আমাদের দুটি টার্কি মোরগ

আতাস্বপন
Published : 29 Oct 2017, 09:44 AM
Updated : 29 Oct 2017, 09:44 AM


বড় ভাইয়া ৪/৫ মাস আগে মিরপুর থেকে কিনে আনেন তিনটি টার্কি মুরগী। এর মধ্যে কয়েকদিন বাদে একটি অসুস্থ হয়ে পড়লে খেয়ে ফেলে। বাকি একটি মোরগ আর একটি মুরগী বহাল তবিয়তে বেড়ে উঠছে। বাড়ির পাশের কচুরি পানা এদের খুব পছন্দের খাদ্য বলে মনে হচ্ছে। কচুরিপানা দিলে কপাকপ করে খেয়ে ফেলে।তাই খাবার খরচ তেমন লাগছে না। এগুলোকে মোরগ প্রজাতির বলা যায় না এগুলো ময়ূর প্রজাতির এক ধরনের পাখি। এদের চাল চলনে তেমনি মনে হয়। বাড়ির আঙ্গিনায় এদের ঘুরাফেরা দেখতে ভালই লাগে।


আমার বাবার অফিস কলিকের একটা ফাঁকা জায়গা আছে আমাদের বাড়ির সামনে। আঙ্কেল মারা গেছেন তার ছেলে এখন এর দায়িত্বে। আমি তাকে ছোট ভাইয়ের মত দেখি। সেও আমাকে খুব মানে। সে উত্তরা থাকে। জমিটা নিয়ে তার পরিকল্পনার শেষ নেই। একবার বলে এই করব আবার বলে উই করব। ভাইয়া এইটাতে আপনি কিছু করেন। সবসময় আমাকে খোঁচাতে থাকে। এবার তার মাথায় ঢুকেছে টার্কি ফার্ম করার ভুত। টার্কি নিয়ে সেদিন সে একটা প্রস্তাব দিল। ঐ ফাঁকা জায়গাটাতে ফার্ম করে ব্যবসা করার জন্য। এতে নাকি প্রচুর লাভ। বাংলাদেশে এর চাহিদা না থাকলেও বিদেশে নাকি এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে। একখান থেকে টার্কি বিদেশে সাপ্লাই করতে পারলে নাকি টাকাই টাকা। আর এদের খাবার খরচ তেমন নেই। ঘাস পাতা আর কচুরিপানা খেয়েই এরা নাদুশ নদুশ হয়ে যায় ৫-৬ মাসে। আর এদের তেমন রোগ শোকও নাকি হয় না।

আমি অবশ্যই প্রস্তাবে রাজি হই নি। কারন আমি যেখানে থাকি সেখানে এখন ঘনবসতি। ফার্ম করতে গেলে আশেপাশের পাড়াপ্রতিবেশী বর্জ্যের গন্ধে থাকতে পারবে না। এতে পরিবেশও দুষন হবে। আমার বাড়ির দুটি টার্কির বর্জ্যের গন্ধই সহ্য হয় না! অন্যদের কি করে সহ্য হবে? অবশ্য আইডিয়াটা ভাল। বাংলাদেশ টার্কি পালনের উর্বর ক্ষেত্র হতে পারে। তবে ঘনবসতিতে নয় একটু ফাঁকা জায়গায় এটা করা যেতে পারে। যেখানে মানুষের অসুবিধা হবে না। আগ্রহীরা এ সম্পর্কে ভালভাবে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও করতে পারেন।