হত্যা-গাড়ি ভাংচুর এবং অরাজকতায় প্ররোচিত করার দায়ে ফখরুল-রিজভী-খালেদার বিচার চাই

বাংগাল
Published : 8 Jan 2015, 01:50 PM
Updated : 8 Jan 2015, 01:50 PM

ঘোষনা দিয়ে দেশে অশান্তি, হানাহানি, খুন, সাধারণের সম্পদ ধ্বংশ করার লাইসেন্স পেয়েছে খালেদা, ফখরুল, রিজভি গং। কেউ ওদের বিরত করতে পারছেনা। কত দিন এভাবে চলবে? ফখরুলের গাড়িটা কে ভাঙ্গতে পারবে? খালেদার গাড়িটাকে কে পেট্রোল দিয়ে রাস্তায় পুড়িয়ে দিতে পারবে? কে পারবে? কবে? এছাড়া ওদের আর কিভাবে থামাবেন? বলুন কেউ?

গত কয়েক দিন ধরে আমরা ঢাকাবাসি এবং সারা দেশবাসি সন্ত্রস্ত অবস্থায় দিন কাটচ্ছি । রাস্তা টোকাই এবং হামলাকারিদের দখলে । গাড়ি ভাংচুরের উৎসবে মেতেছে হায়েনার দল। গাড়িগুলো কার? সব গাড়ি নিশ্চয়ই আওয়ামী লীগারদের নয়। সব গাড়ি নিশ্চয়ই সরকারের নয় যে, গাড়িগুলো ভেঙে সরকারকে ভয় দেখানো হচ্ছে। এই গাড়িগুলো নিশ্চয়ই ফখরুল-খালেদাদের নয়। গাড়িগুলো নিশ্চয়ই গোলাম আযম বা তার স্যাঙাতদের নয় । খালেদা-ফখরুলরা এত কম দামি গাড়িতে চড়েনো না। ওনাদের আয়ের সঙ্গে অত দামি গাড়িতে চড়া সঙ্গতিপূর্ণ কিনা তা অবশ্য ভিন্ন প্রশ্ন।

হঠাৎ ডিসেম্বর মাসে খালেদা-ফখরুল মাথা এত গরম হয়ে উঠল কেন? দেশবাসীর প্রশ্ন । হঠাৎ অবরোধের কী প্রয়োজন হয়ে পড়ল? অবরোধের আগে ফখরুল দেশবাসীকে হুমকি দিয়ে বললেন, গাড়ি বের করবেন না । অবরোধ যদি জনগণের অধিকার আদায়ের মাধ্যম হতো, তাহলে জনগণকে ফখরুলের ভয় দেখানো কেন? গাড়ি রাস্তায় বের না হলে অনেক পরিবারের সংসার খরচের টাকা যোগাড় হয়না। সবাই তো আর খালেদা জিয়ার পুত্রদের মত সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্ম নেয়নি । লেখাপড়া নেই, চাকুরি নেই , প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ি নয়,কিন্তু অফুরন্ত ধনরাশি! ফখরুলের মত ধনী মাস্টার মশাইও নয় যে, মন্ত্রী হবার খায়েশে সারাদিন খালেদা জিয়া আর তার পুত্রদের ভবিষ্যত নিয়ে গবেষণায় দিন গুজরান করলেও তার ঘরে জৌলুসের কমতি নেই ।

মি: ফখরুল, আপনি মন্ত্রী হবেন, আপনার নেত্রী প্রধান মন্ত্রী হবেন, আপনার নেত্রীর পুত্র প্রেসিডেন্ট হবেন। খুব উত্তম চিন্তা । কিন্তু রাস্তায় অতশত গাড়ি ভাঙ্গানোর নির্দেশ দিয়ে টোকাই বাহিনী দিয়ে যে গাড়িগুলো ভাঙছেন এগুলো কি আপনার বাপের টাকায় কেনা? যে টোকাইদের দিয়ে গাড়ি গুলো ভাঙ্গাচ্ছেন সেই টোকাইদের বাপের টাকায় কেনা এই গাড়িগুলো?

