ইদানিং ব্লগে আর ফেসবুকে ইসলাম ধর্মকে হেয় করার প্রতিযোগিতা যেনো শুরু হয়েছে। যা সত্যই দুঃখজনক। ইসলাম এমন একটা সার্বজনীন ধর্ম যারা এর ছায়াতলে এসেছে শুধু মাত্র তারাই নয়, যারা একটু বিবেকবান, জ্ঞান বান, যে ধর্মেরই হোন না কেন তারাও এর প্রতি যুগে যুগে শ্রদ্ধাপ্রদর্শন করেছেন। বিশেষ করে ইসালামের নবী মুহাম্মদ সা: আর পবিত্র কুরআন নিয়ে যারাই গবেষণা করেছে তারাই বিস্ময়ে হতবাক হয়েছে। অথচ আজ সেই ধর্ম, নবী আর পবিত্র গ্রন্থ নিয়ে শুরু হয়েছে নানা ধরনের বেয়াদবি আচরণ। অপরিপক্ক কথন। বর্তমানে ইসলাম বুঝার জন্য অনেক বই আর পবিত্র কুরআনের অনুবাদ বাজারে আছে। কেউ কেউ এর দু’একটা পড়েই ভাবছেন ইসলাম সম্পর্কে সব জেনে ফেলেছি। ইসলাম কে বুঝে ফেলেছি। কথা হল ইসলাম বুঝা কি এতো সহজ?
ইসলামকে বুঝতে গিয়ে বিশিষ্ট দার্শনিক ও বৈজ্ঞানিক মুরিস আল বুকাইলি বাইবেল কুরআন আর বিজ্ঞান নিয়ে দীর্ঘ গবেষণা করেছেন। একসময় তিনি পবিত্র কুরআনের বিস্ময়কর দর্শন আর বিজ্ঞানময়তায় আর্বিভুত হয়ে ইসলাম কবুল করেন। তার লেখা বাইবেল কুরআন আর বিজ্ঞান বইটি বাজারেতো বটে ইন্টারনেটেও পিডিএফ হিসেবে রয়েছে। আগ্রহীরা পড়ে দেখতে পারেন বইটি। সেখানে মরিস বুকাইলি বলেছেন কুরআন নিয়ে গবেষণা করতে যেয়ে তাকে আরবী শিখতে হয়েছে। সাধারণ ইংরেজী অনুবাদের উপর তার আস্থা ছিল না। এর কারণ আরবী ব্যকরণ সঠিকভাবে না জানলে শুধু অনুবাদের উপর ভিত্তি করে গবেষণা করে সঠিক সিদ্ধান্তে আসা যায় না। এ জন্য মূল কে তিনি আকরে ধরে এগিয়েছেন। আর পরিশেষে তিনি দৃঢ়ভাবে ঘোষণা করেছেন। এই কিতাবে কোন রকম অসংগতি নেই। যা তিনি পেয়েছেন বাইবেলে ভুড়ি ভুড়ি। এখন কথা হল সাধারণ অনুবাদ পড়ে যারা বলে, কুরআন এমন, রসুল এমন তেমন, তাদের নিজেদের মনগড়া বুজ নিয়ে কুরআন আর নবী তথা ইসলামের সমালোচনা করা যুক্তি যুক্ত কি? নিজে আরবী পড়ে কুরআন বুঝে ব্যাখ্যার পথে হাটলে ভাল। অন্যের অনুবাদ নির্ভর হয়ে কুরআন বুঝতে গেলে তা সবসময় সঠিক নাও হতে পারে। আবার যখন সেই অপরিপক্ক বুঝটার আলোকে লাগাম ছাড়া একটা মন্তব্য করা হয় তখন শুধু একটি ধর্মকেই ছোট করা হয় না। ছোট করা হয় একটি জাতি গোষ্ঠিকে। আর এতে দেখা দেয় নানা হানাহানি নৈরাজ্য।
ইসলাম সম্পর্কে জানা এবং তার যৌক্তিক সামালোচনা করার অধিকার সবার আছে। তবে তা হতে হবে শালীন আর যথেষ্ট গবেষণা ধর্মী। কারণ ইসলাম কোন ঠুনকো বিষয় নয়। হালকা ভাবে মশকরা বা হাসি ঠাট্টা করার আগে এটা ভাবা প্রত্যেক বুঝদারের জন্য জরুরী । তাই নয় কি? আর কুরআন কে বুঝার জন্য সহজ করে দিয়েছেন মহান আল্লাহ। তাই চিন্তাশিল দের গবেষনার জন্য তিনি আহবান করেন ।
কেউ কেউ বলে আল কুরআনে যৌনতা রয়েছে। যা ছোট্ট শিশুদের কাছে বুঝিয়ে বলা যায় না। তারা কোন প্রশ্ন করলে কি উত্তর হবে তা নিয়ে দ্বিধা দেখা দেয়। তাই তারা ছোট্ট শিশুদের কুরআন পড়তে না দেওয়ার কথা বলছে। এমনকি এ বিষয়ে উদাহরণ দেয়া হচ্ছে যেমন হুর কি গিলবান কি? যদি শিশুরা প্রশ্ন করে কি উত্তর হবে। বা মাসিক কি বা ঋতু কি? এসব যদি প্রশ্ন করে কি উত্তর হবে?
এই প্রশ্নগুলো যারা করছে তারা নিজেদের ভাবনাকে শিশু হিসেবে কল্পনা করে প্রশ্ন দাড় করাচ্ছে। তারা কি প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজার চেষ্টা করছেন? নাকি কল্পিত প্রশ্ন তৈরি করে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা করছেন? অথচ তারা বুঝতে পারছেন না যে আদো শিশুরা এইসব প্রশ্ন তাদের মতো এত জটিল ভাবে করে না। বেছে বেছে অন্য প্রসংগ না হুর গিলবান বা ঋতু এসব প্রশ্নই তারা করবে এটা ধরে নেয়া কি ঠিক? আচ্ছা যদি করেও তার উত্তর তাকে ব্যাখ্যা সহকারে না দিলেওতো হয়। তখন হয়তো তারা আবার বলতে পারেন কেন পুরো ব্যাখ্যা দিবেন না; বুঝেছি যৌনতা তাদের জানাতে চান না বলেইতো। তাদের বলছি ব্যাপারটা কিন্তু এমন নয় যে শিশুদের যৌনতা জানানো যায় না বলে তাদের পুরো ব্যাখ্যা দেযা হচ্ছে না। বিষয় হল তারা যৌনাতার ব্যাখ্যা দিলে বুঝবে না এই বয়েসে। বুঝা নিযে সমস্যা । যৌনতা জানানো নিয়ে নয়।
যেমন ধরা যাক একটি নতুন শিশু জম্ম নিল। কেউ কেউ বলল আমরা যা যা খাই তা তাকে খেতে দেয়া হোক। আদো কি কেউ তার নবজাতক কে সে খাবার দেবে। দেবে না । কারণ সে মানব সন্তান হলেও একজন মানবের মত সবধরনের খাবার খেতে পারবে না একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত। তাকে ততটুকু দেযা হয় যতটুকু সে হজম করতে পারে। বিষয়টা আসলে এ জায়গায়। যৌনতা কি যে বোঝে না তাকে ব্যাখা করে যৌনাত বুঝানো দরকার নাই । শিশু যদি বলে হুর কি বা যদি বলে ঋুত কি? তখন যদি বলা হয় ভাল করে পড়াশুনা করে বড় হও। এটা তুমি বড় হরে জানতে পারবে। এভাবে বললে সমস্যা কোথায়? তাকে যদি হুর বা ঋতু কি ব্যাখ্যা করে বুঝানো হয় সে কি বুঝবে বলে মনে হয়? আসলে কুরআন সম্পর্কে যাদের এলার্জি আছে তারা সবসময় নিজেদের ভাবনায় ডুবে এই সব ভাবে। নিজেদের ভাবনা শিশুদের বলে চালিয়ে দেয়। কারণ অপবিত্র জন হুরের ব্যাখ্যা করেছে বেহেশতি পতিতা হিসেবে (নাউজুবিল্লাহ)। অথচ এরা হল একদম পবিত্র। এমন পবিত্র হাদিসে এসছে বেহেশতের কোন হুর যদি দুনিয়োতে উকি দেয় দুনিয়া পবিত্রতায় আলোকিত হয়ে যাবে। আর হুর কিন্তু শুধু স্ত্রী লিংগ নয়। এটা হল বিপরীত লিংগ। নারী পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রে। এ বিষয়ে বিষদ ব্যাখ্যাও আছে। শিশুদের তা জানার আপাতত দরকার আছে কি? আসলে যারা নোংরা ভাবনা পোষণ করে তারা মানসিক ভাবে দুর্বল। তাই সব সময় বিপদে পড়ার শংকায় থাকে। হুর সম্পর্কে তাদের ধারনা অপবিত্র আর নোংরা কাজেই তারা শিশুদের কাছে এ প্রশ্ন শুনলে কি বলবে ভেবে আতংকিত থাকে। কিন্তু মোমনিরা সফলকাম। তারা শিশুদেরও বলতে পারে হুর হল পবিত্র। বন্ধুর মত। দুনিয়াতে তোমার বন্ধু আছে না। আল্লাহও বেহেশতে বন্ধু দেবে। এভাবে বললে সমস্যা কোথায়?
