ওভার ব্রিজের নিচে ময়লার ভাগার এবং ফুটপাত ময়লার স্তুপে ডুবন্ত

আতাস্বপন
Published : 28 Oct 2016, 01:07 AM
Updated : 28 Oct 2016, 01:07 AM

২০১৩ সালে গাজীপুর সিটি কপোরেশন হবার পর দীর্ঘ সময় চলে গেছে। এখন ২০১৬ সাল। কি উন্নয় হয়েছে গাজীপুর সিটির। অন্য কিছু বাদ দিয়ে শুধুমাত্র ময়লা আবর্জনা বা বর্জ ব্যবস্থাপনার দিকে তাকালেই তা প্রতিয়মান হয়। গাজীপুরকে সিটি করপোরেশন করা হলেও মহাসড়কের ওপর ময়লা দেখে মনে হয় ময়লার শহর গাজীপুর। সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার অভাবে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। নগরীর বিভিন্ন এলাকার ময়লা গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফেলে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করা হয়েছে। আর এই ময়লার উৎকট গন্ধে অতিষ্ঠ গাজীপুর নগরবাসী। ভারপ্রাপ্ত মেয়র অসহায় ভাবে বললেন-

একটি পত্রিকার সাথে স্বাক্ষাৎকারে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন সমস্যা সংকটের কথা তুলে ধরে ভারপ্রাপ্ত মেয়র বলেন, সিটি কর্পোরেশন এলাকার ময়লা-আবর্জনা ফেলার জন্য কোনো নির্দিষ্ট ডাম্পিং প্লেস ছিল না। পাশাপাশি ময়লা আবর্জনা বহনের জন্য ট্রান্সপোর্ট সংকটও রয়েছে। কর্পোরেশনের ২৪টি গাড়ির মধ্যে ১০টি গাড়িই ২০ বছরের পুরনো। এসব গাড়ি প্রায় সময়ই ডিস্টার্ব দেয়। যা দিয়ে নগরের দৈনিক ৩শ মেট্রিকটন ময়লা-আবর্জনা পরিবহনে হিমশিম খেতে হচ্ছে।এখানে পুরো খবর পড়ুন

ময়লা বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত মেয়র কিরনকে মাননীয় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন,'ময়লা তোমার বাসার সামনে ফেলার নির্দেশ দিয়েছি'– প্রথম আলো, ২৭ আগষ্ট ২০১৬

তোমাকে বারবার সতর্ক করার পরও তা পালন করোনি। তাই ওই ময়লা এখন থেকে মহাসড়ক থেকে তুলে নিয়ে সিটি করপোরেশনের অফিস ও তোমার বাসার সামনে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।'

গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমানকে মুঠোফোনে এ কথা বলেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি শুক্রবার সকালে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস মোড়ে ফোর লেন সড়কের কাজ পরিদর্শনে যান। এ সময় সাংবাদিকেরা তাঁকে জানান, কড্ডা ও বাইমাইল এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ওপর সিটি করপোরেশনের ময়লা ফেলায় যানজটের সৃষ্টি হয়। মন্ত্রী তাৎক্ষণিকভাবে সেখান থেকে মুঠোফোনে ভারপ্রাপ্ত মেয়রকে ওই সব কথা বলেন।


উল্লেখ্য, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র অধ্যাপক এম এ মান্নান দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দি। তাকে বরখাস্ত করার পর সেখানে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে আসাদুর রহমান খান কিরন দায়িত্বপালন করছেন। মেয়র সংক্রান্ত জটিলতায় এইসব সমস্যা সমাধান হচ্ছেনা বলে উক্ত এলাকার জনগন মনে করে।

গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন এ যেসব এলাকায় এখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলা হয় তেমন উল্লেখযোগ্য কয়েকটির তালিকা:
১। টংগী ব্রীজ এর নিচে ময়লা ভাগার যেন :

এতো মহাসড়ক নয় যেন ময়লার ভাগার। টঙ্গী বাজার ওভার ব্রিজের নিচে মহাসড়ক ঘেষে ময়লার স্তুপ। পাসেই বাস স্ট্যান্ড। যাত্রিরা সেখানে উঠা নামা করে। বাস থামতেই নাকে এসে লাগে বোটকা গন্ধ। গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গী জোনের আবাসিক এলাকা ও বাজারের ময়লা আবর্জনা ফেলার নিজস্ব কোন ডাম্পিং পয়েন্ট না থাকার কারণে সড়কের পাশে ওভার ব্রিজের নিচটাই ব্যবহার করছে সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা। এভাবে ময়লা ফেলার কারণে একদিকে যেমন বাতাসে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করছে অন্যদিকে সড়ক মহাসড়ক দিয়ে চলাচলরত পথচারী ও বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। সিটি কর্পোরেশন হবার আগ থেকেই এ জায়গাটিতেই এভাবে ময়লা আবজর্না ফেলা হয়ে আসছে। টঙ্গী বাজার এর একজন ব্যবসায়ী বলেন, সিটির লোকজন টঙ্গী বাজার বাসষ্ট্যান্ড ফুটওভার ব্রিজের নিচে ময়লা ফেলার কারণে এখানকার ব্যবসায়ী, পথচারী ও যাত্রীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। সবাই ভেবেছিল সিটি কর্পোরেশন হওয়ার পর এই দূর্ভোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে কিন্তু বিধি বাম। যেই লাউ সেই কদু। কর্পোরেশনের নাগের ডগা দিয়ে ময়লা ফেলা হচ্ছে অথচ কোনো হেলদুল নেই।


২। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক এর উপর ময়লার স্তুপ : গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কালিয়াকৈর জোনের এ্যাপেক্স ফুট ওয়্যারের গেটের পশ্চিম পাশে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উভয় পাশে, একই মহাসড়কের জোড়াপাম্পের পশ্চিম পাশে ও কালিয়াকৈর-নবীনগর মহাসড়কের বাড়ইপাড়া বাসস্ট্যান্ডের উত্তর পাশে আবাসিক এলাকার ময়লা আবর্জনা প্রকাশ্যেই ফেলা হচ্ছে। এসব স্থান দিয়ে পথচারীরা নাকে রুমাল চেপে চলাফেরা করে।

(নেট থেকে সংগৃহীত)
৩। শীববাড়ী মোড় এ ময়লা রাখা হয়। তবে সময় নির্ধারন করা। ফলে সময়ের পরে ময়লা থেকে যায়।


৪। গাজীপুর চৌরাস্তা সড়কের পাসে ময়লার স্তুপ। রাস্তা ব্লক করে ময়লা ফালানোয় যানযট লেগে যায়। গাজীপুর চৌরাস্তা একটি গুরুত্ব পূর্ন স্থান । কোন কারণে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হলে তার প্রভাব পড়ে দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায়। গাজীপুরের চৌরাস্তাতে ময়লার পাহার থাকায় সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ যানজট, এর মূলে সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্বহীনতা কে দায়ি করছে স্থানয়িরা।
ছবি-১

(অনলাইন থেকে সংগৃহিত)
ছবি-২


৫। গাজীপুরা রাস্তার পাসের ড্রেন ময়লায় বন্ধ।


৬। কলেজ গেইট শফিউদ্দিন কলেজে মেইন রাস্তার পাশে ভাংগা চোড়া টিন দিয়ে কোনরকম ভাবে একটা ডাম্পিং পয়েন্ট করা হয়েছে। এতে ময়লা আবর্জনা রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ছে। জনগন নাক চেপে বহুকষ্টে যাতায়ত করছে। ময়লায় রাস্তা দখল করায় পথচারীদের হাটাচলায় জটিলতা হচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা এখানে কোন ফুট ওভার ব্রিজ নেই। ফলে রাস্তা পারপার হতে গিয়ে ময়লায় পিছলে প্রায়ই দূর্ঘটান ঘটছে। ময়ালার জায়গাটি সেখান থেকে সরিয়ে সে বরাবর একটি ফুট ওভার ব্রিজ দেওয়া দরকার বলে এলাকার লোকজন মনে করেন।
৭। কলেজ গেইট থেকে একটু সামনে পূর্ব দিকে শিশু শোধনাগার ঘেষে রাস্তার উপর কাঁচা বাজার এর সকল ময়লা ফেলা হয়।
৮। চেরাগ আলী বাজার এর মুরগীর যাবতয়ি বর্জ রাস্তার উপর ফুটপাতে ফেলা হয়। ফলে দূগন্ধে সেখানে টেকা দায়।


৯। জয়দেবপুর চৌরাস্তা: জয়দেবপুর চৌরাস্তায় ডাস্টবিন নাই – ময়লা ফেলে মহাসড়কে। একজন পথচারী বলছিলেন, প্রতিদিনই এখানে ময়লার ভাগার হয়। ময়লা-আবর্জনা বাতাসে ওড়ে। পরিবেশ নষ্ট হয়। ডাস্টবিন থাকলে সমস্যা কমহতো, তাই সকলেরই দাবি এখানে ডাস্টবিন বসানোর। এসব ময়লা সড়াতে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কর্মীরা আসে ১২টার পর। ময়লার গাড়ী দিয়ে সড়িয়ে ফেলা হয় কড্ডার ডাম্পিং এ । এসব সড়িয়ে শেষ করতে দুপুর গড়ায়। ফলে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পথচারী ও আশপাশের মানুষদের দূর্ভোগ পোহাতে হয়।

গাজীপুর সিটকর্পোরেশনের ময়লা আবর্জনা সংক্রান্ত সমস্যা নিয়ে এ পর্যন্ত অনেক সংবাদ ছাপা হয়েছে পত্রিকায়। তার থেকে উল্লেখযোগ্য কিছুর তথ্য দেয়া হল-
১।http://www.manobkantha.com/2016/06/17/134492.php (ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আবর্জনার স্তূপ) মানবকন্ঠ,১৭জুন ২০১৬
২।http://www.bhorerbani.com/24210?q=print (টঙ্গীতে ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়।।জনগনকে সচেতন হতে হবে——ভারপ্রাপ্ত মেয়র কিরন )ভোরের বাণীি ৬জুন ২০১৬
৩। http://www.prothom-alo.com/bangladesh/article/954751 (গাজীপুরে মহাসড়কে আবর্জনার স্তূপ!) ২৩ আগষ্ট,২০১৬

এ সমস্যা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে উক্ত এলাকার জনমতের আলোকে কিছু প্রস্তাবনা:
১। জনসচেতনতা: এখানে সেখানে ময়লা ফেলার প্রবনতা রোধে জনগণ কে সচেতন করতে হবে। এ বিষয়ে কাউন্সিলিং জাতিয় ব্যপক কর্মসূচি গ্রহন করতে হবে।
২। যুবকদের সংশ্লিষ্টতা: পাড়ায় মহল্লার ক্লাব বা যুব সমিতিগুলো কে সংশ্লিষ্ট করে এলাকার ময়লা আবর্জনা দুর করার হাতে কলমে উদ্যোগ নেয়া। এ কার্যক্রম ওয়ার্ড কাউন্সিলদের অধিনে তার সরাসরি তত্ত্ববধানে হলে খুব ভাল হয়। এমন কার্যক্রম গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের কিছু কিছু ওয়ার্ড এ চালু আছে। কলেজ গেইটে এমন অনেকগুলো সংগঠন আছে। গাজীপুরা সাতাইশ এলাকায় ৫১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের তত্ত্ববধানে এমন একটি সামজিক উদ্যোগ চলছে।

(তরুনদের উদ্যোগ সাতাইশের ময়লা অপসারন কার্যক্রম)

