সবার জন্য বাংলা নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা ভালোবাসা ও দোয়া

আতাস্বপন
Published : 15 April 2017, 00:42 AM
Updated : 15 April 2017, 00:42 AM

বুদ্ধিমানরা তর্কে জড়ায় না, তর্ক এড়িয়ে চলে- কোন মনিষি যেন বলেছিল কথাটি। খুব খাঁটি কথা। নববর্ষ উদযাপন নিয়ে প্রতিবছর তথাকথিত ধর্মীয় গুরু আর প্রগতি গুরুদের মাঝে বিশাল তর্ক। এ বিশালতার মাঝে মানবিকতা বোধ যাতে না হারায় সেদিকে সবার দৃষ্টি থাকা দরকার। উস্কানী আর উগ্রতার কালো মেঘে যেন ঢেকে না যায় নববর্ষের লাল রক্তস্নাত রবির কিরণ।

নববর্ষ উদযাপন একটা ব্যক্তিগত বিষয়। ব্যক্তির ইচ্ছা অনিচ্ছার উপর এটা নির্ভর করে। করা বা না করার ক্ষেত্রে জোড় জবরদস্তি ঠিক নয়। প্রত্যেকেইে যুক্তি দিয়ে বা ধর্মীয় দৃষ্টি দিয়ে ব্যাখা করে তার মতামত জাহির করতে চায়। কারণ আবেগ অনুভতি শিক্ষা ও আশেপাশের পরিবেশ এর প্রভাব মানুষকে নানা মতে বৈচিত্র্যময় করেছে। প্রত্যেকের যুক্তিকে না মানলেও সম্মান করে চলায় কোন দোষ নেই। শান্তিময় সহাবস্থান সবার কাম্য হওয়া উচিত।

তাই যাই করা হোক না কেন মনটাকে যেন কুলষিত না করা হয়। নববর্ষের প্রথম দিনটা বিদ্বেষ দিয়ে নয় ভালবাসা আর সহমর্মিতা এবং দোয়া ও কল্যাণ কামনা করে শুরু করার মানসিকতা জাগ্রত করতে হবে। মঙ্গল শোভাযাত্রা কারো পছন্দ কারো অপছন্দ- থাকতেই পারে ভিন্নতা। কিন্তু আন্তরিকতায় যেন কমতি না থাকে। দেশপ্রেমে যেন কমতি না থাকে। এক অনুষ্ঠান করা না করা নিয়ে বছরের শুরুটা তিক্ত না করে সবাই মিলে বাঙালি সকল সম্প্রদায়ের সাথে একযোগে দেশকে গড়ার শপথ নেয়াটাই মুখ্য। মুল কথা হল দেশের মঙ্গল কামনা, সেটা শোভাযাত্রায় কিংবা উপসনালয়েই হোক মেটার করে না। ব্যক্তির মত ব্যক্তির কাছে গুরুত্বপূর্ণ, অন্যের কাছে নাও হতে পারে। তাই ভিন্নতা প্রকাশ করা যাবে কিন্তু চাপাচাপি বা নিজেরটাই সঠিক বলে অন্যকে বাধ্য করা বা অপছন্দ হলে হেনস্থা করা যুক্তিযুক্ত নয়। অলওয়েজ বি পজেটিভ।

উগ্রতায় নয় আন্তরিকতা নিয়ে এগিয়ে আসুন। আপনি যদি সৎ হন আপনিই জয়ী। সেটা কেউ স্বীকৃতি দিক বা না দিক। শুভ বাংলা নববর্ষ।