পুর্বেও কুরআনকে নানা ভাবে আক্রমন করা হয়েছে। বর্তামানে যৌন বিষয়গুলো নিয়ে ইসলাম, নবী আর কোরআনকে আক্রমন করা হচ্ছে বেশি। কুরআন এই চ্যালেঞ্জ সাদরে গ্রহণ করছে। কুরআনে যৌন বিষয়গুলো এসেছে প্রয়োজনের তাগিদে। মনোরঞ্জনের জন্য নয়। তাই কুরআন স্পষ্ট ভাষায় সত্য কথাগুলো বুঝদারদের জন্য বলছে যারা বিশ্বাসী। কুরাআনে উল্লেখিত যৌন বিষয়ের গুরুত্ব যারা বুঝদার তারাই বুঝতে পারবে। কারণ কুরআন সুরা বাকারার শুরুতে চ্যালেঞ্জ করে বলেছে এতে কোন অসংগতি নাই। আর এটা মুমিনরাই বুঝতে পারবে অর্থাৎ এটা তাদের জন্যই পথ নির্দেশনা। কাজেই যারা পবিত্র কুরআনের যৌনতা সংক্রান্ত পথ নির্দেশ বুঝতে পারছে না তাদের না পারাটাই স্বাভাবিক। কারণ তাদের কাছেতো কোড নাই। যে কোড দিয়ে কুরআনা বুঝা যাবে। আর এ কোড হল বিশ্বাস।
আল্লাহ সুবহানাহু বলেন,
﴿يَا أَيُّهَا النَّاسُ قَدْ جَاءَتْكُمْ مَوْعِظَةٌ مِنْ رَبِّكُمْ وَشِفَاءٌ لِمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدىً وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ (57) قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ﴾
‘‘হে মানুষ! তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের কাছে এসেছে উপদেশ এবং অন্তরসমূহে যা থাকে তার শিফা, আর মুমিনদের জন্য হিদায়াত ও রহমাত। বল, ‘আল্লাহর অনুগ্রহে ও রহমাতে’। সুতরাং এ নিয়েই যেন তারা খুশী হয়। এটি যা তারা জমা করে তার চেয়ে উত্তম।’’
তিনি আরো বলেন,
﴿وَمَا أَنْزَلْنَا عَلَيْكَ الْكِتَابَ إِلَّا لِتُبَيِّنَ لَهُمُ الَّذِي اخْتَلَفُوا فِيهِ وَهُدىً وَرَحْمَةً لِقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ﴾
‘‘আর আমি তোমার উপর কিতাব নাযিল করেছি, শুধু এজন্য যে, যে বিষয়ে তারা বিতর্ক করছে, তাদের জন্য তা তুমি স্পষ্ট করে দেবে এবং এটি হিদায়াত ও রহমাত সে কওমের জন্য যারা ঈমান আনে।’’
মহান আল্লাহ আলেমকে যেমন মদদ করেন তেমন করেন শয়তানকেও। আলেমকে করেন সত্যের দিকে আরো অগ্রসর করার জন্য। আর শয়তানকে করেন তার কুচক্রি জাল আরো বিস্তার করে ধংসের দিকে নেবার জন্য। ফলে শয়তান যে যুক্তিই দাড় করায় তার কাছে তাই সত্য মনে হয়। আর সে আর তার অনুসারীরা এর প্যাঁচে এমনভাবে আটকে যায় যে আর বেরুতে পারে না।
বাচ্চাদের যৌন জ্ঞান শিক্ষার ক্ষেত্রে কুরআন যে নীতি অবলম্বন করেছে তা সত্যই বিস্ময়কর। একদম ছোট বাচ্চা যে সে যৌনাতার বিষয়টি মাথায় আনবে না। কিশোর-কিশোরীদের ক্ষেত্রে এটা আসাটা স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে তাদের এ বাড়ন্ত সময়ে নানা সমস্যা দেখা দেয়। কুরআনা তা অনুধাবন করেই তাদের জন্য সুরা নুরে বলেছে………
30 ) Tell the believing men to lower their gaze (from looking at forbidden things), and protect their private parts (from illegal sexual acts, etc.). That is purer for them. Verily, Allâh is All-Aware of what they do. (মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাজত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।)
31 ) And tell the believing women to lower their gaze (from looking at forbidden things), and protect their private parts (from illegal sexual acts, etc.) and not to show off their adornment except only that which is apparent (like palms of hands or one eye or both eyes for necessity to see the way, or outer dress like veil, gloves, head-cover, apron, etc.), and to draw their veils all over Juyubihinna (i.e. their bodies, faces, necks and bosoms, etc.) and not to reveal their adornment except to their husbands, their fathers, their husband’s fathers, their sons, their husband’s sons, their brothers or their brother’s sons, or their sister’s sons, or their (Muslim) women (i.e. their sisters in Islâm), or the (female) slaves whom their right hands possess, or old male servants who lack vigour, or small children who have no sense of the shame of sex. And let them not stamp their feet so as to reveal what they hide of their adornment. And all of you beg Allâh to forgive you all, O believers
(ইমানদার নারীদেরকে বলুন তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাজত করে। তারা যেন যা সাধারণত প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথায় ওড়না বক্ষদেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, ছেলে, স্বামীর ছেলে, ভাই, ভাইয়ের ছেলে, বোনের ছেলে, স্ত্রীলোক অধিখারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ ও বালক, যারা নারীদের গোপন অংগ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদরে ব্যাতীত কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোড়ে পদচারনা না করে। মুমিনগন তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।)
এ দুটি আয়াতের ব্যাখ্যা যদি আমাদের কিশোর কিশোরীদের ভালভাবে বুঝানো যায়। তাহলে তাদের মাঝে যৌন সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। বয়স্বন্ধিকালের ছেলে-মেয়েরা যদি কুরআন এর সচেতনতা মুলক উপদেশ বানীকে ভালোভাবে বুঝে আমল করে তবে তারা কোনো সমস্যার সম্মুক্ষীণ হবে ন। সুরা নূরের এ দুটি আয়াতে যে ভাবে মোমিন নারী আর পুরুষকে স্পষ্টভাবে তাদের শারিরীক গঠন প্রনালীর প্রতি নজর রেখে যে বিজ্ঞান সম্মত নির্দেশনা দেয়া হয়েছে তা সত্যই শুধু কিশোর কিশোরীই নয় প্রতিটি মানুষের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এতো শালীন ভাবে এত সুন্দর উপদেশ বানী একমাত্র স্রষ্টার পক্ষেই দেয়া সম্ভব। ১৪০০ বছর আগের পবিত্র কুরআনে এতো সুন্দর বৈজ্ঞানিক ত্তত্ব সত্যই বিষ্ময়কর।
এ আয়াতের কোথাও কি যৌন সুরসুরি দেওয়া কথা আছে? যতটুকু না বললেই নয় ঠিক ততটুকুই বলা হয়েছে। অথচ শয়তানি চক্র এ পবিত্রতার মাঝেও শয়তানি তালাস করছে। আসলে সমস্যতো চোখে। দৃষ্টি ভংগিতে। সারক্ষণন শয়তানি যার কাজ সে তা ছাড়া আর বুঝেই কি? বেগানা নারী পুরুষ অবাধ মেলা মেশা তাদের কাছে মনে হয় কিছুই না। স্বাভাবিক বিষয় মনে হয়।
একটা কৌতুক শুনেছিলাম অনেক আগে। এক লোক শরীরের যে অংশেই হাত দিয়ে টিপ দেয় তখনই ব্যাথা পায়। সে ডাক্তারের কাছে গেল। ডাক্তার তাকে ভাল করে দেখে বলল, আপনার কোথায় ব্যাথা লাগছে একটু দেখান।
কি বলব স্যার! সারা শরীরে ব্যাথা। এই যে মুখে টিপ দিলাম ওমা কি ব্যাথা। এই যে পেটে টিপ দিলাম ব্যাথা।
আচ্ছা এবার আমি একটু টিপে দেখি। এই বলে ডাক্তার রোগীর গালে টিপ দিল। কি ব্যাথা লাগে?
