খালেদা জিয়া পাকিস্তানের গুপ্তচর: মাহবুবুল আলম হানিফ

হৃদয়ে বাংলাদেশ
Published : 25 Dec 2012, 07:20 AM
Updated : 25 Dec 2012, 07:20 AM

কী সর্বনেশে কথা। আতঙ্কে পেটের ভাত চাল হয়ে যায়! দেশের বৃহত্তম গনতান্ত্রিক দলের যুগ্ম মহাসচিব, প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদ মাহবুবুল আলম হানিফ দলের একজন নীতিনির্ধারক হয়ে যখন প্রকাশ্য বক্তব্যে জাতিকে অবগত করার জন্য এই অভিযোগ তুলেছেন (সুত্র: এখানে) তখন অবশ্যই এর সত্যতা আছে। তিনিতো আর সিকি-দুয়ানী নেতা নন! এই অভিযোগ তো খুবই ভয়াবহ, মাগো! আমি ভাবতেই পারিনা যে একটি শত্রুদেশের গুপ্তচর আধাখেচড়া হলেও একটি রাজনৈতিক দলের প্রধানের পদ আঁকড়ে ধরে আছে। ঠিক আছে, হানিফ ভাইয়ের দাবীমতো তার মাত্তর এইট পর্যন্ত বিদ্যা না হয় মাফ করে দিলাম (মওলানা ভাসানী তো অদ্দুরও পড়ালেখা করেন নি) কিন্তু তা' বলে বিদেশী রাষ্ট্রের গুপ্তচর হওয়া তো কোনভাবেই মাফ করতে পারিনা! গত চারটি বছর ধরে এই পাকিস্তানী গুপ্তচর দেশে বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছে, দেশের ভেতর ইধার-উধার মিটিং-মিছিলে বক্তিমা দিয়ে বেড়াচ্ছে! আমাদের মধ্যে যারা বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের পাকিস্তান সফরের বিরোধী তারা কি শুনছেন যে আমাদের সোনার ছেলেদের বিপদ শুধু পাকিস্তানে গেলেই হবে তা' নয়, দেশেও হতে পারে!!

আমাদের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বেডরুম পাহারার কাজ করতে পারবেন না, ঠিক আছে। কিন্তু এই যে বিদেশী রাষ্ট্রের গুপ্তচর এরকম মুক্ত হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে, বক্তিমা দিচ্ছে আর আমাদেরকে উপর থেকে নীচ পর্যন্ত চোর ডেকে বেড়াচ্ছে (ইহ্‌, নিজের ছেলেরাতো মহাচোর) হানিফ ভাইয়ের এই অভিযোগের পরেও সে কি করে মুক্ত থাকে? আমার কি সন্দেহ হয় শুনবেন? আমাদের এখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তো একসময় অমুক্তিযোদ্ধা (এবং পাকিস্তানের এজেন্ট – ফুফুআম্মা বলেছেন) জিয়া কে জিপে চড়িয়ে নিজেই ড্রাইভ করে ঐ খালকাটা এবং উলসী প্রকল্পে ঘুরে বেড়িয়েছেন। হতে পারে মহামান্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাহাদুর অত্যুচ্চ বংশজাত, কৃতবিদ্য আমলা এবং ফার্মার্স ব্যাঙ্কের মালিক, কিন্তু ওই জিয়ার সাথে মহামান্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তখনকার ঘষাঘষির আর চা-বিস্কুট খাওয়ানোর সুযোগই খালেদা নিচ্ছে কি না কে জানে? এখনতো মনে হয়, সাপে কেটেছে মাথায়, তাগা বাঁধি কই? হায় হায় গো!

না না হানিফ ভাই যে অতো গনতান্ত্রিক হতে যেয়ে অতো নম্র হয়ে খালেদাকে স্রেফ নাকে খত দিয়ে মাফ চেয়ে ছেড়ে দিতে চাইছেন তা তো মোটেও ঠিক না। হতে পারে হানিফ ভাইয়ের দয়ার্দ্র হৃদয় একজন প্রবীনাকে এরচেয়ে বেশী শ্রম দিতে চান না, কিন্তু আমরাতো আর এতে সন্তুষ্ট হতে পারিনা! আমরা অতিদ্রুত বিচারিক আইন, সংবিধান এবং প্রধানমন্ত্রীর মর্জি অনুযায়ী এই পাকিস্তানি গুপ্তচরের যথাযোগ্য বিচার ও শাস্তি চাই! কোন খাতির নাই, হুঁ!!
এর আগেও আমাদের জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী একই অভিযোগ করলে পরে এই অধম একটি পোস্ট (কারো কারো বানানে পুস্ট) দিয়েছিলো কিন্তু কেউ গা করেনি। এখন হানিফ ভাইয়ের অভিযোগের পরে যদি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর খানিকটা হেল-দোল হয়। যত দ্রুত তা' হবে, ততোই মঙ্গল, ঠিক না?