একজন রাষ্ট্রপতি সমগ্র জাতির ঐক্যবদ্ধতার প্রতীক এবং রাষ্ট্রের অভিভাবক। তিনি যা ভাবেন, করেন ও বলেন সংগত কারনেই তার সমালোচনা করা সচরাচর গ্রহনযোগ্য প্রথা নয়। তবে কখনো যদি তিনি এমন বক্তব্য প্রদান বা আচরন করেন, যা তাঁকে ঐক্যবদ্ধ জাতির প্রতীক ভাবনা বাধাগ্রস্থ হয়, তবে তা ভারী দুঃখের। কারন এমন পরিস্থিতিতে আর আমাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা থাকেনা, এক অসহায়ত্ব আমাদের গ্রাস করে।
অতিসম্প্রতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এলমনাইদের পুনর্মিলনী উৎসবে খানিকটা প্রক্ষিপ্তভাবে তিনি ১৯৫২ এর একুশে ফেব্রুয়ারি (আরো সুনির্দিষ্ট করে বললে ২০ ফেব্রুয়ারী ১৯৫২'র রাতের সিদ্ধান্ত) নিয়ে নিম্নোক্ত দুটি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক তথ্য প্রদান করেছেন।
১। মওলানা ভাসানী ১৯৫২ এর একুশে ফেব্রুয়ারী হরতাল আহ্বানের বিরোধিতা করেছিলেন এবং
২। শেখ মুজিবের নির্দেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা ২১ ফেব্রুয়ারী হরতাল পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন।
উপরোক্ত বক্তব্য ও ঐতিহাসিক তথ্য নিয়ে আমি এ মুহূর্তে কোন মন্তব্যও করছিনা, কোন তথসুত্রও দিচ্ছিনা। আমি দেখতে আগ্রহী যে আমাদের শ্রদ্ধেয়রা ব্লগারেরা রাষ্ট্রপতির ইতিহাস বর্ণনাকে কিভাবে বিশ্লেষণ করেন।
সবাইকে ধন্যবাদ।