বুকের রক্তে লিখল`বাংলাদেশ’ অসীম সাহসী ‌সেই ৮ জন…

বাদশা মিন্টু
Published : 5 August 2012, 09:09 AM
Updated : 5 August 2012, 09:09 AM

আগস্ট মাস। ১৯৭১ সাল। দেশকে হানাদারদের কবল থেকে মুক্তির জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে বীর বাঙালি। প্রতিরোধ আর লড়াই শুরু হয়েছে। তৈরি হয়েছে মুক্তিবাহিনী, হানাদারদের ত্রাস।
সেদিন ছিল ৫ আগস্ট। স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাজধানী মুজিবনগর অঞ্চল। ৮ বীরযোদ্ধা হানাদারদের সঙ্গে সম্মুখযুদ্ধে। মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান গ্রামের মাঠে পাকি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের এই সম্মুখযুদ্ধ হয়। মারা যায় বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি সেনা। কিন্তু পাকিস্তানি সেনার সংখ্যা বেশি হওয়ায় মুক্তিযোদ্ধাদের ঘিরে ফেলায় পেছনে হটার কোনো সুযোগ পাননি তারা। তারা পেছনে ফিরতেও চাননি। অসীম সাহস নিয়ে শুধু দেশের ভালবাসার টানে একসঙ্গে শহীদ হন ৮ মুক্তিযোদ্ধা, বন্ধু। হাসতে হাসতে দেশের জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন তারা, তারা দেশকে শত্রমুক্ত করার যে স্বপন দেখিয়েছিলেন যে দুর্বার প্রতিরোধ আর আক্রমণ করেছিলেন তাতে এ অঞ্চল থেকে দ্রুত শত্রুরা সরে যায়। তবে আমরা ১৯৭১ সালের এই দিনে চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর জেলার ৮ মুক্তিযোদ্ধাকে হারায়।

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামে রয়েছে এ ৮ শহীদের স্মৃতিসৌধ।

শহীদ মুক্তিযোদ্ধারা হলেন- চুয়াডাঙ্গার মোমিনপুর গ্রামের সিদ্দিক আহমেদের ছেলে রবিউল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা শহরের মাঝেরপাড়ার বজলুর রহমানের ছেলে আবুল কাশেম, চুয়াডাঙ্গা শহরের শেখপাড়ার মহিউদ্দিন আহমেদের ছেলে আলাউল ইসলাম খোকন, আলমডাঙ্গার রোয়াকুলি গ্রামের মৃত রহিম মণ্ডলের ছেলে কিয়ামুদ্দিন, আলমডাঙ্গার গোকুলখালী গ্রামের ইয়াকুব হোসেনের ছেলে হাসান জামান, আলমডাঙ্গার বটিয়াপাড়া গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে রওশন আলম, মেহেরপুর জেলার মুজিবনগর উপজেলার কোমরপুর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে আফাজ উদ্দিন ও কুষ্টিয়া জেলার মীরপুর উপজেলার কাটদহ গ্রামের মহিউদ্দিন আহমেদের ছেলে খালেদ সাইফুদ্দিন আহমেদ তারিক।

৮ শহীদদের মধ্যে একমাত্র তারিককে দেওয়া হয় বীরবিক্রম খেতাব। এ ৮ শহীদের লাশ বর্বর পাকি হানাদার বাহিনী চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার জগন্নাথপুর মাঠে এনে দুটি গর্তে মাটি চাপা দেয়।

অসীম সাহসী এ আট মুক্তিযোদ্ধার অবদান আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি।