
শোনা যায়, ইসলামের শেষ পয়গম্বর হযরত মোহাম্মদ [তাঁর উপর করুণাময়ের শান্তি বর্ষিত হোক] এর চুল গ্রীবাদেশ পর্যন্ত লম্বা ছিল এবং তিনি খুব কমই চিরুনী ব্যবহার করতেন। এটা শুধু শোনা কথাই নয়, পড়া কথাও বটে। পড়েছিলাম বিভিন্ন ইসলামী গ্রন্থ থেকেই। তবে বেশ আগে। আমাদের দেশে বহুকাল ধরেই একটি মনুষ্য শ্রেণি আছে যারা সাংস্কৃতিকভাবে বাউল নামে পরিচিত। লম্বা ঝাকড়া চুল, ঠিকানাহীন এলোমেলো জীবন। পার্থিব নয়, অপার্থিব নয়– তাদের একটিই উদ্দেশ্য– আত্মার প্রশান্তি। এই বাউলেরা শুধুই সংসার বিবাগী নয়, বাঙালি সংস্কৃতির সাথে এদের রয়েছে গভীর সম্পর্ক। বৃক্ষের সম্পর্ক যেমন মাটির সাথে। বাউলহীন বাঙলা– এ যেন কল্পনাই করা যায়না।
আমাদের দেশে আরো একটি শ্রেণী এবং সেই শ্রেণীর কিছু মেকি উপশ্রেণী রয়েছে যারা এই বাঙলা, এই সংস্কৃতিকে ঘৃণা করে। বৈশাখের উৎসব দেখলে তাদের অন্তরটা কৃষ্ণবর্ণ ধারণ করে। এদের পরিচয় এরা প্রতিক্রিয়াশীল শ্রেণি। এরা শিকড়কে অস্বীকার করে, সংস্কৃতিকে অস্বীকার করে। এদের শাস্ত্র আছে, মুখে শাস্ত্রের বুলি আছে। কিন্তু হতভাগা সে শাস্ত্র। কারণ তার ঠাঁই মেলেনি তাদের অন্তরে। যা কিছু তা লোক দেখানো, যা কিছু তা লোক হাসানো। এরা জ্ঞান বিচ্যুত, বাস্তবতা বিচ্যুত। ফলত, অকাট মূর্খ।
এই শ্রেণীটাই কিছুদিন আগে রাজবাড়ির পাংশায় কয়েকজন বাউলের চুল কেটে নিয়েছে। এই চুলের কী অপরাধ ছিল আমার পক্ষে তা বোঝা মুশকিল, বলাও মুশকিল। তারা তো আর বাউলের চুল কাটেনি– কেটেছে আমাদের সংস্কৃতিকে, শিকড়কে। হয়তো আগামীকাল তারা কেড়ে নেবে বাউলের হাতের একতারাকে। আরো পরে এরা কেড়ে নিতে চাইবে এর চেয়েও বড় কিছু। হরণেই এদের সুখ। শাস্ত্র দিয়ে এরা কলম হরণ করতে চায়, ভাষা হরণ করতে চায়, চিন্তা হরণ করতে চায়। এরা ফতোয়াবাজ। এদেরকে থামাতে হবে, স্তব্ধ করে দিতে হবে। শোনা যাচ্ছে, চুল কর্তনের ফতোয়া প্রদানকারী মুফতীকে মদদ দিয়েছেন স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতা। তাকে সহ গ্রেফতার করতে হবে সকল অপরাধীকে। বাউলরা দুর্বল, অসহায়। তাই হয়তো তারা আপোষ করেছে। মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছে। কিন্তু এই ঘটনার বিচার না হলে, উপযুক্ত শাস্তি প্রদান করা না হলে এদের দৌরাত্ম্য বাড়তেই থাকবে। দেশ হবে শাস্ত্র ও শাস্ত্রবাজদের মুঠোবন্দী।
***
ফিচার ছবি: ইন্টারনেট
নাহুয়াল মিথ বলেছেনঃ
প্রতিক্রিয়াশীলদের হাতেই আমরা জাতীয় পতাকা তুলে দিয়েছিলাম ❗
দিন-রাত্রি সমান ভাই আপনের ভক্ত হয়ে যাচ্ছি দিনে দিনে।
বাসন্ত বিষুব বলেছেনঃ
সেই পতাকা আবারো কী তাদের হাতে, গাড়িতে, বাড়িতে উড়বে!
খুব ভাল লাগছে আপনার মন্তব্য পড়ে। আপনার জন্য শুভকামনা।
হাসান বলেছেনঃ
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) অত্যন্ত রুচিশীল ছিলেন। তাঁর কাছে সর্বদা একটি আয়না, একটি চিরুনী ও ব্রাশ তথা মেসওয়াক থাকত। একদা তার সামনে একজন সাহাবী এলোমেলো চুলে আসলে তিনি সাহাবীটিকে তার এলোমেলো চুলগুলো আঁচরাতে বললেন।
বাসন্ত বিষুব বলেছেনঃ
আমি যে বইগুলো থেকে ইসলাম অধ্যয়ন করেছি তা কোন ক্রমেই ফেলো ছিল না। হযরত সব সময় পরিপাটি থাকতেন তাই ঘনঘন চুল আচড়াবার প্রয়োজন হতো না। তিনি চুল রাখতেন ঘাড় পর্যন্ত আবার কখনো কখনো খাট করে। সুতরাং আমার তথ্যে কোন গড়মিল নেই। কারণ তার জীবনাচার নিয়ে অনেক ধরণের তথ্য আছে। আপনি যদি সহি হাদিস গ্রন্থগুলো পড়েন দেখবেন তিনি সব সময় একই ভঙ্গিতে চলতেননা। আর চলতেননা বলেই তো মুসলমানদের মধ্যে এতগুলো ভাগ রয়েছে।
তাহসিন আহমদ বলেছেনঃ
জনাব বাসন্ত বিষুব আপনার শোনা কথার কোন ভিত্তি নাই।আপনি যদি দয়া করে আপনার পঠিত ‘ইসলামী গ্রন্থ’ গুলুর reference দিতে পারতেন মনে হয় আর একটু ভাল করতেন।আপনার মতের সাথে অমত পোষন করছি।
বাসন্ত বিষুব বলেছেনঃ
আমি যে মাধ্যমগুলো থেকে ইসলাম অধ্যয়ন করেছি তাতে কোন ভুল নেই। তিনি ঘনঘন চুল আচড়াতে পছন্দ করতেননা। আর আমি তো বলেইছি এসব অনেক আগে পঠিত। আমি যে সময় হাদিসগ্রন্থ আর কোরান পড়ে সমাপ্ত করেছি সে সময় ভাবিনি এসব নিয়ে কখনো লিখবো। তাই বইগুলো আমার সংগ্রহে নেই। তাছাড়া হযরত বাজারকে পছন্দ করতেননা। কারণ বাজারে সবচেয়ে বেশি মিথ্যা বলা হয়। কিন্তু তার অর্থ কিন্তু এই নয় যে তিনি কখনোই বাজারে যেতেননা। তার জীবনাচার কিন্তু ধরাবাধা ছিলনা। তিনি অনেক কিছুই করতেন আবার অনেক কিছুই করতেননা। তিনি নামাজয় পড়তেন একেক সময় একেকভাবে। আর এ কারণেই ইসলামে এতো শাখা হয়েছে।
একমত পোষণ করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ তাহসিন আহমেদ।
লিটন বলেছেনঃ
এত বেশি তথাকথিত ইসলাম ধর্ম বিশারদের কারনেই আজকে আমাদের এই অবস্থা । অনেক হাদিস এবং ইসলামী গ্রন্থ বাংলাদেশে আছে যা আসল নয় এবং বানানো কাহিনী দিয়ে তা ভরপুর।
বাসন্ত বিষুব বলেছেনঃ
মুসলমানদের এখন দুরাবস্থা চলছে আপনার এই উপলব্ধির সাথে একমত। তবে এই দুরাবস্থা নতুন নয় শত বছরের পুরোনো। অতি উত্তেজনা, জ্ঞান বিচ্যুতি আর স্থুলতাই এই দুরবস্থার কারণ।
তাহসিন আহমদ বলেছেনঃ
