তিন যুদ্ধাপরাধীর জামিন প্রত্যাশিত নয়, তবে চিকিৎসা হতে পারে

বাসন্ত বিষুব
Published : 24 March 2011, 06:28 PM
Updated : 24 March 2011, 06:28 PM

একটি অশুভ-নরঘাতক চক্র। শীর্ষে আছেন ৪ জন। নিজামী, মুজাহিদ ও সাইদি। ১ জন এখনো মুক্ত। তিনি গোলাম আজম। আটক ঘাতক ত্রয়ীকে ফারুক হত্যা মামলার জামিন ইস্যুতে হাইকোর্ট দ্বিধাবিভক্ত রায় দিয়েছে। একজন বিচারপতি জামিন দিয়েছেন, অপরজন জামিন অস্বীকার করেছেন। ঘটনা এখন তিন নম্বর কোর্টে। একটি বিশেষ প্রাণির তিন নম্বর শাবক নিয়ে নানা কথা আছে। দেখা যাক তিন নম্বর এজলাস কার মত আচরন করে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী লাখ লাখ মানুষ যখন মুক্তির স্বাদ পেতে অস্ত্র হাতে পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে জল-স্থল-আসমানে অসীম সাহসিকতার সাথে লড়াই করেছে ঠিক তখনই ঘাতক হিসেবে আবির্ভুত হয়েছিল এদেশেরই কিছু কুলাঙ্গার। রাজাকার, আলবদর, আল শামস নামে মূল ঘাতক পাক সেনাবাহিনীকে সহায়তার জন্য ঘরের এই শত্রুরা আবির্ভুত হয়েছিল আজরাইলের, নমরুদ কিংবা ফেরাউনের চেয়েও বীভৎসতা নিয়ে। হিটলার, পলপট- এর পর খুব অনায়াসেই চলে আসে সেই ঘাতক চক্রের কেন্দ্র ব্যক্তি গোলাম আজম ও তার সহযোগি নিজামী-মুজাহিদের নাম। আজ সেই তিন অশুভ ব্যক্তি যখন ভিন্ন একটি মামলায় কারাগারে আটক রয়েছে তখন স্বভাবতই তাদের বাঁচাবার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে তাদের সহযোগি ও শিষ্যরা। যে কোন উপায়েই হোক, গুরুদের মুক্ত করাই তাদের লক্ষ্য। এরজন্য তারা নিজের জীবনও যেমন দিতে পারে, তেমনি কেড়ে নিতে পারে অন্য অনেকের জীবন। ঠিক যেভাবে কেড়ে নেয়া হয়েছিল ১৯৭১ এ। কিন্তু উদ্ভূত বাস্তবতায় হাইকোর্ট যখন দ্বিধাবিভক্ত রায় দিল তখন আবারো একটি শংকা সামনে এসে দাঁড়িয়েছে। মুক্ত হলে নিজেদের পাপ কাজকে ঢাকার জন্য এরা সর্বশক্তি নিয়োগ করবে এবং নিজেদের অশুভ বুদ্ধি দিয়ে নানাজনকে প্রভাবিত করার চেষ্টায় লিপ্ত হবে– যা বাধাগ্রস্ত করবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের প্রক্রিয়াকে ।

সুতরাং হাইকোর্টের বিচারপতিদের উচিত হবে, কোন প্রকার চাপের কাছে নতি স্বীকার না করে কিংবা তাদের মায়া কান্নায় বিভ্রান্ত না হয়ে তাদেরকে আগের মত আটক রাখার ব্যবস্থা করা। আর এটা করতে হবে জাতির বৃহত্তর স্বার্থে। তবে তাদের মধ্যে কেউ যদি প্রকৃতই অসুস্থ হয়ে থাকে তাহলে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে দেয়া যেতে পারে। চিকিৎসা পাবার অধিকার সব আটক ব্যক্তিরই আছে। তাছাড়া ন্যায় বিচারের সম্মুখীন করতে তাদের সুস্থ রাখাটাও জরুরী। সুতরাং তৃতীয় বিচারপতিকে বলবো, ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত প্রদান করে দেশ ও জাতির আকাঙ্ক্ষার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করুন। কারন একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে এ ভূমিকা পালন করা আপনাদের নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

—————————————-
সংবাদ সূত্র: বিডিনিউজ২৪.কম

——————————————————-
ফিচার কার্টুনঃ ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত