যুবকের শীর্ষ কর্মকর্তা আটক-আটক হোক সম্পদ লুটেরারাও

আতাস্বপন
Published : 6 March 2016, 10:54 AM
Updated : 6 March 2016, 10:54 AM

গত ৪ মার্চ যুব কর্মসংসংস্থান সোসইটির দুজন শীর্ষ কর্মকর্তা মুন্সীগঞ্জের চান্দের চর এলাকায় পিকনিক থেকে ফেরার পথে আটক হন। তাদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। এই খবরটা তে কেউ খুব খুশি । আবার কেউ খুভ হতাশ হয়ে পড়েছে। যারা অখুশি তাদের মতে- গ্রাহক টাকা পায় না সম্পত্তি সব লুটেরারা নিয়ে গেছে। তাদের সম্পর্কে যুবক এর কমিশনগুলোতে বলা্ আছে তাদের কে বহাল তবিয়তে ওপেন ভাবে সম্পত্তি ভোগ করতে দিচ্ছে সরকার আর যারা ইচ্ছে করলে দেশ ত্যাগ করে চলে যেতে পারতো যায় নি এমন লোকদের আটক করছে। তারা সরকারের কাছে ঘুরে দাড়াবার জন্য ঋণও চেয়েছে। তারা কাজ করতে চেয়েছে নতুন ভাবে সরকারের গাইড লাইন এ থেকে। জনগনের দায় শোধে সরকার এর গঠিত কমিশন যখন কিছু করতে পারল না তখন যুবকের শীর্ষরাই আবার জমি জামা দিয়ে দায় শোধের চেষ্টা করছিল। যেখানে কিছু পাবার আশা ক্ষিন সেখানে কিছুতো পাচ্ছে। জমির দাম অনেক বেশী নেয়া হচ্ছে যেনেও গ্রাহক কিছু পাচ্ছে এই আশায় যুবক থেকে জমি নিচ্ছে। দায়ও শোধ হচ্ছে কিছুটা হলেও। থেমেতো ছিল না। অনেকের মতে দুই শীর্ষ কর্মকর্তা আটক এর আগে সরকারের উচিত ছিল সম্পত্তি যারা লুটে নিয়েছে তাদের আটক করা। সরকার এর আচার এখানে পক্ষপাত দুষ্ট। যুবকের দায় শোধ কার্যক্রম তাদের মনে কিছুটা আশার আলো দেখিয়েছিল। আজ তারা আবার হতাশ।
অপরদিকে যারা এ আটকে খুশি হয়েছেন তাদের মত হল-
এদের জামিন দেয়া যাবে না। এদের কাছ থেকে সকল গ্রাহকের পাওনা আদায় করতে হবে। যুবকের সম্পদ এখন অনেক আছে। যা তারা পিকনিক করে ফুর্তি করে উড়াচ্ছে। এই সম্পদ দিয়েতো একজনের দায় শোধ করা যেত।

এই দুই গ্রুপের মতামত একটি প্রশ্নের জম্ম দিয়েছে তা হল যুবকের কর্মকর্তারা এছাড়া আর কি করলে দায় শোধ হতো? জানা যায় এর মধ্যে যুবকের শীর্ষরা বিশ্বের বিভিন্নদেশে গিয়েছেন সফরে। হজ্জেও গিয়েছিলেন। তারা ফিরেও এসেছেন। কেন?
সরকারের কাছে আটক হবার জন্য? উত্তরে এক দল বলছে দায় শোধ। আরেক দল বলছে নতুন ধান্দা বাজির জন্য। কার কথা বিশ্বাস করা উচিত?

যুবকের গ্রাহক যারা প্লট বুঝে পেয়েছে তাদের নিযে প্রকল্প সাইট এই পিকনিক ছিল। প্লট হোল্ডাররা তাতে অংশ গ্রহন করেছিল। যারা সবাই যুবকের পাওনাদর গ্রাহক। প্লট দিয়ে যাদের দায় শোধ করা হয়েছে। প্রশ্ন হল এই পিকনিক কি ফুর্তি করার সংজ্ঞায় পড়ে? যুবক থেকে বলা হয়েছে এই পিকনিক প্লট মালিকদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করার একটি উদ্যোগ। এটা কি অন্যায়? জানা যায়- কর্মকর্তাদের সরকার স্বপ্রনোদিত হয়ে আটক করেনি। যুবকের পাওনাদার প্লট হোল্ডার একজন সক্ষুব্ধ হয়ে এটা করছেন ব্যাক্তিগত ভাবে। এটা করতেই পারেন। আটক হওয়াতে যারা খুশি হয়েছেন তার কি বুঝে খুশি? তারা জামিনের বিরোধীতাও করেছেন? এতে তাদের লাভ কি? এর আগেও ঐ শীর্ষ কর্মকর্তাদের আটক করা হয়েছিল। এক এগারো সময় প্রথম। তখন যুবকের আর.টিভি লুট হয়ে যায়। এরপর আবরো আটক হয় তখন নিয়ে যায় যুবকের ধানমন্ডির বাড়ী। এখনা আবার আটক? কোন সম্পদ যাবে? যারা খুশি তাদের আগেও লাভ হয় নি এখনো কি হবে? ছাগলের তিন নম্বর ছানার মত লম্পঝম্প ছাড়া।

সরকার এর উচিত যুবক বিষয়ে আশু সিদ্ধান্ত গ্রহন করা। এভাবে সম্পদ লুট হতে হতে গ্রাহকের ক্ষীন আশা বিলিন হবার আগেই ব্যবস্থা নিতে হবে। যুবক সংক্রান্ত প্রথম কমিশণ বলেছে যুবকের যে সম্পদ তা দিয়ে গ্রাহকের পাওনা পরিশোধ সম্ভব। দ্বিতীয় দফার আরেক কমিশন বলছে যুবকের বর্তমানে যে সম্পদ আছে দায় পরিশোধ সম্ভবয় নয়। যুবকের কনফিউশন দুর করতে এসে যুবক কমিশন আরেক কনফিউশন সৃষ্টি করে গেছে। সরকারের উচিত হবে যুবকের শীষদের সাথে নিয়ে বসে তাদের মাধ্যমে সমাধানের পথ খোজা। কারন যুবকের কি আছে নাই তারা ছারা কেউই জানে না। নয়তো এটাই নিয়তি হতে পারে- এভাবে আটক করা হবে ছাড়া হবে। চলবে সাপ লুডুর খেলা। গ্রাহক রা চাতক পাখি হয়ে হা করে থাকবে। কেউ খুশি হবে কেউ বেজার।
সম্পদ সব হয়ে যাবে হাওয়া।


যুবক গ্রুপ