“আলোয় হৃদয় পূর্ণ করে আঁধার করো জয়,
সেই আলোতে বিশ্বজুড়ে অশুভ করো ক্ষয়।”
হ্যাঁ, আলোর কথা বলছি। চাই বেশি বেশি আলো, চাই বাঁধ ভাঙা আলো। আলোকিত জীবনের জন্য চাই আলো। আঁধারে নিমজ্জিত ব্যক্তি আর একজন অন্ধের মধ্যে কার্যত কোন পার্থক্য নেই। তাদের দুজনের কাছে সবকিছুই কালো। তাই আলোই সব। পৃথিবীর সব শক্তির উৎসও আলো। তাই হৃদয়কে পূর্ণ করুন আলো দিয়ে। সবকিছু জয় করার শক্তি পাবেন সেখান থেকেই। আলোকিত মানুষদের সংস্পর্শে আসুন, আলোকিত মানুষদের কথা শুনুন। সেখানেও পাবেন অফুরন্ত আলো।
ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দ্বিতীয় পর্বে ছিলো নাগরিক সাংবাদিক কর্মশালা। মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনেছিলাম এক ঘন্টাব্যাপী এক আলোকিত মানুষের আলোকিত বাণী। তিনি বক্তব্য শুরু করেছিলেন আলোর আহ্বান দিয়ে এবং বক্তব্য শেষও করেছিলেন আলোর আহ্বানে। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি সব আলো জ্বালিয়ে দিতে বলেছিলেন। তিনি বললেন, কিভাবে সৃষ্টিকর্তা কথা বলেন।
তিনি হলেন শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। অদম্য কিছু মানুষ আছে, কিছু আলোকিত মানুষ আছে, যাদের কথা শুনলে মনের মধ্যে নতুন করে উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়, নতুন করে কিছু করার অনুপ্রেরণা জন্ম হয়। শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস সে রকমই একজন মানুষ। তাঁর জন্য অনেক শুভকামনা। আর ব্লগ ডট বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম কে ধন্যবাদ জানাই তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এরকম একটা কর্মশালা আয়োজন করার জন্য।
তার একঘন্টার বক্তৃতায় তিনি অত্যন্ত সুন্দরভাবে মূলধারার সাংবাদিকতা এবং নাগরিক সাংবাদিকতার মধ্যকার পার্থক্যগুলো তুলে ধরলেন। মূলধারার সাংবাদিক অথবা নাগরিক সাংবাদিক, উভয়ের জন্যই তার প্রতিটি কথা ছিলো অত্যন্ত শিক্ষণীয়। তিনি বলেন, মূলধারার সাংবাদিকতার অনেক সীমাবদ্ধতা থাকলেও নাগরিক সাংবাদিকতার সম্ভবনা অফুরন্ত। একজন নাগরিক সাংবাদিক তার আশেপাশের সকলের নিকট থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে পারে। আবার নাগরিক সাংবাদিকতার ক্ষতিকর দিকটি নিয়েও তিনি বললেন। একজন নাগরিক সাংবাদিকের স্বাধীনতা অনেক। আর এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দ্বায়িত্ববোধহীন স্বাধীনতার কোন মূল্য নেই, ঠিক যেমন মূল্য নেই নিয়ন্ত্রণহীন গতির।’