না।
এবার পেটে টিপ দিল? কি ব্যাথা লাগে?
না।
আপনার রোগ আমি ধরে ফেলেছি। দেখিতো আপনার হাতটা। এই বলে ডাক্তার রোগীর হাত ধরে একটি টিপ দিলেন।
রোগী সাথে সাথে চিৎকার করে কেকিয়ে উঠল। ও মাগো। মরে গেলাম গো।
মিষ্টি হেসে ডাক্তার বললেন জনাব আপনার সমস্যা হলো হাতে সারা শরীরে না । ব্যাথা যুক্ত হাত নিয়ে যেখানেই টিপ দিচ্ছেন আর ব্যাথা পাচ্ছেন।
শয়তানী চেলাদেরও এই অবস্থা। অবাধ যৌনাচার আর মেলামেশা করে তারা নিজেদের লাইফ স্টাইলকে এমন অপবিত্র বানিয়ে ফেলেছে যে, এখন পবিত্র কিছু আর দেখতে পায়না । সবা জায়গাতে অপপবিত্রতা খুঁজে পায়। নিজেদের মনের মাধুরী মিশিয়ে কুরআনের পবিত্র আয়াতগুলোর অপব্যাখ্যা করে যায়। অথচ তারা না জানে আরবী ব্যাকরণ না জানে কুরআন পড়তে। তারা শুধু অন্যের করা অনুবাদ আর অনুমানের উপর ভিত্তি করে কথা বলে।
মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেনঃ
কিছু কিছু বিষয়ের সাথে একমত পোষণ না করলেও বলব, চমৎকার রচনা। ধর্মীয় বিষয়ের উপর এ ধরনের লেখা এ ব্লগে কম আসে। তবে এ ব্লগ সম্পর্কে আমি যতটুক জানি, এখানে ধর্মকে আঘাত দেয়ার মতো কোন লেখা প্রকাশ করা হয় না।
ডঃ মরিস বুকইলির বইটি পড়েছিলাম একবার স্কুলে থাকতে, পরে ভার্সিটিতে থাকতে। আপনার লেখা পড়ে ,মনে হল, আবার পড়তে হবে।
তবে ডঃ মরিস যে ইসলাম কবুল করেছিলেন, এমন কোন প্রমাণ নেই, যেমন প্রমাণ নেই চাঁদে প্রথম অবতরণকারী নেইল আর্মস্ট্রং এর ইসলাম গ্রহণ সম্পর্কে। তাই মরিস সম্পর্কিত আপনার তথ্যে সন্দেহ পোষণ করছি।
স্বর্গের হুর গলেমানদের সম্পর্কে পবিত্র কোরআনে বিস্তারিত নেই বলেই জানি। তবে এতদসম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য কোন প্রামাণ্য গ্রন্থ সম্পর্কে আমার জানা নেই। এ বিষয়টি আমার কাছেও বড় গোলমেলে মনে হয়। বিষয়টির অবতারণা যখন আপনিই করেছেন, এ সম্পর্কে বিস্তারিত ও বস্তুনিষ্ঠ, রেফেরেন্সসহ লেখার ভার আপনার উপরই বর্তায়। আশা করি এ দায়িত্ব পালন করে শীঘ্রই একটি পোস্ট দিবেন।
পবিত্র কোরআন থেকে উদ্ধৃতির সময় ইংরেজি অনুবাদ অপ্রয়োজনীয় বলে মনে করি। আরবি থাকতে পারে। তবে না থাকলেও আসুবিধা নেই।
আতাস্বপন বলেছেনঃ
রাজ্জাক ভাই সালম। আমার পোষ্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। ডা: মরিস বুকাইলি ইসলাম গ্রহন করেছেন। এই বিষয়ে উইকিপিডিয়াতে তথ্য আছে। আপনি অনলাইনে সার্চ করলেই পাবেন। লিংকটা দিলাম: https://bn.wikipedia.org/s/2re1
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%B8_%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%87%E0%A6%B2%E0%A6%BF
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিত্রা ১৯৮১-১৯৯৫ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি আশির দশকের শেষের দিকে ফিরাউনের মমিকে নিয়ে প্রত্নতাত্তিক গবেষণার জন্য মিসরের কাছে অনুরোধ জানালেন। মিসরের সরকার তাতে রাজি হলে কায়রো থেকে ফিরাউনের লাশ এল প্যারিসে। প্লেনের সিড়ি থেকেই ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট, তার মন্ত্রীবর্গ ও ফ্রান্সের সিনিয়র অফিসারগণ মাথা নিচু করে ফিরাউনকে স্বাগত জানালেন!!!
ফিরাউনকে জাঁকালো প্যারেডের মাধ্যমে রাজকীয়ভাবে বরণ করে ফ্রান্সের প্রত্নতাত্তিক কেন্দ্রের একটা বিশেষ ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হল, যেখানে ফ্রান্সের সবচেয়ে বড় সার্জনরা রয়েছে আর তারা ফিরাউনের মমির ময়নাতদন্ত করে সেটা স্টাডি করবে ও এর গোপনীয়তা উদঘাটন করবে।
মমি গবেষণার প্রধান সার্জন ছিলেন প্রফেসর ড. মরিস বুকাইলি। থেরাপিস্ট যারা ছিলেন তারা মমিটাকে পুনর্গঠন (ক্ষত অংশগুলো ঠিক করা) করতে চাচ্ছিল, আর ড. মরিস বুকাইলি দৃষ্টি দিচ্ছিলেন যে কিভাবে ফিরাউন মারা গেল! পরিশেষে, রাতের শেষের দিকে ফাইনাল রেজাল্ট আসলো। যাতে বলা হয়েছে তার শরীরে লবণের অংশ আছে আর ইহাই সবচেয়ে বড় প্রমাণ যে সে (ফিরাউন) ডুবে মারা গিয়েছিল আর মৃত্যু বরণের সঙ্গে সঙ্গে সমুদ্র (লোহিত সাগর) থেকে তোলা হয়েছিল তারপর লাশ দ্রুত মমি করা হয়েছিল। এখানে ফিরাউনের মমিটি প্রফেসর মরিসকে হতবুদ্ধি করে দিল, যে কিভাবে এই মমি অন্য মমিদের তুলনায় সুরক্ষিত অবস্থায় থাকল, যা এটা সমুদ্র থেকে তোলা হয়েছে। কারণ আদ্র পরিবেশে ব্যাকটেরিয়া দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করে আর প্রতিটি আদ্র বস্তুকে দ্রুত ধ্বংস করে দিয়ে থাকে।
ড. মরিস ফাইনাল রিপোর্ট তৈরি করল যাতে তিনি বললেন: এটা একটা নতুন আবিস্কার। সেই সময় তাকে কেউ ফেরাউনের এই ডুবে যাওয়া মমি সম্পর্কে প্রকাশ্যে আলোচনা না করার পরার্মশ দেন, কিন্তু তিনি দৃঢ়ভাবে এর প্রতিবাদ করে বললেন যে, এরকম একটা বিশাল আবিস্কার যেটা আধুনিক বিজ্ঞানের উন্নতির জন্য সহায়তা করবে সেটা জানানো যাবেনা!!