জনাব বাসন্ত,আমি আপনার সাথে একমত পোষন করিনি।আমি অমত পোষন করেছি।আর আপনি কোন ধরনের হাদিস পরেছেন তা আমার বোধগম্য হচ্ছেনা।হাদিসের অনেক শ্রেনীবিভাগ আছে।তার মধ্যে একটি হচ্ছে ‘জাল হাদিস’।জাল হাদিস হচ্ছে সেই সব হাদিস যা মোহাম্মদ(স.) কখনো বলেননি,অথবা এই সমস্ত হাদিসের পুরোটাই কোন ইসলামী শত্রুদের দারা বানানো।আপনাকে আমি ‘হযরত ওমর’,’খালিদ বিন ওয়ালীদ’,’আবু সুফিয়ান’,’হযরত হামযা’ প্রমুখদের জীবনি পরার জন্য আহবান করছি।কারন তারাও প্রথম জীবনে ইসলামের ঘোরতর শত্রু ছিলেন। আপনি কোরাআন পড়ে সমাপ্ত করেছেন তার জন্য আন্তরিক সাধুবাদ জানাই।আশা করি আল্লাহ আপনাকে ‘কোরআন’ এবং ‘সহীহ হাদিস’ বুঝে এবং সে অনুযায়ী চলার তাওফীক দান করুন।আমিন
reference book:’আসহাবে রাসূলের জীবন কথা’ by আব্দুল মাবুদ
বাসন্ত বিষুব বলেছেনঃ
আপনি একমত পোষন করেননি তা আপনার বক্তব্যেই স্পষ্ট। আমিই হয়তো শেষ লাইনে এসে ভুল টাইপ করেছিলাম। কিন্তু তাতে কী, মন্তব্যের জন্য আপনি ধন্যবাদ পাবার যোগ্য। কারণ নিজ মত প্রকাশ করা একটি সচেতন অভ্যাস।
আলী আকবর বলেছেনঃ
আল্লাহর রাসূল, মুহাম্মদ(সা:) বলেছেন,”এলোমেলো চুল, ইয়াহুদীর লক্ষণ”। “পবিত্রতা ‘ইমানের’ অর্ধেক।” এ থেকে বোঝা যায়, তিনি ‘অগোছালো’ আর ‘অশূচীতা’ অপছন্দ করতেন। ‘মুসলিম’ পরিচয় দানকারীর মধ্যে “তাঁর” ‘পছন্দ/অপছন্দের’ উপস্থিতি অত্যাবশ্যক। কারো উদ্ধৃতি দিতে হলে, ‘উপলক্ষ্যের’ উল্লেখ প্রয়োজনীয়। “মহামণীষীগণের” বক্তব্য, স্ববিরোধী নয়। তাঁরা ‘স্থান-কাল-পাত্র’ নিবীড় বিবেচনয় রেখে ‘তাঁ’দের’ মতামত দিতেন। তাই, বর্ণনকালীন সময়ের ‘স্থান-কাল-পাত্রের’ উল্লেখ না থাকলে, স্ববিরোধী মনে হয়। আর এতে “স্বার্থাণ্বেষীরা” সুবিধা মত ‘বিকৃত ব্যবহারে’ মত্ত হয়।
বাসন্ত বিষুব বলেছেনঃ
হযরতের চুল বিসৃঙ্খল ছিল তা কোথায় বলা হয়নি। যে পরিপাটি থাকে তার হরহামেশা চিরুনী ব্যবহার করতে হয়না। বিষয়টা এরকমই।
Rafiq বলেছেনঃ
মিষ্টার বিষুব,
কোন প্রকার গ্রন্থের উদ্বৃতি ছাড়া ইসলাম ধর্ম তথা নবী করীম (সাঃ) সম্পর্কে কোন প্রকার মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকুন । আপনী যা পড়েছেন তা যদি সঠিক হয়, তবে উল্লেখিত বইয়ের উদ্বৃতি দিন। আর ইসলামের দূর্দশা না সুদশা তা নিয়ে অন্তত আপনার মত নাস্তিকের মাথা ঘামানোর দরকার নেই। ইসলাম তার নিজস্ব গতিতে চলে আসছে, বর্তমানে চলিতেছে এবং আজীবন চলবে । তার প্রমান বর্তমান বিশ্বে মুসলমানদের বিরুদ্ধে শত কোটি ষড়যন্ত্রের পরও দিন দিন মুসলমানের সংখ্যা বৃদ্বি পাচ্ছে এমনকি পশ্চিমা বিশ্ব সহ।
বাসন্ত বিষুব বলেছেনঃ
এখানে কোথায় হযরতকে হেয় করা হয়নি। তাই রেফারেন্সের প্রয়োজন নেই। তাছাড়া আমিতো স্পষ্টই বলেছি, অনেক আগে পড়া, বইগুলো আমার কাছে নেই। অধিকন্তু আমি মনে করি প্রতি পদে পদে রেফারেন্স দেবার প্রয়োজন নেই। এতে লেখার মূল বক্তব্য্ই রূঢ় হয়ে যাবে।
হাবিব বলেছেনঃ
এরকম একটা বিতর্কিত পোস্ট স্টিকি করার কারণ কি?
Awaken বলেছেনঃ
@ বাসন্ত বিষুব
আপনি মনে হয় রেমোনড publication এর বই পড়েছেন। বই গুলি জাল হাদিস দিয়ে লিখা। বাজারে ভাল ভাল ইসলামি প্রকাশিনর বই আছে। ঐ বই গুলি পড়লে হয়ত বা আপনার ধারণা পালটে যাবে।
শুভ কামনা রইল।
বাসন্ত বিষুব বলেছেনঃ
দেখুন, আমি গ্রহণযোগ্য বইগুলোই পড়েছি। তথ্যের হেরফের হতেই পারে। তবে পোস্টের মূল বক্তব্য নিয়েই মতামত দেয়া উচিত।
জে জিয়া বলেছেনঃ
সবারই মেনে রাখা দরকার যে কোন ধম নিয়ে লেখার আগে ভাল ভাবে জেনে তারপর লেখা। এবং বিতক এড়াতে বই গুলোর নাম এবং লেখকের নাম উলেখ করা। এবং প্রকাশ হওয়ার আগে প্রকাশকদের এ ব্যাপারে সতক হওয়া আরও প্রয়োজন।
ছায়া বলেছেনঃ
একটা দেশে অনেক কিছুই থাকতে পারে, সেটা যাই হোক কিন্তু ইসলাম সমর্থন না করলে তা কোনও প্রকারের সংস্কৃতি হতে পাড়ে না । ইসলাম ধর্ম সত্যের ধর্ম এটা আমরা মুসলমান যারা আছি তারা সবাই এটি বিশ্বাস করি। ইসলাম ধর্মে চুলকে এলোমেলো করে রাখার কথা বলে নাই। সারারাত, সারাজীবন গান বাজনা নিয়ে থাকতে বলে নাই। সত্যের ধর্মে যেহেতু এগুলো নেই তাই এগুলো পুরনো হোক আর হাজার বছরের ঐতিহ্য হোক এগুলো কোনও মুসলমানের কর্মকাণ্ড হতে পারে না। তবে কোনও গুষ্টিকে জোর ক্রমে কোন কিছুতে বাধ্য করার বিষয়টিও ইসলাম সমর্থন করে না। সত্যের ধর্ম, শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রচারে আমাদের মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কিভাবে কাজ করে গিয়েছিলেন সেগুলোর দিকে খেয়াল রেখেই আমাদের বর্তমান কর্মকাণ্ড পরিচালিত করতে হবে।
ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফে্য।
বাসন্ত বিষুব বলেছেনঃ
ধর্ম সবার জীবনকে সমানভাবে প্রভাবিত করেনা। বাউলরা যে জীবন যাপন করেন সেখানে ইসলাম বা সনাতন বলে কিছু নেই। তার দর্শনই তাদের ধর্ম। এমন অনেক গোষ্ঠীই আছে। সুফিবাদ তেমনই একটি ধারা। সুফিবাদ একটি আধ্যাত্মিকতা, এটা পরিপূর্ণ ইসলাম নয়।
Rafiq বলেছেনঃ
বিষুব সাহেব,
আপনাকে যদি কেউ জিজ্ঞাস করে তখনো কি আপনী বলবেন বাবার নামের দরকার , অনেক বাবার নাম আছে ?
