সবাইকে ঈদ মোবারক

আতাস্বপন
Published : 12 Sept 2016, 08:38 PM
Updated : 12 Sept 2016, 08:38 PM

প্রতিটি মুসলমানের ঘরে আজ ঈদের আমেজ। হ্যা ঈদ উল আযহা আজ। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে ঈদ মোবারক।


ঈদ সুচী:
=) ঈদের জামাত্।
=) এরপর পশু কোরবানী।
=) ছুরি আর চাপাতি নিয়ে কাটাকুটি খেলা।
=) এর মাঝে গরুর চামড়া ব্যবসায়ীদের আনাগোনা ও দর কষাকষি চলবে। আসবে মাদ্রসার পক্ষ থেকে মাওলানারাও।
=) এরপর গোশ ভাগাভাগি।
=) গোশ বিতরণ।
=) ফ্রিজে ফ্রিজে গোশ সংরক্ষন।
=) ভুরি ভোজ। গোশ টেস্ট করে বলা বাহ! দারুন হয়েছে। কচি গুরু ছিল কিংবা গরুটার চর্বি একটু বেশি।
=) গোশ দিয়ে হরেক রকমের= পদ বানানো। ডিজিটাল যুগ কেউ কেউ এসব পদের ছবি তুলে ফেসবুক এ ক্রেডিট নিবে। তুলে ধরবে রেসেপি। এত চামচ লবন এত চামচ হলুদ মরিচগুরা ইত্যাদি।
=) রাতে বসে চ্যানেলের ঈদ অনুষ্ঠান অবলোকন।
এই আমাদের ঈদের দিনের পরিচিত একটি চিত্র। এর মাঝে ঈদের যে মহান শিক্ষা তা কোথায় যেন হাওয়া। এর কারন ঈদে যা করা দরকার তা সম্পর্কে আমরা উদাসিন।
যা দেখা যায়:
= ) অনেকে ফযরের নামাজ না পড়েই ঈদের নামাজে জন্য তাড়া দিই।
=) তাসবিহ পড়ি না। আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবর লা-ইলাহা ইল্লাললাহু আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিললাহিল হামদ। এটা পড়া ওয়াজিব। অনেকে হয়তো এটা সম্পর্কে জানিই না।
=) গোশকাটতে কাটতে যোহরের নামাজ পড়া হয় না অনেকের।
=) গোশবিতরনের যে ভাগ অনেকে তা সঠিক নিয়মে না করে ফ্রিজে গুদাম জাত করে রাখেন।
=) গোশ কতটুকু হল তা নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করি একবার ও ভাবিনা এটা করা ঠিক নয়।
=) অনেককে দেখা যায় ফকির ঢুকবে বলে দরজা লাগিয়ে রাখে। গেইটের নিচ দিয়ে হাত বাড়ানোদের গোশ দেযা হয়। ভাবিনা এটা কতটুকু সঠিক?
=) দুই ঈদের রাত ইবাদতেরও রাত এটা আমরা অনেকে জানিনা। এরাতে ইবাদত করলে শবে কদর রাতের মত সওয়াব পাওয়া যায়। আমরা থাকি শুধু বিনোদন নিয়ে মক্ত।
আমাদের এই সিস্টেম ভাংতে হবে। সঠিক ভাবে ঈদ পালন করতে হবে। তবেই ঈদের আসল উদ্দেশ্য সাধিত হবে। ত্যাগ আর মহিমায় আলোকিত হবে অন্তর। ঈদ পালনে আমার নিজস্ব দৃষ্টিভংগী হলো-
ঈদে যা করা দরকার:
=) ঈদের রাতে নফল ইবাদত করা
=) ফযরের নামাজ জামাতে পড়া
=) মৃত আত্মিয় স্বজনের কবরে যেয়ে দোয়া করা
=) প্রতিটি নামাযের পরে তাসবিহ (আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবর লা-ইলাহা ইল্লাললাহু আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিললাহিল হামদ)পাঠ করা।
=) ঈদের নামাজের খুৎবা শুনা ওয়াজিব
=) ঈদের নামাজ পড়া
=) কোরবানীর পশুকে ভাল করে গোসল দেওয়া। তার প্রতি মায়া জাগা কোরবানী কবুল হবার লক্ষন।
=) সঠিক নিয়মে ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করা। যাতে পশুর কষ্ট কম হয়।
=) সঠিক নিয়মে চামড়া ছাড়ানো । এটা গরিবের হক। যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা।
=) চামড়া দান অথবা বিক্রি করে অর্থ দান করা
=) সঠিক নিয়মে বন্টন করা। তিন ভাগ করা। একভাগ নিজ, এক ভাগ আত্মিয় স্বজন, একভাগ ফকির মিসকিন
=) ব্যলান্স করে ভোজন করা।
=) বিনোদনের ক্ষেত্রে অশ্লিলতা বেহায়া পনা ত্যাগ করা।
একটা কথা সবার স্মরন রাখা দরকার কোরবানীর ঈদ শুধু গোশ খাবার জন্য নয়। এটাা হল ত্যাগ প্রকাশের একটি ক্ষন। যার ত্যাগ আল্লাহর কাছে গ্রহন যোগ্য হবে সেই সফল। আসুন আমরা ভোগে নই ত্যাগের নিয়তে কোরবানী করি। যাতে এই কোরবানীর দ্বারা মনের পুশুত্ব আছে তারও কোরবানী হয়ে যায়। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমিন।।।