চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দুই দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেগেলেন। এটি প্রায় তিন দশক পর কোনো চীনা শীর্ষ নেতার বাংলাদেশ সফর। ২০১০ সালেও তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। তখন তিনি ভাইস প্রেসিডেন্ট। চীনের সাথে বাংলাদেশের রয়েছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক যা দুই হাজার বছরেরও পুরোনো। চীনের অনেক পর্যটকেরা এখানে এসেছেন। চীন ও বাংলাদেশের জনগণ প্রাচীনকাল থেকেই পরস্পরের ভালো প্রতিবেশী ও বন্ধু। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠকের পর দু'দেশের মধ্যে ২৬টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়। যৌথ ঘোষণায় চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেন, চীন ও বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্ক এখন নতুন যুগের সূচনা করেছে। ২০১৭ সাল হবে চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্বের বছর। উল্লেখ্য, এই চীন ১৯৭১ -এ আমাদের সমর্থন দেয়নি।
চীনা প্রেসিডেন্ট তার সফরে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়ার সাথেও বৈঠক করলেও কিন্তু দেশের প্রধান বিরোধী দল এর সাথে কোন বৈঠক করেননি। এ নিযে প্রধান রিরোধী দল জাতীয় পাটি একটু অস্বস্তিতে আছে। যাই হোক এই বৈঠক না করাটা এটা প্রমাণ করে যে, জাতীয় পাটি আসলে একটি গৃহপালিত বিরোধী দল। তারা আসলে রাজনৈতিক ভাবে এতিম একটি দল। সরকারি দলের সাথে তারা এমনভাবে মিশে গেছে যে তাদরে আলাদা অস্তিত্ব আজ চীনের চোখে ধরা পরেনি। তাই তারা আজ হতভাগা এতিম আর গৃহপালিত।