এমন অনেক বাস মালিক আছেন, এমন অনেক লেগুনা মালিক আছেন, এমন অনেক সিএনজি অটোরিকশার মালিক আছেন যাদের জীবন ধারনের ব্যবস্থা হয় এই একটি মাত্র গাড়ির আয় থেকে । পথে বসিয়ে দিচ্ছেন একেকটি পরিবারকে আপনি মি:ফখরুল আর আপনার নেত্রী । কারণ কী? একটাই, আপনার নেত্রী এবং তার মানসিক শারীরিক সক্ষমতাহীন কুপুত্রদের রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসিন করবেন, এইতো?

মি: ফখরুল সরকারের অপশাসনের প্রতিবাদে আপনার নিজের গাড়িটি রাস্তায় এনে পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দুনিয়াকে দেখান, প্রয়োজনে নিজের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন দিয়ে প্রতিবাদ জানান। তবু শত শত পরিবারের একমাত্র আয়ের উৎস একেকটি গাড়িতে আগুন দিয়ে সংসারগুলোকে পথে বসাবেন না।

আরেকটি কথা, আপনারা ক্ষমতায় যাবার সিঁড়ি প্রস্তুত করার জন্য এই গরীব মানুষগুলোর গাড়ি না পুড়িয়ে যাদের বিশ-ত্রিশ বা পঞ্চাশটা বাস আছে তাদের একটা বাসে আগুন দিয়ে দেখুন তো আপনার পায়ের নিচে মাটি থাকে কিনা ।

মি: ফখরুলকে পুলিশ আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করেছেন । এখন এটা দেশবাসীর দাবি আপনাকে রিমান্ডে নিয়ে উপযুক্ত চিকিৎসা দেওয়া হোক । যত গাড়ি আপনার নির্দেশে এ কয়দিনে আগুন দিয়ে পোড়া হয়েছে, সব গাড়ির মালিক এবং তাদের পরিবার-পরিজনের সামনে আপনাকে হাজির করা হোক। আপনি দেখুন, ওদের মুখ থেকে শুনুন কী অপূরণীয় ক্ষতি আপনার নির্দেশে টোকাইগুলো করেছে ।

এভাবে চলতে থাকলে দেখবেন সামনে এমন দিন আসবে, আপনাদের নেতাদের গাড়ি ভেঙে চুরমার করে দেওয়ার জন্য এই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো লাঠি নিয়ে আপনার এবং আপনাদের গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে যাবে । সাবধান হয়ে যান, এখনো সময় আছে ।

পরিশেষে, জনগণের গাড়ি ধ্বংস করার অপরাধে আপনার রিমান্ড মঞ্জুর হবে। আদালতে মামলা হবে, দ্রুত বিচার আইনে আপনার সাজা হবে এটা আমাদের সকলের দাবি । রাজনৈতিক দলের নেতারা এ থেকে শিক্ষা নিবে। এমন কী আওয়ামী লীগের নেতারাও ভবিষ্যতে গরীব গাড়ি- মালিকদের গাড়িতে আগুন দিয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার সোপান তৈরি থেকে বিরত হবে । তবে শুরুটা হোক আপনাকে সাজা দেওয়ার মধ্য দিয়েই ।

ভবিষ্যতে যে দলের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জনগণের জানমালের ক্ষতি হবে, সে দলের মহাসচিবকে দায়ী করে আইনের আওতায় আনার আইন করতে হবে, আমরা এই দুর্বৃত্ত রাজনৈতিক নেতাদের শাস্তি চাই ।

"লাথি মার ভাঙ্গরে তালা " —– হা হা হা , প্রেস ক্লাবে এসে কবিত্ব জাহির! এবার কাশিমপুর কারাগারের ফটকের তালায় সকাল-বিকাল লাথি মারেন। দেখেন তালা ভাঙ্গা যায় কিনা! ওহ ভালো কথা ……. তালার কথায় মনে পরে গেল, আপনাদের মধ্য-রাত্রিকালীন কার্যালয়ের তালা খুলে দেওয়া হয়েছে!

সম্পাদনা / ০৭- ০১- ২০১৫