অভিনন্দন জানাই টিউলিপ সিদ্দিক আপনাকে । কিছুক্ষন আগেই জানা গেলো আপনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন । আপনি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানার সুযোগ্য কন্যা, আপনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাতনি, সর্বোপরি আপনি বাংলাদেশ সরকারের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রি শেখ হাসিনার ভাগ্নি । আর কী পরিচয় আপনার আছে? আছে আরেকটি পরিচয়, সবার আগে আপনি একজন বাংলাদেশি । এজন্যই আজ বাংলাদেশ গর্বিত । বাংলাদেশ আজকে গর্বিত , রুপা হকের জন্য, বাংলাদেশ আজ গর্বিত রুশনারা আলির জন্য । আপনারা সবাই নিজ নিজ যোগ্যতায় আজ ব্রিটিশ রাজনীতিতে আপনাদের সম্মানিত আসন পাকা পোক্ত করে নিয়েছেন ।
অন্যদের থেকে টিউলিপ সিদ্দিক এর আলাদা পটভূমি অনস্বীকার্য। টিউলিপ সিদ্দিক এর নানা বঙ্গবন্ধুকে তাঁর সম্পূর্ণ পরিবার সহ ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ হত্যা করেছিলো খুনি পিশাচের দল, যাদের মধ্যে গর্ভবতী নারী এবং ১১ বছরের শিশুও নিহতদের তালিকায় ছিল। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে খুন করার পর খুনির দল অপপ্রচারে মেতে ছিল, বঙ্গবন্ধু পরিবারের নাকি কোটি কোটি পাউন্ড লন্ডন – সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে জমা আছে। অপপ্রচারের নায়ক ছিল আজকের খালেদার স্বামী জিয়া, আজকের তারেকের বাবা জিয়া। কিন্তু ৪৫ বছরেও বঙ্গবন্ধু পরিবারের একটি কালো টাকা কোথায়ও খুজে পাওয়া গেল না। সেই তথাকথিত লক্ষ লক্ষ পাউন্ডের মালিকের কন্যা শেখ রেহানা যিনি আজকের টিউলিপের গর্বিত মা, তিনি সামান্য বেতনে লন্ডনে চাকুরী করে জীবিকা নির্বাহ করেছিলেন সেই দুঃসময়ে ।
আজকে আমাদের দেশের সাবেক রাজপুত্র, জিয়া পুত্র তথা খালেদা পুত্র দুর্নীতিতে আকন্ঠ নিমজ্জিত, গ্রেনেড হামলা করে খুনের মামলার আসামি তারেক বাংলাদেশের নাকে চুন কালি মেখে ইন্টারপোলের তালিকায় ফেরারি আসামি হয়ে এই লন্ডনেই লুকিয়ে আছে । নিয়তির পরিহাস, একই দেশের দুই তরুণ, লন্ডনের মাটিতে একজন পলাতক ফেরারি, আরেক জন ব্রিটিশ পারলামেন্টের এমপি।
ভেন্না গাছে কলা ধরেনা, এটা প্রমান করতে চশমা লাগেনা। তবে নির্লজ্জের মত আমরা কতিপয় এখনও ভেন্না গাছ দিয়ে কাঠ চিড়াই করে পালঙ্ক বানিয়ে ঘুমাবার স্বপ্নে বিভোর হয়ে শতনাগরিক নাম ধারন করে ভেউ ভেউ করে বেড়াই। কবে আমরা ভেন্না গাছ আর টিক চন্দন গাছের মধ্যে পার্থক্য করতে পারবো?
কবে বুঝতে পারবো আগরতলা আর উগুরতলা এক নয়?
নীলকণ্ঠ জয় বলেছেনঃ
অভিনন্দন টিউলিপ সিদ্দিকী।
বাংগাল বলেছেনঃ
প্রিয় ব্লগার নীলকণ্ঠ জয় , আমরা এখন ধীরে হলেও আশায় বুক বাঁধবো , এদেশের রাজনীতি থেকে “ফায়ার ব্লোয়ার ড্রাগন” প্রজাতিটির বিলুপ্তি সময়ের অপেক্ষা মাত্র । ধন্যবাদ আপনাকে ।
সুকান্ত কুমার সাহা বলেছেনঃ
একদিনে দুই দুইটা এটম বোমা কি সহ্য করা যায়? এই ছিল ওদের মনে!
১) ভারতের সাথে স্থল সীমান্ত চুক্তি ফাইনাল।
২) বঙ্গবন্ধুর নাতনী বিলাতের এমপি নির্বাচিত।
—- কেউ ওদের ধর; দেশে-বিলাতে দুই জায়গায়ই ঠাস কইরা পইড়া যাইতে পারে!
বাংগাল বলেছেনঃ
ধরার চিন্তা যারা করছে , সেই ইন্টারপোল ওকে ধরার জন্য জাল বুনার অর্ডার প্লেস করেছে । আমরা একটু “জিরাইয়া লই ” ।
নুরুন্নাহার শিরীন বলেছেনঃ
সত্যিই অামরা গর্বিত অাজ। অভিনন্দন টিউলিপ সিদ্দিকী।
জিয়াপুত্ররে কি বলিব অামরা অার ! ত্যানার জন্য বৃটিশ অাইন যথেষ্ট। বুঝুক এবারে কত ধানে কত চাল ! 🙂 😀
বাংগাল বলেছেনঃ
শিরীন আপু , ব্লগার কবি সুকান্ত কুমার সাহার ভাষায় বলতে হয় , ঐ ফেরারি ছেলেটার জন্য কস্ট হয় , ব্যাথা !! এতিম ভাতা খাইয়ে ছেলেটাকে লাটে তুলেছে ওর ফায়ার ব্লোয়ার ড্রাগন রুপী মাতা । সব আল্লাহ্র বিধান।
ধন্যবাদ আপু , ভালো থাকুন ।