কাজেই তাঁর কথার সূত্র ধরেই বলা যায়, একজন নাগরিক সাংবাদিককে তার হৃদয়-মন পূর্ণ করতে হবে আলো দিয়ে। আর সেই আলোয় সে নিজে যেমন উদ্ভাসিত হবে তেমনি সে আলোকিত করবে সকলকে। আর সে আলোর ছটা ছড়িয়ে পড়বে তার লেখনীতে।
শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস স্যারের একটি কথা দিয়ে শেষ করছি-
“জানালা খোলা রাখতে হবে। তাতে কিছু ধূলোবালি হয়তো আসবে, কিন্তু সবচাইতে বেশি যেটা আসবে তা হচ্ছে আলো। তাই জানালা খোলা রাখতেই হবে।”
নিতাই বাবু বলেছেনঃ
সম্মানিত মনিরুল দাদার আলো সম্বন্ধীয় নিবন্ধ-খানা পড়ে খুবই ভালো লাগলো দাদা।
আলো একধরণের শক্তি বা বাহ্যিক কারণ: যা চোখে প্রবেশ করে দর্শনের অনুভূতি জন্মায়।
আলো যে-কোনো বস্তুকে দৃর্শমান করে, কিন্তু এটি নিজে অদৃশ্য।
আমরা আলোকে দেখতে পাই না, কিন্তু আলোকিত বস্তুকে ঠিকই দেখতে পাই।
মানুষের জীবনেও আলো- আঁধারে বিস্তৃত।
কারো কিছু অর্জনে আলোকিত হয় নিজের জীবন, আলোকিত হয় সমাজ।
আবার কারোর অসৎ কর্মের কারণে নিজের জীবন হয়ে পড়ে অন্ধকারময়, তার অসৎ কর্মের ফল ভোগ করতে হয় সমাজের আরও দশজনের, সমাজে নেমে আসে আঁধার ।
ধন্যদাদ দাদা ভালো থাকবেন আশা করি।
খন্দকার মনিরুল ইসলাম বলেছেনঃ
নিতাই দা, আলো নিয়ে আপনার বিশ্লেষণটা কিন্তু বৈজ্ঞানিক। পদার্থ বিজ্ঞানও যে আপনি ভালো জানেন বোঝা গেলো। ধন্যবাদ দাদা। ভালো থাকবেন।
কাজী শহীদ শওকত বলেছেনঃ
দামি কথা।
খন্দকার মনিরুল ইসলাম বলেছেনঃ
হ্যা শওকত ভাই আসলেও কথাগুলো অনেক দামী। আসলে আলোকিত মানুষদের নিকটে গেলে অনেক দামী দামী কথা শেখা যায়।
নুর ইসলাম রফিক বলেছেনঃ
প্রিয় মনির ভাই নিশ্চই ভাল আছেন?
ভাল থাকাটাই শ্রেয়।
শ্রদ্ধেয় রোবায়েত ফেরদৌস স্যারের ১ঘন্টার বক্তব্য উজ্জিবিত করেছে তখনকার উপস্থিত সকলকে নতুন ভাবে। তিনি আলোয় ভরিয়ে দিয়েছেন প্রতিটি হৃদয়।
মাত্র ১ঘন্টায় যে একজন মানুষ অন্তরে প্রিয় হিসেবে ঠাই নিতে পারে আমি সেদিন বোজলাম। কারন স্যার যে আমার প্রিয় লিষ্টের গুরুত্বপূর্ণ একজন হিসেবে নিজেকে অন্তর্গত করে বিয়েছেন নিজেকে।
ওয়ার্কসপ শেষ হয়ার পরে মনে হয়েছিল মাত্র এক ঘন্টা নয় হাজার হাজার ঘন্টা স্যারের বজ্ঞব্য শুনতেও পারতাম নাওয়া খাওয়া ভুলে।
জানিনা স্যারের এতো এতো আলো বিলানো থেকে কতোটুকু আলো আহরণ করতে পারলাম। তবে যে টুকু পেরেছি ইনশাআল্লাহ সবটুকু উজাড় করে বিলিয়ে দেব প্রিয় এই প্লাটফর্ম -এ।
খন্দকার মনিরুল ইসলাম বলেছেনঃ
রফিক ভাই, আপনি কেমন আছেন, সেদিন শেষ পর্যন্ত আপনার সাথেই ছিলাম। একদম ঠিক বলেছেন,
“ওয়ার্কসপ শেষ হবার পরে মনে হয়েছিল মাত্র এক ঘন্টা নয় হাজার হাজার ঘন্টা স্যারের বক্তব্য শুনতে পারতাম নাওয়া খাওয়া ভুলে।” – আপনার এই অনুভূতিটা আমারও। ভালো থাকবেন রফিক ভাই। দেখা হবে।