কেউ একজন তাকে বলল যে কুরআনে ফিরাউনের ডুবে যাওয়া ও তার লাশ সংরক্ষণের ব্যাপারে বিশদ আলোচনা এসেছে। এই ঘটনা শুনে ডা. মরিস বিস্মিত হয়ে গেলেন এবং প্রশ্ন করতে লাগলেন, এটা কিভাবে সম্ভব?? এই মমি পাওয়া গিয়েছে মোটে ১৮৮১ সালে, আর কুরআন নাজিল হয়েছে আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে!! আর প্রাচীন আরবেরা তো মমি করার পদ্ধতিই জানতো না, মাত্র কয়েক দশক আগে তা আমাদের হাতে আবিস্কৃত হয়!! ড. বুকাইলি ফিরাউনের লাশের দিকে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে গভীরভাবে ভাবছিলেন যে, মুসলিমদের কুরআনে কিভাবে ফিরাউনের লাশ সংরক্ষণের কথা এসেছে??
ফিরাউনের মমি করা লাশের ভিডিও লিংক:- http://youtu.be/IXxCi7qPy4A
বাইবেলে ফিরাউন কর্তৃক মুসা (আ.)-এর পিছু নেয়ার কথা বলা আছে কিন্তু ফিরাউনের লাশের পরিনতি সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলা নাই। তিনি নিজেকেই প্রশ্ন করছিলেন আর ভাবতে ছিলেন যে, এটা কিভাবে ধারণা করা যায় যে, এই মমি যার সে মুসার (আ.)-এর পিছু নিয়েছিল? আর এটা কেমন করে সম্ভব যে, মুহাম্মদ (সা.) ১৪০০ বছর আগেই এটা সম্পর্কে জানতেন?? এবং আরো অনেক কিছু…….।
ডা. মরিস সেই রাতে ঘুমাতে পারলেন না, তিনি তোরাহ (তাওরাত) আনালেন এবং সেটা পড়লেন। তোরাহতে বলা আছে, পানি আসলো এবং ফিরাউনের সৈন্য এবং তাদের যানবাহনগুলোকে ঢেকে দিল, যারা সমুদ্রে ঢুকল তাদের কেউই বাঁচতে পারল না। ড. বুকাইলি আশ্চার্য হয়ে দেখলেন যে, তাওরাতে লাশের সংরক্ষণের ব্যাপারে কিছু বলা নাই!!
অতপার তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন যে, তিনি মুসলিম দেশে যাবেন এবং সেখানে প্রখ্যাত মুসলিম ময়নাতদন্তে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের সাক্ষাৎকার নিবেন ও আলোচনা করবেন। তিনি তথায় পৌছে ফিরাউনের লাশ ডুবে যাওয়া পরবর্তী সংরক্ষণের যে রেজাল্ট পেয়েছেন তা নিয়ে আলেচনা করেন, তখন একজন মুসলিম বিশেষজ্ঞ পবিত্র কুরআন খুললেন এবং আয়াতটা ড. বুকাইলিকে শুনালেন যেখানে সর্বশক্তিমান আল্লাহ সুবহানাহুওয়া তা’য়ালা বলেনঃ-
““অতএব, আজকের দিনে বাঁচিয়ে দিচ্ছি আমি তোমার দেহকে যাতে তোমার পশ্চাদবর্তীদের জন্য নিদর্শন হতে পারে। আর নিঃসন্দেহে বহু লোক আমার মহাশক্তির প্রতি লক্ষ্য করে না।”” [আল-কুরআন; সুরাঃ ১০, আয়াতঃ ৯২]
তিনি এই আয়াতের দ্বারা খুবই প্রভাবিত ও অভিভূত হয়ে তখনি ইসলাম গ্রহনের সিদ্ধান্ত নিয়ে উচ্চ কন্ঠে ঘোষনা করলেন যে, আমি ইসলামে প্রবেশ করেছি এবং আমি এই কুরআনে বিশ্বাসী। [সুবহানাল্লাহ] ইসলাম গ্রহনের পর তার রচিত বই- বাইবেল, কুরআন এবং বিজ্ঞান, এর তিনি ব্যাখ্যা দেন। ভিডিও লিংক:- http://youtu.be/crkq8HVvdm8
ডা. মরিস বুকাইলি ফ্রান্স ফিরে গেলেন এক ভিন্ন অবস্থায়। ফ্রান্সে ১০ বছর তিনি আর কোন ডাক্তারি প্রকটিস করেন নি বরং এই সময়ে তিনি আরবী ভাষা শিখেছেন আর পবিত্র কুরআনে কোন বিজ্ঞান নিয়ে গবেষনা করেছেন।
সব শেষে তিনি পবিত্র কুরআনের এই আয়াতটির গুরুত্ব অনুধাকন করতে পারলেন যাতে বলা আছেঃ
““এতে মিথ্যার প্রভাব নেই, সামনের দিক থেকেও নেই এবং পেছন দিক থেকেও নেই। এটা প্রজ্ঞাময়, প্রশংসিত আল্লাহর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ।”
” [আল-কুরআন; সুরাঃ ৪১, আয়াতঃ ৪২]
১৯৭৬ সালে ড. মরিস বুকাইলি বাইবেল, কুরআন এবং বিজ্ঞান” নামে একটি বই লেখেন যা পশ্চিমা বিজ্ঞানীদের টনক নাড়িয়ে দেয়।যা বেস্ট সেলার হয়। যা প্রায় ৫০ টিরও বেশি ভাষায় অনূদিত হয়েছে!
আতাস্বপন বলেছেনঃ
রাজ্জাক ভাই আপনার ইচ্ছা ইনশা আল্লাহ পুরণ করার চেষ্টা করব। হুর গেলমান বিষয়ে লেখার ইচ্ছা আছে আগামীতে। যদিও আমি কোন ইসলামি কেউ নই। আমি একজন মুসলিম হিসেব সত্যস্বন্ধান করছি মাত্র। যা বুঝছি তাই নিজের মত দিয়ে প্রচার করছি। আমি ভুল হতেই পারি। বিজ্ঞ বন্ধুরা আমাকে সংশোধন করে দিবেন তথ্য উপাত্ত দিয়ে।
এটাই আশা করি। ও ভাই! আরবী ব্যাকরণ অনেক শব্দ বাংলা তরজামায় নানা রকম হতে পারে। তাই ইংরেজীটাও দিলাম যাতে বুঝতে সুবিধা হয়। এটা আসলে কোন স্টাইল করে নয়। ধন্যবাদ ভাই। আল্লাহ আমাদের সহিহ বুজ দান করুন।
মারজিয়া প্রভা বলেছেনঃ
আবু সাদ খুদরি বর্ণিত – হুনায়নের যুদ্ধের সময় আমাদের কিছু সৈন্যকে আওতাসে প্রেরণ করলেন ও সেখানে আমরা শত্রুদের পরাজিত করলাম ও বেশ কিছু নারী বন্দী করলাম। কিন্তু নবীর সাহাবিরা সেসব যুদ্ধবন্দিনী নারীদের সাথে যৌনতায় অনিচ্ছূক ছিল কারন তাদের স্বামীরা তখনও জীবিত ছিল। আর তখনই আল্লাহ নাজিল করল -‘তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায়-এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হুকুম( সুরা ৪ঃ২৪)’।
সহি মুসলিম, বই- ৮, হাদিস- ৩৪৩২
এরকম কোন আয়াত সম্পর্কে আপনার জানা আছে ? থাকলে বিস্তারিত ব্যাখ্যা চাই। আর হুরের ব্যাপারটা একটু ক্লিয়ার জানতে চাই। হুর উভয়ার্থে বোঝান হয়েছে, মানে কি একজন মেয়েও পুণ্যি করলে ৭০ জন হুর পাবার আশা করতে পার? ধন্যবাদ।
আতাস্বপন বলেছেনঃ
বোন, আমি আপনার উত্তরটা দিতে গিয়ে একটু ভাবছি আপনি এটা কোন উদ্দেশ্যে জানাতে চাচ্ছেন। আপনার নিয়তটা কি?এর উত্তর দেবার জন্য এটা খুবই গুরুত্ব পূর্ন। কারন আপনি যদি বিশ্বাসী হন এর উত্তর আপনাকে নিয়ে যাবে জান্নাতের পথে । আর যদি তা না হন তবে আমার উত্তরে আপনার বিভ্রান্তি আরো বেড়ে যেতে পারে। কারন কুরআন শুধু বিশ্বাসইদের পথ প্রদর্শন করে।
তবে আাপনার জ্ঞাতর্থে জানাচ্ছি এই আয়াত সুরা নিসার 24 নম্বার আয়াত।
বাংলা অর্থ-
এবং নারীদের মধ্যে তাদের ছাড়া সকল সধবা স্ত্রী লোক তোমাদের জন্য নিষিদ্ধ। তোমাদের দক্ষিণ হস্ত যাদের মালিক হয়ে যায় এটা তোমাদের জন্য আল্লাহর হকুম। এদেরকে ছাড়া তোমাদের জন্য সব নারী হালাল করা হয়েছে, শর্ত এই যে, তোমরা তাদেরকে স্বীয় অর্থের বিনিময়ে তলব করবে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ করার জন্য । ব্যভিচারের জন্য নয়। অনন্তর তাদের মধ্যে যাকে তোমরা ভোগ করবে তাকে নির্ধারিত হক দান কর। তোমাদের কোন গোনাহ হবে না যদি নির্ধারণের পর তোমরা পরস্পরে সম্মত হও। নিশ্চয় আল্লাহ সুবিজ্ঞ, র হস্যবিদ।
24 ) Also (forbidden are) women already married, except those (captives and slaves) whom your right hands possess. Thus has Allâh ordained for you. All others are lawful, provided you seek (them in marriage) with Mahr (bridal money given by the husband to his wife at the time of marriage) from your property, desiring chastity, not committing illegal sexual intercourse, so with those of whom you have enjoyed sexual relations, give them their Mahr as prescribed; but if after a Mahr is prescribed, you agree mutually (to give more), there is no sin on you. Surely, Allâh is Ever AllKnowing, AllWise.
