দিন ছিল শুক্রবার। ২০১৬ সালের ৭ অক্টোবর। আমরা কজনা মেতেছিলাম আড্ডাবাজিতে। ব্লগ ডট বিডি নিউজ টুয়ান্টিফোর ডট কম এর ব্লগার আমরা। বিভিন্ন উছিলায় প্রায়সই আমরা মিলিত হই। এটা একটা রেওয়াজ হয়ে গেছে এখন। সেদিনও আমরা সবাই মেতেছিলাম বাঁধ ভাঙ্গা এক আনন্দ হিল্লোলে। জাবির গেইটে যেয়ে দিশাহারা। কই যাই? কেউ নাই? দিলাম ফোন ব্লগার জুবায়ের ভাইকে। দেখি সে আমার কয়েক হাত দুরে হাত নেরে ইশার করছে। সাথে মজিবর ভাই। কোলাকুলি আর হাতে থাকা কোকের দ্বারা আপ্যায়নের মধ্য দিয়ে শুরু হলো ব্লগারদের আড্ডাবাজি।
একটি চা স্টল। এসে বসতেই নিতাই দা , আইরিন আপু, রোদেলা আপু, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সাজ্জাদ ভাই কিন্তু তখনও কাজী শহীদ শওকত আহবায়ক এসে পৌছাননি। সেই মোমেনশাহী থেকে আসছেন তিনি। একটু সময়তো লাগবেই। কুশলাদী বিনিময়ের পর চা নিয়ে এলেন নিতাই দা। এক এন্যার্জেটিক ম্যান। এই প্রথম তার সাথে সরাসরি পরিচয়। অথচ আপন করে নিলেন কত সহজে । বহুদিনের চেনা যেনো। শওকত কে দেখা গেল মিতুল এর সাথে নিল রংয়ে রাঙ্গিয়ে আসতে। যেনো একটি নীল আকাশের শুভ্র মেঘ। জুম্মার নামাজের সময় হয়ে গেল নামাজি টাইপদের নিয়ে চললাম নামাজে।
আরে বাপস! সত্যইতো তাই! কত বাহরের ভর্তারে…………। ক্ষুধার্ত প্রানটা খাই খাই করে উঠলো তা দেখে। খেতে বসে টের পেলাম কি অসাধারণ ভর্তা গুলো। দেখতেই নয় শুধু চাকতেও মজা। আহা……..দিল খুশ হয়ে গেল।
খাওয়ার পর পান খাওয়ালো মাই ডিয়ার টাইপ নিতাই দা। এর মধ্যে শহিদ শওকত দিল মাউন্টেন ডিউজের বোতল। মুখে পান ফেলে দিতে হলো। নিতাই দা এটা লক্ষ করে বললেন, পান খাওয়াটা নষ্ট হইয়া গেল। নো চিন্তুা এই পানি দিয়া মুখ ধোন। আবার পান খামু আমরা।
আড্ডাবাজি: ব্লগ থেকেসংগৃহিত
বিকেলে আমাদের আড্ডা বসল জহির রায়হান মিলনায়তনে। ইতিমধ্যে ফারদিনি ফেরদৌস ভাই চলে এসেছেন আমাদের মাঝে। পুকুরের ধার ঘেষে বসলাম আমরা। নিতাই দা লটারী করলেন। আমি, ফারদিন ভাই, মজিবর ভাই ও অনিক লটারির ভাগ্যবান হিসেবে পুরস্কার পেলাম। আগুন আর মহিলা থেকে সাবধান। একবার যদি তেরে আসে সবশেষ । টের পেলাম রোদেলা আপুর টিটকারীতে। আর আইরিন আপুর চাতুরিতে। বলে কিনা যারা লটারি জিতেছে তাদের পুকুরে ঝাপ দিতে হবে!
নকল হলেও দিলাম কিন্তু আমারটা মনে হয় আসলই হয়ে গেলগো……………….।
বিকেলটি কেন স্বল্প? এই অতৃপ্তি কবিতার মাঝে আবৃতি করে প্রকাশ করলেন আইরিন আপু। এর পর একটা ছোট্ট এডের মতো করা ঘোষানা আসলো। ব্লগ ডট বিডিনিউপ টুয়ান্টিফোর এর একটি মিনি ডকুমেন্টারী হবে। তাতে আমাদের সবাইকে অংশ গ্রহন করতে হবে।
ভাবতে ভাবতে স্বন্ধ্যা প্রায় হয় হয় সপ্তছায়া মঞ্চ এর কাছে আমরা শুরু করলাম স্যুটিং। শেষ হতে হতে মাগরিবের আযান দিয়ে দিল। বিদায় ঘন্টা বেজে গেল। একজন একটি পোষ্টার নিয়ে এল তাতে সবাই স্বাক্ষর করলাম।
আল বিদা বন্ধুগণ! আল্লাহ হাফেজ।
কিন্তু শেষ হইয়াও হইলনা শেষ………………….. বাসস্টেন্ডের পথে নিতা দা আবারো চা খাওয়ালেন। এত মায়া লোকটার! কোথা থেকে আসে!
শফিক মিতুল আমাকে বাসে তুলে দিল। আমি চললাম কিছু সুখময় স্মৃতি সাথে নিয়ে।
ছবিগুলো সহ ব্লগার কাজী শহীদ শওকত এর ফেসবুক থেকে নেয়া