মিষ্টার বিষুব, যারা ইসলাম ধর্ম সম্বন্ধে কথা বলতে চায়, অথচ রেফারেন্স দিতে অক্ষম, তাদেরকে আমাদের পরিভাষায় বাপ ছাড়া সন্তান বলেই পরিচিত।
কারণ বাপ ছাড়া সন্তানরা যেমন সাধারনত কান্ডজ্ঞানহীন হয়, ইসলাম ধর্ম সম্বন্ধে রেফারেন্স ছাড়া কথা বলা অনেকটা তাই।
ব্লগার কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করব, যে সমস্ত লোক ধর্ম নিয়ে কোন প্রকার লেখা লেখেন, ( সেটা যেকোন ধর্মই হোক না কেন ) তাতে অবশ্য রেফারেন্স থাকতে হবে। অন্যথায় যাতে তা ছাপা করা না হয়।
বাসন্ত বিষুব বলেছেনঃ
যা পঠিত হয়, যা জানা হয়- তা আপনাকে শুনতে হবে। এখানে এতো ক্ষিপ্ত হলে চলবেনা। আর রেফারেন্সের কথা বলছেন, এর ব্যবহার বিধি আমি জানি এবং বুঝি। এই পোস্টে সেটার প্রয়োজন আমি বোধ করিনি এবং এখনো করিনা। যেখানে প্রয়োজন বোধ করবো সেখানে অবশ্যই দেব। ভাল থাকুন।
Awaken বলেছেনঃ
মূল বিষয় নিয়ে আলোচনা করতা্ম, যদি আপনি প্রিয় নবি (সাঃ) কে নিয়ে বাজে মন্তব্য না করতেন।আপনি এমন উদাহরণ টেনেছেন যার পক্ষে কোন গ্রহনযোগ্য দলিল উল্লেক্ষ করতে পারছেন না।
তাই আপনার অবগতির জন্য নিচের হাদিসগুলি তুলে ধরা হলঃ
হযরত কাতাদা (র) থেকে বণিত, তিনি ব্লেন নবি (সাঃ) রাতের বেলা ঘুমানোর উদ্দেশ্যে বিছানায় গিয়ে তাঁর ওযুর পানি, মিসওয়াক ও চিরুনি এক পাশে রেখে দিতেন। তারপর মহান আল্লাহ যখন তাঁকে রাতের বেলা ঘুম থেকে জাগাতেন তখন তিনি মিসওয়াক করতেন, অযু করতেন এবং চিরুনি করতেন।(তথ্য সূত্রঃ আখলাকুন নবি (সাঃ)। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।)
হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বণিত, তিনি ব্লেন রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যখন কোন যুদ্ধে যেতেন আমি তাঁর সফরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে দিতাম। আমি তাঁর সাথে যেসব জিনিস দিতাম তার অন্তভুক্ত থাকত তেল, চিরুনি,আয়না,কাঁচি,সুরমাদানি, মিসওয়াক।(তথ্য সূত্রঃ আখলাকুন নবি (সাঃ)। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।)
আশা করি আপনি আপনার ভুল স্বীকার করে, বক্তব্য প্রত্যাহার করে নিবেন।
বাসন্ত বিষুব বলেছেনঃ
আপনি এবং আরো অনেকে ধারণা করছেন, চিরুনী কম ব্যবহার মানে চুলের এলোমেলো ভাব। কিন্তু মোটেই তা নয়। আমি সারাদিনে দুইবার চিরুনী ব্যবহার করি কিন্তু তার পরো আমার চুল পরিপাটি থাকে। সুতরাং হযরত সম্পর্কে আমার জানা যে তথ্য দিয়েছি তা আপনার হাদিসের সাথে সাংঘর্ষিক নয়। আর এসব হাদিস পড়ে এমন ভাবার কোন কারণ নেই যে, হযরত সর্বক্ষণই মাথায় চিরুনী ব্যবহার করতেন। এতো সাজসজ্জার সময় তার ছিল না নিশ্চই।