ইসলাম পূর্ব নারীর কোন দামই ছিল না। ইসলামই দাম দিল নারীকে। তারপরও জাহেলি সমাজে কিছু ঘারতি ছিল। যা আস্তে আস্তে ঠিক করা হয়। ক্রিতদাস প্রথা তেমন একটি। তখন যুদ্ধলব্দ বন্দিদের ক্রিতদাস করা হতো। তাদের পরিবারাও এর অন্তভূক্ত হতো। ইসলাম ক্রিতদাস মুক্তিকে বিরটা প্রাধান্য দিয়েছে সে সময় এটাই বিরাট বিপ্লব।
একটি ক্রিতদাসী নারীকে তার স্বামী থাকুক না থাকুক তখন যদি এমন ভাবে ছাড়া হতো সবার সামনে দশজন মিলে ভোগ করবে সেটা কি ভালো হত? তখন কিন্তু যুদ্ধ বন্দি নারীদের সাথে এমন আচারন করা হত। ইসলাম এই আয়াতে কিছুটা নিয়ন্ত্রন দিয়েছে। যাতে তারা শতজনের না হয়। একজনের থাকে। সে যুগে এটাই অনেক কিছু। এখন মানবিক ভাবে খারাপ লাগার যে জায়গাটা সেটা হলো স্বামী থাকার পর একজন কেন আরেক জনের অধিকার হবে? এই খানে একটা জটিলতা আছে। স্বামি কিন্তু একজন দাস। তার ইচ্ছে সেখানে মুল্য নেই। এটা চলে আসা দাস প্রথার নিয়ম। ইসলামের নয়। ফলে স্ত্রীকে সাথে রাখার অধিকার তার ছিল না। তাহলে সে তখন হবে শত জনের মনরঞ্জনের খোরাক। ইসলাম তাই তাদের বন্টন করার ব্যবস্থা করল। যাতে একজনের দাসী হয়ে থাকে দশ জনের নয়। আর দাসী হলেই তাকে ভোগ করার জন্য এমন না। তাকে ইচ্ছে হলে ভোগ করতে পারত তখন। আবার নাও পারত । সুরা নুরে আছে সে যদি সতিত্ব রক্ষা করতে চায় তবে তার সাথে জোড় না করার জন্য।
সুরা নুর ৩৩ নং আয়াত-
যারা বিবাহে সামর্থ নয়, তারা যেন সংযম অবলম্বন করে, যেপযন্ত না আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেন। তোমাদের অধিকারভুক্তদের মধ্যে যারা মুক্তির জন্য লিখিত চুক্তি করতে চায় তাদের সাথে তোমারা লিখিত চুক্তি কর। তোমাদের দাসীরা নিজেদের পবিত্রতা রক্ষাকরতে চাইলে তোমরা পার্থিব জীবনের সম্পদের লালসায় তাদেরকে ব্যাভিচারে বাধ্য করো না।
তাহলে দেখা যাচ্ছে বন্দিনী নারীদের ক্রীতদাসী হিসেবে বন্টন করা হলেও তাদের ভোগের বিষয়ে তাদের মতামত এর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। ক্রিতদাস প্রথা তখন ছিল এখনও আছে। অবশ্য কম। ক্রিতদাস প্র্যথা ইসলাম চালু করেনি। আবার নিষিদ্ধ করেনি। তবে হাদিসে মাধ্যমে নিরুৎসাহিত করা হয়েছে। দাস মুক্তির অনেক সওয়াব। এ বিষয়ে রাসুলের অনেক হাদিস রয়েছে। দাস প্রথা সরা সরি নিষিদ্ধ না করায় এটাতে আ্ল্লাহপাকের নিগুরকোন হিকমত থাকতে পারে। অবিশ্বাসিরা যেহেতু স্রষ্টাই মানে না তারা আল্লাহর নিগুরত্বত্তের মুল্যায়ন কি করে করবে? বিশ্বাসির বিশ্বাসই করে আল্লাহ যা করেন তার অবশ্য যুক্তিযুক্ত কারন আছে। সেটা বুঝে আসুক বা না আসুক। কারন বুজতো আল্লহরই দান। উনি যতটুকু দেন ততটুকই আমার প্রোগ্রাম। এর বাইরে কিছু করতে গেলে হ্যাংগড বা ধংস। তাই বিশ্বাসই মুল।
হুর:
হুর আসলে সংগীনি। স্ত্রী নয়। এটা অনেকে অনুবাদ করতে যেয়ে পরিবর্তন করেছেন। দুনিয়াতে পুরুষ আর নারী বেহেশ থেকে যে বৈশষ্ট নিযে এসেছে আবার যাবেও সেভাবেই। হুর তাদের দুনিয়ার বৈশিষ্টের আলোকে দেয়া হবে। পুরুষ দুনিয়াতে একাধিক স্ত্রী গ্রহন করতে পারে। সেক্ষেত্রে তাকে যদি 70 জন দেয়া হয় এটাই স্বাভাবিক । কিন্তু নারী দুনিয়াতে একজন আখেরাতেও একজন। পাবে । এটাই স্বাভাবিক। আর নারী কে 70 জন হুর যদি দেয়াও হয় তার সাথে সে যদি চায় কাম করতে পারবে। না চাইলে না। তার হাতে চাবি। তার সুুখের জন্যই সব। সে যদি একজনেই সন্তুষ্ট থাকে আর না চায় এটা সে করতেই পারবে। বেহশত হল ভালবাসার জায়গা। ষরঋপু দ্বারা কেউ সেখানে চলবে না। দুনিয়ার ষরঋপুময় জীবন নিয়ে বেহেশত সুখ কল্পনা করা খুবই কঠিন। সবাই সেখানে সন্তুষ্ট চিত্তে প্রবেশ করবে। আল্লাহর প্রশংসা সহকারে। সেখানে কারো কোন অভিযোগ অনুুযোগ কিছই থাকবে না । থাকবে শুধু শান্তি আর শান্তি। সবাই আল্লাহর ফয়সালায় সন্তুষ্ট থাকবে।
আপনাকে মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
ফারদিন ফেরদৌস বলেছেনঃ
ব্লগের মতো সংক্ষিপ্ত নিবন্ধিক পরিসরে ধর্মের নিগূঢ়তা নিয়ে আলোচনা করাটা অসমীচীন বোধ করি। আমরা এমন বিষয় যেন উত্থাপন না করে বসি যাতে কোনো আপাত: সুশান্ত উগ্রবাদী চাপাতিতে শান দেওয়ার মওকা পেয়ে বসে! সবচে’ বড় কথা হলো আমরাতো মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট না, তাহলে ধর্মের বিষয়টা আমরা কতটুকুই বা বুঝি। তাছাড়া আজকাল নেটে সার্চ দিলে বহু ভাষায় বহুরূপে হুর, নারী, স্বর্গ, শরাব বিষয়ে বিস্তর তথ্য মেলে। তাহলে বিডি ব্লগকেই কেন এতো বড় দায়িত্ব নিতে হবে? বড় অস্থির সময় চলছে। আগেতো পরমত সহিষ্ণুতার আলোয় সামগ্রিক স্থিতিশীলতা ফিরুক, তখন না হয় ধর্ম দর্শন নিয়ে কথা বলা যাবে কেমন?
এটা একান্ত আমার এখনকার নিজস্ব মত। বাক স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে এসব কথার কারণ খুঁজবার খুব বেশি জরুরত নেই বলেই আশা করছি। ভালো থাকবেন সবাই। মানুষকে ভালোবাসবেন। 😥
আতাস্বপন বলেছেনঃ
ব্লগে আমার কেউই সব বিষয়ে পারদর্শী নাই হতে পারি। কিন্তু তারপরও বিভিন্ন বিষয়ে লিখছি। ধর্মের বিষয়ে আপনিশংকা প্রকশা করেছেন তা অমুলক নয়। তারপরও সত্য প্রকাশ করাটা জরুরী। যে যতটুকু জানি। কাউকে আঘাত না করে। ধর্মের সমালোচনা করা যাবে না এমন কখনো ইসলাম বলেনা বলে আমি জানি। আল্লাহইতো চ্যালেঞ্জ দিয়েছেন। পারলে এর মত কর। পারলে এর মধ্যে খুদ বের কর। সেটা যে কেউ করতে পারবে। তবে তা হতে হবে যুক্তিনির্ভর তথ্য প্রমান সহ শালিন ভাবে। উত্তেজক বাক্য রগরগে বাক্য বানে নয়। আসলে আমাদে লাগামহীন সমালোচনা আমাদের বিপদে ফেলছে বলে আমি মনে করি। ধণ্যবাদ ফারদিন ভাই।
জুলফিকার জুবায়ের বলেছেনঃ
প্রসঙ্গঃ মরিস বুকাইলি
(এই প্রসঙ্গে) সম্মানিত লেখক ধর্ম রক্ষা করতে পেরেছেন বলে মনে হয় না। তিনি ধর্মকে সত্যায়িত (Certify) করার জন্য এক জন বিধর্মীর যুক্তিকে কাজে লাগিয়েছেন; কোন প্রয়োজন ছিল না। মরিস বুকাইলি অত্যন্ত বিরক্তিকর একজন ব্যক্তি, গবেষণায় এতো অনুকূল ফলাফল পাবার পরও যদি সে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ না করে থাকে তবে তার উদ্ধৃতি ব্যবহার না করাই সম্মানিত লেখকের জন্য সুখকর হবে।
প্রসঙ্গঃ হুর
উপরের বর্ণনাটা সহিহ হাদিস সম্মত নয়, তবুও হুরদের কথা ভাবতে গেলে এ রকম বর্ণনাটাই সবার প্রথমে চলে আসে। হুরদেরকে নারী ছাড়া অন্য কিছু ভাবা যায় না।
উপরোক্ত প্রসঙ্গে লেখক বরাবর প্রশ্নঃ
১. নারী বলতে নারী বোঝায়; পুরুষ বলতে পুরুষ বোঝায়; আবার মানুষ বলতে নারী এবং পুরুষ উভয়কেই বুঝায়। মানুষের প্রকারভেদ হিসেবে নারী পুরুষ অবশ্যই সম্পূর্ণ দুটি ভিন্ন সত্ত্বা, মানসিক ও শারীরিক উভয় ভাবে।
হুরদেরকে বিপরীত লিংগ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এই বিপরীত লিঙ্গ কি একই সত্ত্বা (উভয়লিঙ্গ) হিসেবে নারীদের জন্য এক রকম সেবা দেবে এবং পুরুষদের জন্য আরেক রকম সেবা দেবে? নাকি এদের দুটি ভিন্ন সত্ত্বা আছে? যদি থাকে, তবে সেই লিঙ্গ-সূচক সত্ত্বা-গুলোর নাম কি?
২. পৃথিবীতে একাধিক নারীর ব্যাপারে পুরুষদের চঞ্চলতা বহুল প্রচলিত। ফলে বেহেস্তেও পুরুষরা যখন একাধিক নারী-হুর পাবেন তখন তারা সেই নারীদের সাদরে গ্রহণ করবেন বলে আশা করা যায়। এখন পৃথিবীর নারীরও যদি বেহেস্তে একাধিক পুরুষ-হুর লাভের সুযোগ পায়, তবে কি তারা একাধিক পুরুষকে স্বাচ্ছন্দ্যে গ্রহণ করতে পারবেন? পৃথিবীতে যে নারী সারা জীবন এক পুরুষে পবিত্র রয়ে গেছেন তার জন্য বেহেস্তে একাধিক পুরুষের স্পর্শ কি অপরিহার্য?
পুরুষ-হুর আছে – এটা প্রমান না করতে পারলেও ইসলাম ধর্মের মহত্ত্ব সামান্যতমও হেরফের হবে না। তাই আশা করি জাকির নায়েকের মত লেখকও অসম্পূর্ণ উত্তর দেবেন না।
জুলফিকার জুবায়ের বলেছেনঃ
পুনশ্চঃ
বেহেস্তে বেহেস্তবাসীদের জন্য থাকবে হুর। এখন বেহেস্তবাসী হিসেবে অবশ্যই নারীও থাকবে আবার পুরুষও থাকবে। এখন দেখতে হবে হুরদের সাথে বিয়ে কিংবা কাম-চর্চা করার সুযোগটা কাদের জন্য রাখা হয়েছে। যদি দেখা যায় পুরুষরাই শুধু হুরদের সাথে কাম-চর্চা করতে পারবে, তবে হুরদের অবশ্যই নারী হিসেবে কল্পনা করে নেয়াটা স্বাভাবিক হবে।
আতাস্বপন বলেছেনঃ
কাম নারীরা চাইলে পারবে না এমন টা যেমন কোরআনে নেই তেমনি পুরুষই শুধু কাম করতে পারবে এমনও নাই।
আসল হলো নারী তার বরাদ্দ ব্যাবহার করতে চাইবে কিনা। হুর নারী হোক বা পুরুষ সে খুব পবিত্র। তার সম্পর্কে প্রতিটি ইমানদারদের পবিত্র ধারনা পোষন জরুরী। আল্লাহ আমাদের সহিহ বুঝ দিন। আবারও ধন্যবাদ ভাই
আতাস্বপন বলেছেনঃ
দু:খিত ভাই আমি কোন একজন নও মুসলিম এর যুক্তি গ্রহন করেছি। আর অমুসলিম হলে তার সঠিক যুক্তি গ্রহন করা যাবেনা তা কেন হবে? আপনা জ্ঞাতার্থে জানা্চ্ছি তিনি বর্তমানে মুসলিম। আব্দুর রাজ্জাক ভাইয়ের মন্তব্যে জবাবে বিস্তারিত দিয়েছি। ভাই আমি ধর্ম রক্ষার কেউ নই। আল্লাহই সব। আমি আমার ক্ষুদ্র মস্তিস্কে পবিত্র কোরআনে যৌনাতা সংক্রান্ত কিছু বিষয়ে নিজের কিছু কথা বলতে চেয়েছি মাত্র।
কিছু প্রশ্ন করেছেন প্রিয় ভাই তার জবাবে বলছি-
১. হুর কোন নারী বাচক শব্দ নয়। তবে এর ব্যবহার পবিত্র কালামে এমন ভাবে এসেছে যে যে কেউ হুরকে শুধু নারী ভাবতে পারে। হুর কে সংগীনি হিসেবে প্রকাশ করা হয়েছে। তবে কোথাও অনুবাদে স্ত্রী বোঝানো হয়েছে। আমরা হোটেলে যে কাজ করে তাকে বলি কি ওয়েটার। সে নারী না পুরুষ তা ভাবিনা। ভাবি কি? হুর তেমনি একটি শব্দ। যা নারী রুপ ও পুরুষ রুপ দুটাই আছে।হুরের অর্থ সাদা নয়নধারী সংগী। সংগী নারী পুরুস যে কেউ হতে পারে। হুর নিয়ে ভাবলে তার বিপরিতটা ভাববে পুরুষও তাই। উভয়ের জন্য পরকালে বরাদ্দ সমান। কথা হলো যে যা চাইবে তাই পাইবে। এখন স্ত্রী লোক যদি চায় একাধিক হুর এটা তার বেহেশতি স্বাধীনতা।
২. কোন কিছু প্রমান করা আমার কর্তব্য বা দায়িত্ব নয় আমি শুধু যা যুক্তিতে বুঝতে পারলাম মত দিলাম। আমি নাদান টাইপ ক্ষুদ্র মানুষ। সত্য ভালবাসি । সত্য যা মনে আসে প্রকাশ করতে চেস্টা করি। হ্যা আপিন বলছেন হুর নারীদের অপরিহার্য কেন যে দুনিয়াতে এক পুরুষে সতি সাধ্ধি ছিল। তাইতো। আপনার কথার সাথে একমত। তাইতো ! সেই জন্যইতো বলছি হুর হল বরাদ্দ থাকবে। যার ইচ্ছা সে গ্রহন করবে আবার ইচ্ছে না হলে গ্রহন করবে না। বরাদ্দ থাকলে সমস্যা নাইতো। আরে ভাই এটাতো দুনিয়ানা সেটা হলো বেহেশত। যা চাইবেন তাই পাইবেন। সত্য হল কোন বেহেশতি সেদিন সেখানে আল্লাহর সন্তুষ্টিই অধিক চাইবে অন্য নাজ নেয়ামতের চেয়েও।
অসম্পূর্ণ উত্তর না সম্পূর্ণ আমি জানিনা তবে যে টুকু বুুঝেছি সেটুকুই বললাম। ধন্যবাদ ভাই ভাল থাকবেন।
জুলফিকার জুবায়ের বলেছেনঃ
আমি তো আপনার কোন ক্ষতি করি নাই; তার পরও কেন আপনি আমার সাথে এ রকম করলেন? পুরো এক ঘণ্টারও বেশি সময় মাটি করে দিলেন। দীর্ঘ ভিডিওটি দেখার পর আবিষ্কার করলাম ‘মরিস বুকাইলি কোথাও বলেন নাই যে তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন’। ভিডিওটির শেষ দৃশ্যে সবাই যখন মোনাজাতের উদ্দেশ্যে দু’হাত উপরে তুলল, তখন তিনি হাত উপরে তুললেন না; তাতেও সুনির্দিষ্টভাবে প্রমাণিত হয় তিনি অন্তরে ইসলাম ধারণ করেন না। আর তিনি অন্তরে ইসলাম ধারণ করলে নামটাও পরিবর্তন করার প্রয়োজন বোধ করতেন।
আর আপনি উইকিপিডিয়ার রেফারেন্স দিলেন, সেখানে উল্লেখ্য আছে –
মরিস বুকাইলি যে মুসলমান সেই বিষয়ক কোন তথ্য এখানে নাই। আপনি যে কিভাবে মরিস বুকাইলির ধর্মবোধ বিষয়ে নিশ্চিত হলেন আমার কাছে তা বোধগম্য নয়।
বিধর্মীর যুক্তি অবশ্যই গ্রহণযোগ্য, তবে বিধর্মীকে মুসলমান হিসেবে ঘোষণা করা অগ্রহণযোগ্য। আমি যতটুকু বুঝি এ রকমটা যে করবে সে গুনাহ করবে।
আমি বলি নাই যে আপনি ধর্ম রক্ষার সপক্ষে কোন কিছুই করতে পারেন নাই। আমি মূলত বলেছি মরিস বুকাইলির মত তুচ্ছ একটি প্রসঙ্গে আপনি সামান্য ধর্ম রক্ষা করতে পারেন নাই। এখন ভুল থাকলে নিজেকে সংশোধন(/তওবা) করে নিলেই হবে।
আতাস্বপন বলেছেনঃ
জান্নাতে একটি বাজার আছে সেখানে ক্রয়-বিক্রয় নেই। সেখানে নারী-পুরুষের আকৃতিসমূহ থাকবে। সুতরাং যখনই কেউ কোন আকৃতিকে পছন্দ করবে তখন সে সেই আকৃেিত রূপান্তরিত হবে। [(তিরমিজী- আলী (রা.)]
2550
17. Jami at-Tirmidhi ›› 38. The description of Paradise ››
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ مَنِيعٍ، وَهَنَّادٌ، قَالاَ حَدَّثَنَا أَبُو مُعَاوِيَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ إِسْحَاقَ، عَنِ النُّعْمَانِ بْنِ سَعْدٍ، عَنْ عَلِيٍّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ إِنَّ فِي الْجَنَّةِ لَسُوقًا مَا فِيهَا شِرَاءٌ وَلاَ بَيْعٌ إِلاَّ الصُّوَرَ مِنَ الرِّجَالِ وَالنِّسَاءِ فَإِذَا اشْتَهَى الرَّجُلُ صُورَةً دَخَلَ فِيهَا ” . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ .
——————————————————————————–
সহিহ আত্ তিরমিজি :: জান্নাতের বিবরণ অধ্যায়
অধ্যায় ৩৮ :: হাদিস ২৫৫০
আহমদ ইবন মানী’ ও হান্নাদ (র.) ……. আলী (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুলস্নাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: জান্নাতে একটি বিপণি রয়েছে। সেখানে নারী-পুরম্নষের প্রতিকৃতি ছাড়া আর কিছুর কেনা-বেচা হবে না। যখনই কোন ব্যক্তির কোন প্রতিকৃতি মন চাইবে সঙ্গে সঙ্গে সে সেই আকৃতি পেয়ে যাবে। হাদীসটি গারীব।
——————————————————————————–
Jami at-Tirmidhi :: The description of Paradise
Part 38 :: Hadith 2550
‘Ali narrated that the Messenger of Allah (s.a.w) said:
“Indeed in Paradise there is a market in which there is no buying nor selling- except for images of men and women. So whenever a man desires an image, he enters it.” (Da’if)
জুলফিকার জুবায়ের বলেছেনঃ
এবার কিছুটা বুঝতে সহজ হচ্ছে কিভাবে একই হুর একাধিক রূপে মানুষকে সেবা দেবে।
প্রিয় লেখক, ধন্যবাদ জানবেন বিরল কিছু তথ্য তুলে ধরার জন্য।
মরিস বুকাইলির বিষয়ে ঐক্যমতে আসা না গেলেও, হুর বিষয়ে একটি সিদ্ধান্তে আসা গেল।
তৌহিদুল ইসলাম বলেছেনঃ
অসাধারণ একটি লেখা । আর আমার মনে হয় যে ব্যক্তি তার নিজের ধর্মকে রক্ষা করতে জানে সে কুলাঙ্গার । তা সে মুসলিম, খ্রিস্টান, হিন্দু, বৌদ্ধ বা অন্য যাই হউক না কেন । তবে তা যথাযথ পন্থায় উগ্রপথ অবলম্বন করে নয় ।। আর সব চেয়ে বড় কথা এখানে ধর্ম নিয়ে লিখলেই সমস্যা আর ইসলাম ধর্ম হলে তো কথাই নেই ।। ইসলামের বিরুদ্ধে যে যত বলবে সে সমাজে তত মুক্তমন আর মুক্তি চিন্তার অধিকারী বা অধিকারিণী ।। আর সব চেয়ে বড় কথা হল বিদেশ তো যেতে হবে (জার্মানি, আমেরিকা ইত্যাদি ) তবে ধর্মকে না বিসর্জন দিলে কি চলে !! ক্যারিয়ার বড় না ধর্ম বড় !!
আতাস্বপন বলেছেনঃ
আপনি পজেটিভ ভাবে মন্তব্যটি করেছেন বুঝা যাচ্ছে। তবে …………….অসবাধানতায় মনে হয় প্রথম লাইনের দ্বিতয়ি অংশে কিছু সমস্যা হয়েছে। আরেকটি মন্তব্য ঠিক করে নিন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আতাস্বপন বলেছেনঃ
উইকিপিডিয়ার রেফারেন্স: মহা কেচালতো। এখানে দেখছি সম্পাদনা করা যায়। যখন আমি দেখেছিলাম তখন লেখা ছিল একরকম। এখন আবার সম্পাদনা করা। আমিও ইচ্ছে করলে যা লেখা আছে তা পরিবর্তন করে আমার মতামত তথ্য হিসেবে পুট করতে পারি। মানে যার যেটা মন চাইবে তার মত তথ্য করা যাবে। পুরাই জান্নাতি আছর।
জুলফিকার জুবায়ের বলেছেনঃ
“পুরাই জান্নাতি আছর।”
আমারও ভুল আছে, আপনারও ভুল আছে; মানুষ মাত্রই ভুল। আমরা যেমন বহুবার শয়তানের ‘ওয়াসওয়াসা’র শিকার, তেমনি অন্তত একবার মরিস বুকাইলির ‘ধোঁকা’র শিকার। ভুলতো হবেই!
