তার মৃত্যুতে পাহাড় হারিয়েছে সংস্কৃতির নিবেদিত প্রাণ আলোকবর্তিকা।
১৯৭১ সাল ২৫ শে মার্চের রাত। আমার বাবা তখন পরিবাগের এক মেছে থাকতেন। বাবা রাতের খাবার খেয়ে তার বন্ধুদের নিয়ে টুয়ান্টি নাইন খেলছেন। হঠাত গোলাগুলির শব্দ শুরু হল।
বৃষ্টির মত। সবাই বাতি নিভিয়ে ঘর অন্ধকার করে খাটের তলাতে আশ্রয় নেয়। সারারাত গুলি চলে। ক্লউ খাটের তলা থেকে বের হয়নি এর মদ্যে। সকালে বাবা দেখেন রাস্তায় লাশ আর লাশ। কুকুর থেকে ভিক্ষুক সবাই শিকার হয়েছে পাক হানাদার বাহিনির বর্বরতার। খবর আসতে লাগলো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইকবাল অনেক হামলা হয়েছে। মারা গেছে অনেক মানুষ। এভাবে আরো মারা গেছে অনেক এলাকায় অনেক মানুষ কবি, সাহিত্যিক,রাজনিতিবিদ,অধ্যাপক, সাংবাদিক আরো অনেক পেশার মানুষ।
সেই রক্ত বৃথা যায়নি। লাখ শহীদ আর গাজীর ত্যাগ আর রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন বাঙলাদেশের জম্ম হল।