(তরুনদের উদ্যোগ সাতাইশের ময়লা অপসারন কার্যক্রম)
৩। ময়লা কালেকশন এর পরিকল্পিত উদ্যোগ গ্রহন: পরিকল্পিতভাবে ময়লা কালেকশন করতে হবে। প্রতিটি বাড়ির সামনে সিটি কর্পোরেশেনের বা স্থানীয় ক্লাব বা সংগঠনের উদ্যোগে সাময়িক ভাবে ময়লা রাখার জন্য ড্রমি বা বালতি জাতিয় কিছু সরবারাহ করতে হবে। বালতির বা ড্রামের খরচ বাবদ কিছু টাকা বাড়রি মালিকদের থেকে নেয়া যেতে পারে তার পর ভেন গাড়িতে করে সে ময়লা সংগ্রহ করে সিটি কপৌরেশনের নির্দিষ্ট ডাম্পিং পয়েন্টে ফেলতে হবে। প্রতিটি বাজার ও সুপার মাকেটেও নিজস্ব ময়লা সংগ্রহের ব্যবস্থা রাখেতে হবে। কোন অবস্থাতেই ময়লা বা বর্জ ছড়িয়ে ছিটিয়ে এখানে সেখানে ফেলা যাবে না। রাস্তা বা ফুটপাতের পাশ কিছু দুর অন্তর অন্তর ময়লা ফেলার জায়গা বা বাস্কেট জাতিয় মিনি ডাস্টবিন স্থাপন করতে হবে। এতে করে জনগনকে রাস্তায় ময়লা ফেলা থেকে রোধ করা সম্ভব হবে।


যেখানে দেখিবে ছাই ……………..পাইলেও পাইতে পারো অমূল্য রতন।
তাই ছাই কিংবা ময়লা কোনটাই কিণ্তু ফেলনা নয়………………। তাই ময়লা সংগ্রহ যথাযথভাবে হওয়া দরকার। এক্ষেত্রে ময়লা কে শ্রেনীবিন্যাস করা যেতে পারে-
ময়লার শ্রেনবিভাগ:
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ময়লা সংগ্রহের সুবিধার্থে ময়লাকে এভাবে শ্রেণীবিভাগ করা হয়:
=) পৌর এলাকার আবর্জনা
=) বাণিজ্যিক এলাকার আবর্জনা
=) শিল্প এলাকার আবর্জনা

যেখানে শেষ গণ্তব্যস্থল হিসেবে ময়লাকে মূলত মাটিচাপা দেয়া হয় সেখানে শ্রেণীবিভাগটা এরকম:
পচনশীল
অপচনশীল
যে শহরে ময়লা পুড়ানো হয় সেখানে শ্রেণীবিভাগটা এমন হতে পারে:
দহনযোগ্য
অদহনীয়
পূণর্ব্যবহারযোগ্য
প্লাস্টিক
পুরাতন কাপড়
খবরের কাগজ
পেট-বোতল
কাচের বোতল
ধাতব বস্তু
অতিরিক্ত বড় ময়লা
ইলেক্ট্রনিক দ্রব্যাদি
বিভিন্ন কারণে সময়ের সাথে সাথে কোন এলাকা থেকে উৎপন্ন ময়লার বৈশিষ্ট পরিবর্তন হতে পারে। পরিবর্তনের কারণগুলোকে সংক্ষেপে নিম্নলিখিত ভাবে লেখা যায়:
প্রযুক্তির পরিবর্তনের কারণে – যেমন: খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতি পরিবর্তন হলে কিংবা মোড়ক তৈরির প্রক্রিয়া/উপাদান বদল হলে।
বিশ্বের অর্থনৈতীক পরিবর্তনের ফলে – তেলের দাম খুব বেড়ে গেল এর বদলে হয়ত কয়লা ব্যবহৃত হবে, তখন ময়লাতে কয়লার ছাইয়ের পরিমাণ বেড়ে যাবে। একইভাবে অর্থনৈতীক কারণে বিকল্প পদার্থ ব্যবহার ময়লার গড়নকে প্রভাবিত করবে।
ময়লা ব্যবস্থাপনায় পুণরায় ব্যবহার করা বা রিসাইকেল করার নিয়ম/সুবিধা শুরু হলে।
নতুন আইন প্রয়োগের ফলে।
ঋতূভেদে ময়লার ধরন আলাদা হবে।
এলাকার মানুষের আচরণগত/স্বভাবগত বৈশিষ্ট পরিবর্তন হলে। (প্রশিক্ষণ/সচেতনতা/শিক্ষার কারণে)
এছাড়া, ভিন্ন ভিন্ন এলাকায় ভৌগোলিক পার্থক্যের কারণেও ময়লার গড়ন আলাদা হয়।
৪। অত্যাধুনিক ডাম্পিং পয়েন্ট স্থাপন: ভাংগা চোড়া টিনের বেড়া বা মানধাত্তার আমলের ডাস্টবিন দিয়ে নয় এর জন্য দরকার অত্যাধুনিক টেকসই ডাম্পিং পয়েন্ট স্থাপন করা। সম্প্রতি ঢাকায় কয়েকটি অত্যাধুনিক ডাম্পিং পয়েন্ট করা হয়েছে। গাজীপুর সিটিতেও তেমন করার উদ্যোগ নেয়া দরকার।