প্রিয় আতাস্বপন ভাই, আপনি যে ভালো এবং সজ্জন মানুষ এ বিষয়ে আমার কোন সন্দেহ নাই। তারপরও আমরা যেন শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে এই প্রসঙ্গে নিরাপদ থাকতে পারি সে জন্য একটি প্রশ্নোত্তর পর্ব শেয়ার করছি। এক ভদ্রলোক মরিস বুকাইলিকে জিজ্ঞেস করেছিল – (ইসলামের জন্য অনেক করেছেন,) আপনি নিজে কি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন? এই প্রশ্নের জবাবে মরিস বুকাইলি যা বলেছিলেন তা নিয়েই এই প্রশ্নোত্তর পর্বঃ
মানুষ সত্য, যুক্তি এবং আবেগ সবচেয়ে বেশি গ্রহণ করে। মরিস বুকাইলি এই উপাদানগুলোর পরিমাণমত ব্যবহারের মাধ্যমে একটি বেস্টসেলার বই নির্মান করেছে। ফলে তার নিজের ও উত্তরপুরুষের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নিশ্চিত হয়েছে। এখন এটা না বুঝে, যদি ইসলাম ধর্মের মহত্ত্ব তুলে ধরার জন্য, মরিস বুকাইলির বইকে রেফারেন্স করা হয়, তাহলে ইসলাম ধর্মের জন্য এটি যত না সহায়ক, মরিস বুকাইলির বংশধরদের ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য তা আরো বেশি সহায়ক। ইসলাম ধর্মের প্রসারের জন্য মরিস বুকাইলিকে প্রসঙ্গ করার কোন প্রয়োজন নাই; বরঞ্চ ইসলাম ধর্মের সঠিক চর্চাই প্রসারের জন্য যথেষ্ট।
তা না হলে দেখা যাবে ভক্ত-ক্রেতাদের আবেগ-নির্ভরশীলতাকে পুঁজি করে মরিস বুকাইলিরা ধন-সম্পদ গড়ে ক্ষমতার চর্চা করে যাচ্ছে।
পুনশ্চঃ ‘হুর’ আগেই নিষ্পত্তি হয়েছে, আশা করি ‘মরিস বুকাইলি’ও এবার নিষ্পত্তি হয়ে গেল।
আতাস্বপন বলেছেনঃ
মরিচ বুকাইলি আমার লেখার উপজিব্য নয়। তার দর্শন ও গবেষণার কিছুটা আমার লেখায় কোড করেছি। মরিছ বুকাইলি সংক্রান্ত কিছু তথ্য পরে অনলাইন থেকে সংগ্রহ করেছি। এটা আমার নিজস্ব মত নয়। আমি শুধু সে আলোকে কিছু বলেছি। হ্যা এ তথ্য ভুল হতেই পারে। বুকাইলি মুসলিম হোক বো অমুসলিম আমি তার চিন্তাটাকে কোড করেছি। কারন তার দর্শনে যুক্তি ও বিজ্ঞান আছে। তিনি অমুসলিম হলেই বা কি? তার যুক্তি দর্শন গ্রহন করা যাবেনা কেন? যতি তা কোরআনা আর হাদিসেক সমর্থন করে। অমুসলিম হলে তার চিন্তাকে গুরত্ব দেয়া যাবে না কোড করা যাবে না তা কিন্তু নয়। বরং ইসলাম সমালোচকদের জন্য এটা উচিত জবাব। যারা মুসলিমার নিজের ঢোল নিজেই পেটায়। ধন্যবাদ জুবায়ের ভাই দীর্ঘ সময় এই লেখাটির পিছনে ব্যয় করার জন্য।
কাজী শহীদ শওকত বলেছেনঃ
এ রে ভাই! প্রায় দশ দিন আগের পোস্ট; কিন্তু আজ চোখে পড়লো। ভীষণ উপকারি পোস্ট–অনেক জ্ঞানের খোরাক আছে। মন্তব্য মিলে সেটির আরাও বহুমাত্রিকতা তৈরি হয়েছে, ফলে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির আলো ফেলে ইসলামিক কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে কোরানিক বাণীর উপস্থাপনা যাচাই করে, জেনে-বুঝে দেখে নেয়ার সুযোগ অবারিত হয়েছে।
আতাস্বপন ভাই, আপনি জ্ঞানপিপাসু মানুষ, এবং আপনার লেখায় এমন বেশ কিছু উদাহরণ লক্ষ করলে দেখতে পাই, গড়পড়তা প্র্যাকটিসিং মুসলিমের স্টেরিওটিপিক্যাল দৃষ্টিভঙ্গির দীনতামুক্ত চিন্তাশীল জীব হয়ে বিষয়কে দেখবার দৃষ্টিটা আপনার আছে। ইসলাম যেমন ধর্ম, নাস্তিক্যও একটা ধর্ম। ধর্মের সাথে ধর্মের ভাবাদর্শগত পার্থক্য না থাকলে ভিন্নতার দাম কী? ফারদিন ভাইয়ের বক্তব্য অত্যন্ত চমৎকার লেগেছে। তাঁর উপলব্ধির বিচক্ষণতা অনেক হলিস্টিক। এই একোমোডেইট করার ক্ষমতা ‘হিকমাত’ অবলম্বন করে চলার প্রেরণা দেয়। পরিস্থিতি বিবেচনায় কর্মপন্থা নির্বাচন অস্তিত্বের জন্যই জরুরী। সেই যায়গাটা ঠিক রেখেও মুক্ত আলোচনার বিষয় হিসেবে ধর্মকে এভাবে আনলে আশংকার কিছু খুব নেই বলেই মনে হয়, বিশেষত, যেখানে নাস্তিক্যবাদে বিশ্বাসীদেরকে বেশ সরবেই তাদের বিশ্বাসকে মুক্তভাবে উপস্থাপন করে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। যুকতি, বিশ্বাস আর উপলব্ধি যদি পস্পরের শত্রু না হয়, তবে জেনে নেয়া, মেনে নেয়া না নেয়ার স্বাভাবিক পার্থক্য সুন্দর হয়ে থাকতে পারে বলে আমার বিশ্বাস। যতক্ষণ অসহিষ্ণুতা আমাদের বিবেককে আক্রান্ত না করছে, ততক্ষণ বিশ্বাসের ইতর বিশেষ সৌহার্দ্যকে ভাঙবে কী করে?
জুবায়ের ভাই অনেক কষ্ট করে চমৎকার যুক্তি-চিন্তার আঞ্জাম দিয়েছেন। আমিও মনে করি না, কারও গবেষণা বা বিশ্লেষণ তথা কাজের চেয়ে তার নিজস্ব বিশ্বাস কোনো ধর্মের (সেটা নাস্তিকের ধর্ম, কিংবা আস্তিকের) খুঁটির জোর বাড়াতে বেশি কার্যকর হতে পারে। এমনটি প্রযুক্ত হওয়া বরং দারিদ্র্যের পরিচায়ক।
কাজী শহীদ শওকত বলেছেনঃ
বিশ্বাসীদেরকে বেশ সরবেই তাদের বিশ্বাসকে মুক্তভাবে উপস্থাপন করে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে।-এর পরিবর্তে পড়তে হবে বিশ্বাসীদেরকে বেশ সরবেই তাদের বিশ্বাসকে মুক্তভাবে উপস্থাপন করে জ্ঞানের আলো ছড়াতে দেখা যাচ্ছে।
আতাস্বপন বলেছেনঃ
দেরিতে হলেও আমার লেখাটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। আমি জ্ঞানপিপাসু কিনা জানিনা তবে, সঠিক ও সহিহ জ্ঞান আহরনের ধান্দায় থাকি। দোয়া করবেন যাতে সহিহ বুজ আল্লাহ দান করেন।