সুতরাং আমার বক্তব্য আছে এবং থাকবে। ধন্যবাদ আপনাকে নিয়মিত মতামত উপস্থাপনার জন্য। এমন আলোচনা বা সমালোচনাকে আমি ইতিবাচক হিসেবেই নেই।
সুনীল আকাশ বলেছেনঃ
জনাব বাসন্ত বিষুব, আপনার লেখাখানি পড়লাম। আমাদের আশেপাশের অনেক মানুষই অনেক লম্বা চুল রাখেন। কেউ কেউ রাখেন ফ্রেন্চকাট দাড়ি, কেউবা থুতনিতে ছোট্ট একটুখানি। আমরা যেটা পছন্দ করি, সেটা করি। যেটা পছন্দ করিনা, সেটা করিনা। কারো সজ্জা ভালো না লাগলে তাকে বুঝাই। না মানলে এরিয়ে চলি। গায়ের জোর প্রয়োগ করিনা। যারা প্রয়োগ করে তাদের নিন্দা করি। আপনিও তাই করেছেন। ধন্যবাদ।কিন্তু এটা নিয়ে এত মন্তব্য, সমালোচনা আর পাল্টা আক্রমনের কি আছে বুঝলামনা। আর নহুয়াল মিথ্ সবকিছুতেই প্রতিক্রিয়াশীলতার গন্ধ খুজেন কেন? উনার নাকে কি সমস্যা আছে? তার ব্লগ বা মন্তব্য -কোথাও সুস্থতার লেশ দেখতে পেলামনা।
বাসন্ত বিষুব বলেছেনঃ
প্রত্যাশিত ইতিবাচক দৃষ্টিতে লেখাটিকে দেখার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ । আপনার সাথে আমি একমত যে, অনেকেই অনেক স্টাইলে চুল রাখে । আমাদের পছন্দ হলে বলি, সম্পর্ক সেরক হলে অপছন্দ হলেয় বলি। কিন্তু এসব নিয়ে অযথা বারাবারি করিনা। চারুকলায় গেলে বাহারি চুল দেখা যায়। তাদের ধরে তো কেটে দেয়া হচ্ছে না। তাহলে বাউলদেরটা কাটতে হবে কেন?
আর হযরতের চুল নিয়ে এখানে কোন নেতিবাচক মন্তব্য করা হয়নি। কথা প্রসঙ্গে একটি জানা কথা উল্লেখ করেছি মাত্র। তার চুল নিঃসন্দেহে পরিপাটি থাকতো। তাই বলে তিনি ঘনঘন মাথায় চিরুনী ব্যবহার করতেন না।
Awaken বলেছেনঃ
আপনার এ কথাটি দ্ধারা বোঝা যায় আপনার জানার মধ্যে যথেষ্ট ঘাটতি আছে। আপনি যাদেরকে জ্ঞান বিচ্যুত, বাস্তবতা বিচ্যুত, ফলত, অকাট মূর্খ, ইত্যাদি বলছেন। অথচ আপনার বক্তব্য দ্ধারা বোঝা যায় আপনি তাদের দলের একজন। যেমন আপনি দলিল ছাড়া কথা বলছেন , সেটি অন্ধভাবে সমথন করছেন এবং সুকৌশলে আপনার দোষ অস্বীকার করছেন। আপনি শুধু অনুমানের উপর কথা বলেন যার কোন ভিত্তি নেই।
হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বণিত, তিনি বলেন, নবি (সাঃ) মথার চুল ও দাড়ি পানি দ্ধারা বারবার পরিপাটি করতেন।(তথ্য সূত্রঃ আখলাকুন নবি (সাঃ)।পৃঃ ২৭০ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ।)
এখন হয়ত বা আপনি বলবেন এখানেত চিরুনির কথা বলা হয়নি ?
