজন শিক্ষার্থী সেই সকালে ঢুকে আরে বের হয় রাতে । কেন? এমন হবে? একজন শিক্ষার্থীর খোলামেলা হাওয়ায় অবসরের দরকার আছে। সরাক্ষন কেন থাকবে বন্দির মতো। এদিকে মাদ্রাসার হর্তা কর্তারা দৃষ্টি দেয না। আজ সরকারী নজরদারি থাকলে সরাকারী একটা কারিকুলামে বা সিস্টেমে চলত মাদ্রাসাগুলো। আজ তাই তারা লাগাম ছাড়া ঘোড়ার মতো যেদিকে ইচ্চা ছুটছে নিজের মতো করে। এটা ওদের দোষ নয়। যতদিন মাদ্রসাার জন্য একটি সঠিক নিতিমালা না আসবে ততদিন এমনটাই হবে।