কোরান একটি ঐশী গ্রন্থ। ভাষ্যমতে, সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর কাছ থেকে অবতীর্ণ। লক্ষ্য, মানব জাতিকে কল্যাণের পথে পরিচালিত করা। এই কোরানে যেমন রয়েছে মুসলমানদের জন্য অবশ্য পালনীয় কিছু ইবাদত নীতিমালা ও প্রত্যক্ষ নির্দেশনা তেমনি রয়েছে নীতিকথা ও দিকনির্দেশনা। আল্লাহ এই গ্রন্থের একক লেখক হিসেবে স্পষ্টভাবেই বলেছেন, ইবাদতের যে নিদের্শ কিংবা বিধান তা খুবই সামান্য। আর বাকি সব তাঁর উপদেশ, ইতিহাস ও পথনির্দেশ। পুরো কোরান যারা পড়েছেন, আমার বিশ্বাস এ কথা বুঝতে তাদের বাকি নেই যে, শুধুমাত্র ইবাদতমূলক বিধানই নয় কোরানের মূল স্বার্থকতা লুকিয়ে আছে এর নীতি দর্শনের মধ্যে। এই দর্শন অন্য দর্শনের মতই জ্ঞান আর ভাবনা উদ্রেককারী। প্রতিনিয়ত মাদ্রাসা আর মসজিদে গমন করলেই কোরানের এই প্রাণ-অংশ দর্শনের ধারক কিংবা বাহক হওয়া যায়না। তা বুদ্ধি ও সততা দিয়ে আচড়নে সঞ্চালিত করতে হয়।
মুফতি ফজলুল হক আমিনী আগামীকাল হরতাল ডেকেছেন। ভাষ্যমতে, কোরান ও ইসলাম আজ ধ্বংসের পথে। লক্ষ্য, যে গ্রন্থ রক্ষা করা দায়িত্ব স্বয়ং আল্লাহ নিয়েছেন সেই কোরানকে রক্ষা করা। কোরান ও ইসলাম ধ্বংসের মুখে কারণ হাইকোর্ট ফতোয়া বিরোধী রায় দিয়েছেন। খুবই অন্যায় হয়েছে। কারণ যে কোন মূল্যে আমিনী সাহেবদের ফতোয়া দিতেই হবে। ফতোয়াই মুফতি সাহেবদের জীবীকা। ফতোয়া দিয়ে হেনার মত মেয়েদের পিঠের চামরা তুলে নিতেই হবে। রক্ত আর ক্ষত দেখতে তাদের বেশ মজা লাগে। কোরান ধ্বংসের মুখে কারণ সরকার নারীদের সুযোগ ও সম্মান বৃদ্ধির জন্য একটি নীতিমালা প্রস্তুত করছে। নারী নীতিমালা প্রণয়ন করা খুবই অন্যায় হয়েছে কারণ এতে আমিনী সাহেবদের সম্পদের ভাগ কমে যাবে। আর সম্পদ কমলে শুধু ধর্ম কেন আমিনীর মত পুরুষতন্ত্রের ধ্বজাধারীরা স্বয়ং আল্লাহকেও অস্বীকার করতে প্রস্তুত।
কোরানে নারীদের জন্য পিতৃ সম্পত্তিতে একটি অংশ নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু কোথাও বলা হয়নি এর চেয়ে বেশি দেয়া যাবে না বা দিলে তা অন্যায় হবে। কম দিলে না হয় একটি কথা ছিল কিন্তু বেশি দিলে দোষটা কোথায়? পুরুষতন্ত্রের কাছ থেকে নারীদের কিছু অধিকার আদায় করে দিয়েছে। কিন্তু এর মানে কি এই যে, চাইলেও কেউ এর বেশি কিছু নারীদের দিতে পারবেনা? বোধ করি তা নয়। তবে আমিনী সাহেবদের এত উষ্মা কেন!
আমাদের দেশে কোরান আর ইসলাম ধর্মকে এমনভাবে মানুষের মন ও মগজে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে যে তাকে আর কোন ধর্ম বলে মনে হয়না। মনে হয়, এ এক উর্বর রাজনৈতিক ক্ষেত্র। মানুষকে ধর্ম রক্ষার নাম করে নিয়ন্ত্রণ করাটাই যেন ইসলামের স্বার্থকতা। কার ডাকে কত মানুষ ইসলাম রক্ষার নামে মাঠে-পথে নামলো তার উপরই যেন তার ধার্মিক চরিত্র নির্ভর করে। তাই এইসব ধর্মব্যাবসায়ীদের সাথে কোন আপোষ নয় সরকারকে কঠোর অবস্থান নিয়ে এদের বিষ দাঁত ভেঙ্গে দিতে হবে।
——————————————————————-
ফিচার ছবি: হাসান রাজা (ছবিটি ফেসবুক থেকে সংগৃহিত)
সত্য সন্ধানী আমি বলেছেনঃ
হা হা হা আমার পোস্টটি সকাল থেকে পেন্ডিং করে রেখেছে।দু পক্ষেরই সমালোচনা করায়।আর একপেশে পোস্ট ফিচার পোস্ট হয়।জয় মডারেশন প্যানেল।
শুধু আমিনীর সমালোচনার একপেশে পোস্ট ফিচার পোস্ট করার প্রতিবাদ জানালাম।
নীলান্ত বলেছেনঃ
সব শালার’ বিএনপি,আওয়ামীলীগ, কমিউনিস্ট, জামাত হইয়া গেছে- মুসলমান আমরা শুধু উত্তরাধীকার সুত্রে। আমাদের নাম টুকুই জীবিত। আর কি বাকি আছে আমাদের??? প্রশ্ন থাকলো- মডারেশন প্যানেল, ফিচার পোস্টএর মহা পন্ডিত লেখক আর পাঠকদের প্রতি………
সত্য সন্ধানী আমি বলেছেনঃ
নীলান্ত আপনি কি এই পোস্টটি ফিচার পোস্ট হিসেবে সমর্থন করেছেন?
আমার শেষ পোস্টটি মডারেশন প্যানেল আটকে দিয়েছিল।এরপর এই পোস্টে কমেন্ট করে আবার পোস্ট দেওয়ার পর ছেড়েছে।কি আজিব কান্ড!!
নীলান্ত বলেছেনঃ
সত্য সন্ধানী – নারে ভাই আমি সমর্থন করি না।
নীলান্ত বলেছেনঃ
সত্য সন্ধানী – এই পোস্টটি ফিচার পোস্ট হিসেবে কি ভাবে প্রকাশ পায়???
মডারেশন প্যানেল ফালতু/ অন্ধ / নিরপেক্ষ নয়…. …… হয়তো কারো দালাল—- মুক্ত চিন্তার না…..
আপনার পোস্টটি পড়েছি… অনেক তথ্য সমালেচনা করার রসদ রয়েছে… ভাল লিখেছেন।
নীলান্ত বলেছেনঃ
কারো কাছে কি পৃর্ণাঙ্গ নারী নীতি টা আ্ছে??? বা বলতে পারবে কোথায় পাবো??
কিং অফ ইথিওপিয়া বলেছেনঃ
কোরানকে হৃদয় করার মতো উদারতা দেখাবার সাহস এখনো অনুসারীদের নেই ।
বাসন্ত বিষুব বলেছেনঃ
বাস্তবতা দেখে তাই মনে হয়। হৃদয় নয়, জিভ কোরানকে গ্রাস করে নিয়েছে। হাসি পায় যখন দেখি কর্মে-আচড়ণে-চিন্তায় কোরানের নির্দেশনার চিহ্ন মাত্র নেই এমন লোকয় কোরান রক্ষার সৈনিক হয়ে যায়।
তানজীব বলেছেনঃ
>>কোরআনে যেমন নারীদের জন্য একটি অংশ দেওয়া আছে তেমনি পুরুষদের জন্য ও একটি অংশ নির্ধারিত রয়েছে। আর সে অংশটা প্রত্যকের হক। আর আপনাকে একটা কথা বলি আপনার কোরআন বা কেউ কোরআনের কোন আদেশ পালন করল কি না তা নিয়ে মন্তব্য করার অধিকার আছে কিনা তা আরও ভালোভাবে ভেবে দেখবেন।
বাসন্ত বিষুব বলেছেনঃ
অসংগতি নিয়ে কথা বলার অধিকার সবারই আছে। আপনি যা মিন করেছেন তা এক প্রকার স্থুলতা।
Rafiq বলেছেনঃ
বাসন্ত সাহেব,
আইন এবং সেচ্ছায় দেওয়া , এর তফাৎ টা বুঝার আপনার নেই এটা আমরা বুঝতে পেরেছি। অসংগতি কি এবং এর মানে কি তা আপনী জানেন ?
যদি সব কিছুতেই আপনী সমান চান তবে এখন থেকে আপনারা ( তথাকথিত নারীর অধিকার বাস্তবায়ন কারীরা ) মহিলাদেরকে যে আল্লাহ তায়ালা সন্তান প্রসবের ক্ষমতা দিয়েছেন, সেইটা পূরূষদের মাঝে বন্ঠন করে দেখান তো ! পারবেন ??? হায়রে অধম “ঢাল নেই তলোয়ার নেই নিধিরাম সর্দার” ,,,,,,,,,,,,
আপনী Single / married তা আমার জানা নেই, তবে আপনার parents অবশ্যই অবগত আছেন । বাড়ী গিয়ে জিজ্ঞেস করুন ।
শাওকাত হাসান বলেছেনঃ
বাসন্ত বিষুব
আমার মনে হয় আপনার বর্ণিত কমজ্ঞানী ও লোকদেখানো ধর্মপরায়ন লোকদের সাথে আপনার যথেষ্ট মিল পাচ্ছি। সে জন্য আপনাকে অনুরোধ করবো আগে ইসলাম সম্পর্কে জানুন। ভাসা ভাসা জ্ঞান নিয়ে ইসলামের কোনো বিধির সমালোচনা করাটা আদেৌ ঠিক না। আপনার দুটি ফিচার পড়লাম মনে হয়েছে যে কোনো ভাবে ইসলামের বিরোধিতা করতে পারলেই আপনি মানসিক প্রশান্তি লাভ করেন। ইসলাম যারা মানেন তাদেরকে বড়দের সম্মান করতে শেখায়। সেজন্য আপনি মানব ধর্মের মূল বিষয়গুলো আগে চর্চা করুন তারপর লিখুন। আপনার কলম ভালো, একটু এলেমের অভাব। যে বিষয় নিয়ে আপনার সমালোচনার আগ্রহ সে বিষয়ের ভিতরে ভালোভাবে প্রবেশ না করলে আপনার ভালো কলম ভাসা ভাসা জ্ঞানের অধিকারীদের কাছে কিছু স্তুতি পাবে, আমরা অনেকেই আপনার সমালোচনা করতে আগ্রহ হারাবো।
নারী নীতির যারা বাস্তবায়ন চাচ্ছেন তাঁরা তাঁদের মধ্যে যাঁরা ইসলামের অনুসারী বলে দাবি করেন । তাঁরা নিচে বর্ণিত বিষয়গুলো বাস্তবায়ন করার পর নারী নীতি বাস্তবায়নে আন্তরিকতার প্রমাণ করুন ।
(১) আপনার মায়ের দেন- মোহরের টাকাটা আপনার বাবা পরিশোধ করেছেন কিনা!
(২)যদি করে থাকেন সেটা একান্তই তাঁর নিজের হেফাজতে আছে কি না?তিনি তা স্বাধীনভাবে বিনিয়োগ ও ব্যয় করতে পারেন কি না?
(৩)আপনি আপনার বোন, আপনার পিতা তাঁর বোন, এবং ফুপুকে ব্যাকডেটেড (!)ইসলাম যে প্রাপ্যটুকু নির্ধারণ করে দিয়েছে তা ন্যায্য ভাবে প্রদত্ত হয়েছে কি না!
(৪)আপনার বোনকে বিয়ে দেওয়ার সময় তার প্রাপ্য দেন-মোহর আদায় করে দিয়েছেন কি না।
এবং
নিজের বিয়ের সময় আপনার দেন-মোহর পরিশোধ করেছেন কি না এবং বর্ণিত সকলে তা স্বাধীনভাবে ব্যবহারের ক্ষমতা রাখেন কি না?
যাঁরা এ দাবীগুলো মিটিয়ে নীতি বাস্তবায়নের জন্য চেষ্টা করছেন তারা অবশ্য নারী নীতি বাস্তবায়নে আন্তরিক।কিন্তু যাঁরা এখনও অর্ধেক এবং সামান্যতম অংশ প্রদান বাস্তবায়নে সক্ষম হননি তারা দয়া করে প্রতারণা না করে সমাজে এগুলো বাস্তবায়ন করে আমিনীর মতো ব্যক্তিদের সমালোচনা করুন।
বাসন্ত বিষুব বলেছেনঃ
আমি নিজেকে জ্ঞানী কিংবা অন্যকে কম জ্ঞানী মনে করিনা। তবে কোরান এবং ইসলাম সম্পর্কে আমার যথেষ্ট ধারণা আছে। মতের সাথে না মিললেই ‘আপনি জানেন না’ এমন কথা বলা ঠিক নয়।
তবে আপনার দু একটি পরামর্শ বিবেচনায় রাখার চেষ্টা করবো।
Rafiq বলেছেনঃ
সহমত , শাওকাত ভাই ।
নুরুন্নাহার শিরীন বলেছেনঃ
যদ্দূর জানি ইসলাম উদার ধর্ম, সংকীর্ণ নয়, এবঙ হযরত মুহম্মদ (সাঃ) অনেক বড় সংস্কারক, ধর্মের রাজনীতির ধারক-বাহক তাহলে কারা? যারা অন্যায়-অন্যায্যভাবে ফতোয়া/ভুল ব্যাখ্যা দেয়/দিয়ে যাচ্ছেন — তারাই নিশ্চয়? আর নারী? হায় আল্লাহ তার পায়ের নীচে বেহেশত এর কথা কিতাবে থাকলেও দুনিয়াতে নেই !!!
বাসন্ত বিষুব বলেছেনঃ
সমাজে নারীর মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত না হলে কিতাবের মূল্য নেই।
Rafiq বলেছেনঃ
আপনাদের মতো বিষুবরা কোরআনের কিছু জ্ঞান আহরন করে ইসলামের ক্ষতি করার জন্য, মুসলমানদের হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য। দূরের আকাশকে অনেক নিচু তথা মানুষের চেয়েও ছোট মনে হয়, কিন্তু বাস্তবে কি তাই?
কাজেই নিজেকে যারা আকাশের চেয়ে বড় মনে করে, তারা কি নির্বোধ নয়?
বাসন্ত বিষুব বলেছেনঃ
তবে কী কোরানে এমন কিছু রয়েছে যা দিয়ে মুসলমানদের হেয় করা যায়?
যাই হোক আমার সে ইচ্ছা নেই। আমি সাধারণ মানুষ, অন্যকে হেয় করা আমার উদ্দেশ্য নয়।