৫। সিটি কর্পোরেশনের সরাসরি তদারকি: এ বিষয় সিটি কর্পৌরেশন কে আরো গতিশীল হতে হবে। তাদের কে সরসরি এ কার্যক্রম তদারকি করতে হবে। কোন অবস্থাতেই কেউ যাতে ময়লা আবর্জনা রাস্তা বা ফুটপাতে না ফালাতে পারে। বা ফুটপাতগুলো কাঁচাবাজারের ময়লা বিশেস করে মাছ, মুরগী বা মাংসের দোকানের বর্জ। এগুলো পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়।

৬। অবৈধ বাজার বন্ধ: রাস্তার আসে পাসে ফুপাতে অবৈধ কাঁচা বাজার বন্ধ করতে হবে।

৭। উপযুক্ত জায়গা নির্বাচন: সিটি কর্পোরেশনের ময়লা আবর্জনার ডাম্পিং পয়েন্ট জনবহুল জায়গায় না করাই উত্তম হবে।

৮। দিনে ময়লা পরিবহন না করা: ময়লার গাড়ি রাত বারটার পর ময়লা পরিবহন করবে তার আগে কর্মব্যস্ত সময়ে নয়।
৯। পুরষ্কারের ব্যবস্থা করা: ময়লা আবর্জনা অপসারন কার্যক্রম এর গ্রহনযোগ্যতা জন সম্পৃক্ততা বাড়ানেরা জন্য পুরষ্কারের ব্যবস্থা রাখা যেতে পারে। সবচেয়ে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর এলাকা বা ওয়ার্ডে কে কর্পোরেশন থেকে পুরষ্কৃত করা হলে সবাই এলাকা সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন রাখার প্রতিযোগীতায় মেতে উঠতে পারে।
১০। ময়লার সদগতি: কাঁচা বাজারের মাছ মাংসের বর্জ সংগ্রহ করে তা দিয়ে বাযোগ্যাস প্রস্তুত করা যেতে পারে।

গাজীপুর সিটি কর্পোরশনকে সুন্দর একটি আধুনিক শহরে রুপান্তর করতে চাইলে দরকার সুন্দর পরিবেশ তৈরি করা। আর এই ময়লা আবর্জানা ফেলার অব্যবস্থাপনা এর অন্যতম প্রধান অন্তরায় হয়ে আছে আর এতে বাতাস দুষিত হয়ে জনগনের স্বাস্থ্য হানী ঘটছে। নানা প্রকার রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। তাই জনস্বার্থেই এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের আশু উদ্যোগ গ্রহন করা প্রয়োজন।