জনগন আজ বন্দি রাজনৈতিক কারাগারে, মৌলিক অধিকার ভুলুন্ঠিত বারেবারে

আতাস্বপন
Published : 14 March 2012, 01:22 PM
Updated : 14 March 2012, 01:22 PM

রাজনীতি নিয়ে লিখতে আমার ভাল লাগে না। এটা বড়ই তিক্তকর লাগে আজ কাল। তবুও বর্তমান ঘটনা প্রবাহের কারনে এই বিষয়ে দুটো কথা লিখছি। আ.লীগ না হয় বিএনপি-জাপা না হয় জামাত? আজকাল রাজনৈতিক পরিমণ্ডল এর ভিতরে আবদ্ধ।

বাংলাদেশের মানুষ কে নিয়ে নাকি তারা রাজনীতি করে। তাদের কল্যাণে তারা নিবেদিত। অথচ দেশের মানুষ এ দলগুলো থেকে বর্তমানে কি কল্যান পেয়েছে? হরতাল, বোমাবাজি,সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ছাড়া। উপরন্তু দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, শেয়ার বাজারে ধস, খুন,ধর্ষন আর গুম এর যেন জোয়ার লেগেছে। রেহাই পাচ্ছেনা এ থেকে বিদেশী নাগরিকও ।

এ অবস্থায় সরকারী দল -বিরোধীদল প্রতিনিয়ত অস্থির করে রেখেছে দেশটাকে। তাদের পারস্পরিক দ্বন্দ্ব সংঘাতে জনগন এর মৌলিক অধিকার আজ ভুলুণ্ঠিত। (পাটায়-পুতায ঘষাঘষি মরিচের কর্ম সারা)।
স্বাধীনভাবে জীবনযাপন এমনকি স্বাভাবিক মৃত্যুর কোন গ্যারান্টি নেই। জনগনের ট্যাক্সে চলা পুলিশ আজ লাইসেন্সধারী সন্ত্রাসীতে পরিনত। যে কোন সময় যে কোন অজুহাতে তার জনগনের উপর চালাচ্ছে নির্যাতন।

১১ মার্চের ঘটানা। বাসে চলে অফিসে আসছি বহু কষ্টে। গাড়ি চলছে না খুব একটা। গাদাগাদি করে বাসে উঠেছি। হঠাৎ গাড়ি থেমে গেল। সামনে চেয়ে দেখি পুলিশ চেক পোষ্ট। তারাই গাড়িটিকে থামিয়েছে। কয়েকজন পুলিশ এগিয়ে এসে যাত্রীদের উদ্দেশ্যে করে বিশ্রী ভাষায় যা বলল তা কোন সরকারী প্রতিষ্ঠানের ভাষা হতে পারেনা। "ঐ শালা (হেলপার কে উদ্দেশ্য করে) গাড়িতে থেইকা সবাইরে নামা"। গার্মেন্টস এর একটা ছেলে বলল, আমার অফিসের দেরি হইয়া যাইব। সবাইরে না নামাইয়া আপনার বাসে উইঠা চেক করেন।
বেশী কথা কইবি না। নামতে কইছি নাম সবাই। তাড়াতাড়ি নাম।

নিরীহ যাত্রীরা একে একে নামতে লাগল। গার্মেন্টেসের ঐ ছেলেটা নামতে একটু দেরি করেছিল।
ঐ বেটা এত দেরি করছ কেন? নাম তাড়াতাড়ি।
ছেলেটা একটু তেরা আছে। বলল নামতাছি দেখেন না।
হোগার পোলা আর একটা কথা কবি একদম খাইয়া ফালামু।
ঐমিয়া গালি দেন কে? নামতাছি না।
একজন পুলিশ ঠাস করে একটা চড় লাগিয়ে দিলে তাকে। তারপর মার আর মার…

এই হল অবস্থা। সত্যই সেলুকাস। কি আজব দেশ। কার কাছে নালিশ করব । বান্দার কাছে এর কোন সমাধান না পেয়ে আল্লাহর কাছে বললাম মালিক তুমি এই জুলুমের বিচার করো। জনগনের জান মালের নিরাপত্তা দিতে এমন সতর্কতা যদি হয় তবে জনগনকে কেন পুলিশ বেআইনি ভাবে এভাবে নির্যাতন করবে? অথচ বিদেশে পুলিশ জনগনের বন্ধু। সেখানে জনগন বিপদে পড়ে পুলিশের সহযোগিতা চাইলে বন্ধুর মত তারা এগিয়ে আসে। তবে কি বাংলাদেশের পুলিশ জনগনকে শক্র মনে করছে। যদি করে থাকে কেন? নাকি ঝিকে মেরে বৌকে শিক্ষা দেবার মত – জনগনকে নির্যাতন করে অপজিশন কে
ভয় দেখানো। সরকার আর বিরোধী দল কেন বুঝেনা এতে জনগনের কোন লাভ তার করছে না । ভোগান্তি ছাড়া। আগে দেখেছি বিরোধী দল হরতাল করেছে। এখন আবার রাজনীতিতে সরকারী দলের হরতাল যুক্ত হলো। জনগন কি চায়? তা তাদের কাছে মূখ্য নয়। তার যা চায় তাই মুখ্য। এই অপরাজনীতি থেকে হে মহান আল্লাহ তুমি দেশ আর দেশের মানুষকে হেফাজত কর।