

আগামী কাল পবিত্র হজ্জ্ব। আজ হাজীরা মিনায় আছেন । কাল জমা হবে আরাফাতের ময়দানে। লাব্বাইয়িক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ………………হাজীর আল্লাহ আমি হাজীর ……. ধ্বনীতে মুখরীত হবে মক্কা নগরি। দোয়া করি প্রতিটি হাজী যেন কোন অঘটন ছাড়াই হজ্ব সম্পন্ন করতে পারে। গতবারের মতো বিয়োগান্ত ঘটনা যেন আর না ঘটে।
হ্জ্ব প্রতিটি সামর্থবান মুসলামানের জন্য ইসালামের ফরজ মুল ভিত্তিগুলোর একটি। তাই প্রতিটি মুসলমান জীবনে একটিবারের জন্য হলেও আশা রাখে এই পবিত্র তীর্থ যাত্রার। লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক বলতে প্রতিটি মুসলামানের মন আনচান করে। কাবা শরিফ তাওযাফ করার জন্য মন আকুলি বিকুলি করে। হজ্জে আসওয়াদ কালো পাথর চুমো খেতে মনে স্বাদ জাগে। শয়াতানকে পাথর মেরে সকল অশুভ শক্তির প্রতি ঘৃনা প্রকাশের জন্য উদগ্রীব থাকে মুমিনের অন্তর। হজ্জ শেষে নবীর কবর য়েয়ারত করে আসসালামু আলাইকা ইয়া রাসুল আল্লাহ বলার জন্য তরপায় প্রতিটি উম্মতের অধর। যমযমের পানির স্পর্শে হাজীদের অন্তুরের লাগে পবিত্রতার হাওয়া ।হ্জ্ব এর মৌসুম এলে এ অনুভতিগুলো বারবার ফিরে আসে।
কথা হল এ অনুভূতি নষ্ট হয়ে যায় যাদের তাদের হ্জ্ব এ কোন তাছির থাকে না। একটি ওয়াজে শুনেছি——- ফিরেশতা কাবার বরাবর আল্লাহর নির্দেশে আযান দেয়। তখন শয়তানও বলে সেও আযান দিবে। আল্লাহ তকেও আযানের অুনুমতি দিলেন। যে সকল হাজী হজ্জ করার পর তার পুর্বের জীবনকে পরিবর্তন করে সংশোধীত হয় সে ফিরেশতার আযানের মেহমান ছিলি। আর যে হাজী হজ্ব করে তার পূর্বের পাপের জীবনে আবার ফিরে গেল । কোন পরিবতর্ন হল না সে শয়তানের আযানের মেহমান ছিল। (ঘটনাটি হাদিসে আছে, যদিও আমি এখনো চেক করে দিখিনি) যাই হোক হজ্জ করলে মানুসের মধ্যে আধ্যাত্মিক নৈতিক চেতানর উৎকর্ষ সাধিত হয়। যার হয় না তার হজ্জ এ সমস্যা আছে। তাই দেখা যায় আমাদের সমাজে অনেক হাজী । কিন্তু পাপতো কমে না। তাই হজ্জ করে হজ্বের পবিত্রতা ধরে রাখতে হবে তার শিক্ষার মাধ্যমে। বিশ্ব মুসলিমের একতা , মহা মিলন, একই শ্লোগান কোন দ্বিমত নাই। ধনী গরিবা বাদশাহ ফকির সবাই একসাথে একই কন্ঠে এক আল্লাহর নির্দেশ পালন করছে। এটাই হজ্জ্বের শিক্ষা। সারাবছর এভাবে ঐক্যবদ্ধ থেকে আল্লাহর নির্দেশ মান্য করতে হবে জীবনের সর্বক্ষেত্রে।
আমারা যারা এখনো হজ্জ করতে পারি নাই আল্লাহ যেন আমাদের হ্জ্ব করার তৌফিক দান করেন। আমিন



হ্জ্ব শেষে পশু কোরবানীর মধ্য দিয়ে শেষ হবে পবিত্র হ্জ্ব এর কার্যক্রম। সারা বিশ্বে পালিত হবে ঈদ উল আজহা। সবাইকে ঈদ উল আজাহর শুভেচ্ছা।
ঈদ মোবারক!!!!
আতাস্বপন বলেছেনঃ
আরাফার দিনে করনীয় আমল গুলি হল:
#১- এদিন সুন্নতি রোজা রাখব। যা আগত ১ বছর এবং বিগত ১ বছরের ছোট গুনাহ ক্ষমা করে দিবে।
#২-সকালে জামাতে ফজর নামাজ পড়বো। প্রতি ওয়াক্তেই জামাতে নামাজ পড়ব এটা সব সময়।
#৩- এদিন থেকে ফরজ সালাতগুলির পর নির্ধারিত তাকবীর পাঠ করবো। যা ১৩ জিলহাজ্জ পর্যন্ত চলবে।
তাকবীরঃ
আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর
লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু
ওয়াল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর
ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
#৪-সূর্যদোয়ের ১৫-২০ মিনিট পর ইশ্রাকের নামাজ পড়ব।
#৫- বেশি বেশি জিকির করব, তাওবা ইস্তেগফার করব
-তাসবীহ (সুবহানাল্লাহ),
-তাহমীদ (আলহামদুলিল্লাহ),
-তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ও
-তাকবীর (আল্লাহু আকবার)
-ইস্তেগফার (আস্তাগফিরুল্লাহ)
#৬- দরুদ পাঠ এবং কুরান তিলাওয়াত করব।
#৭- জোহর থেকে আসরের মধ্যে আরাফার দিনের দুয়াটা বেশি বেশি পড়বো।
আরাফাতের দিনে দো‘আ:
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “শ্রেষ্ঠ দো‘আ হচ্ছে আরাফাত দিবসের দো‘আ। আর আমি এবং আমার পূর্ববর্তী নবীগণ যা বলেছি তার মধ্যে শ্রেষ্ঠ হচ্ছে:
ﻻَ ﺇِﻟَﻪَ ﺇِﻻَّ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺣْﺪَﻩُ ﻻَ ﺷَﺮِﻳﻚَ ﻟَﻪُ، ﻟَﻪُ ﺍﻟْﻤُﻠْﻚُ ﻭَﻟَﻪُ ﺍﻟْﺤَﻤْﺪُ ﻭَﻫُﻮَ ﻋَﻠَﻰ ﻛُﻞِّ ﺷَﻲْﺀٍ ﻗَﺪِﻳﺮٌ
একমাত্র আল্লাহ ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই, তাঁর কোনো শরীক নেই; রাজত্ব তাঁরই, সমস্ত প্রশংসাও তাঁর; আর তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান।
লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মূলকু ওয়া লাহুল হামদু, ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন ক্বাদীর
[তিরমিযী নং ৩৫৮৫; আর শাইখুল আলবানী সহীহুত তিরমিযীতে হাদীসটিকে হাসান বলেছেন, ৩/১৮৪; অনুরূপভাবে সিলসিলা সহীহায় ৪/৬।]