ভাই চিরুনি ছাড়া কী মথার চুল ও দাড়ি পরিপাটি করা যায় ?
আমার বক্তব্য সুস্পষ্ট আপনি ভুল স্বীকার করে আপনার ব্লগের প্রথম কয়েক ছত্র প্রত্যাহার করে নিন।
পিয়াস বলেছেনঃ
বাউল প্রসঙ্গে নতুন করে সামনে চলে এসেছে। পাংশা উপজেলার আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কয়েকজন মাদ্রাসা শিক্ষক কিছু বাউলকে তওবা পড়ান এবং তাদেরন লম্বা গোফ ও চুল কেটে দেন।
একটি জাতীয় দৈনিকে একজন কলাম লেখক ইতিহাস থেকে বাউলদের তওবা পড়ার কয়েকটি উদাহরণ দিয়েছেন যা ঘটেছিল ১৯৩২ সালে, ১৯৪২ এবং ১৯৮৪ সালে। প্রায় একশত বছরের এ রকম কয়েকটি ঘটনাকে ব্যাতিক্রম হিসাবে গন্য করা যায়, তবে এ কথা বিবেচনা যোগ্য যে বাবুলরা যেহেতু মুসলিম নামধারী সেহেতু তাদেরকে মুসলিম সমাজ কিছুটা নিয়ন্ত্রন করবেই, সামাজিক নিয়ন্ত্রন বিষয়টি অস্বীকার করা যাবে না, সমাজ অস্বাভাবিক কাজ গ্রহণ করেনা।
লেখক বাউলদের অনেক প্রশংসা করেছেন, তার ভাষ্য মতে “তাদের দ্বারা বাংলাদেশে এক মানবতাবাদী এক জাগরণ ঘটে” “তাদের হাত ধরেই কৃষক সমাজের মধ্যে ঘটেছিল দেশজ রেঁনেসা” “বাউলরাই হচ্ছে আমাদের আদর্শ নারী পূরুষ”। এ সবই হচ্ছে অতিরঞ্জিত কথা। লালন নিজে সংগীতের ক্ষেত্রে অনেক অনেক বড়। কিন্তু সাধারণ বাউররা তা নয়। তারা অস্বাভাবিক জীবন যাপন করে, তারা অপরিচ্ছসন্ন তাকে, অবাধ যৌনাচারে বিশ্বাস করে, তাদের পূরুষরা হায়েজের রক্তপান বৈধ মনে করে। তাদের নারীরা পূরুষের বীর্যপান বৈধ মনে করে। এসব আমি জেনেছি লালন গবেষক লালনের উপর পিএইচডি করেছেন এক ক্লাসমেটের কাছ থেকে।
বাউলরা কখনই কোন আদর্শ নয়, তারা সাধারণ মানুষ, তারা সভ্যতার কিছুই জানে না। তারা সত্যিকার অর্থে কোন ধার্মিক লোকও না। কিন্তু একথা অবশ্যই বলতে হবে যে, এসব নিরীহ লোকদের উপর কোনো অত্যাচার বৈধ হতে পারেনা, যা করতে হবে মুসলিম সমাজকে তা বৈধ ভাবে করতে হবে।
akash বলেছেনঃ
চরম বিকৃত, অজ্ঞ, নেশাগ্রস্ত, অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা মনের অধিকারী তথা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী আদর্শশূন্য সুশীলদের আদর্শ এসব তথাকথিত বাউলদের জ্ঞানের আলো দ্বারা অন্ধকার পথ থেকে উদ্ধার করতে হবে।
আরও অবাক করা ব্যাপার হলো ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী আদর্শশূন্য বাউলপ্রেমী হাসিনা সরকারের বিটিভিতে ইসলামী অনুষ্ঠানের থিম সংকস মূল হলো অনেকটা এরকম–
বাউলদের বাংলাদেশ
মাইজভান্ডারির বাংলাদেশ
সুফি-সাধকের বাংলাদেশ
মাঝারের বাংলাদেশ……
আহমাদ মাহদী বলেছেনঃ
আমার বাড়ির পাশে এক বাউল ছিল। সে তার নিজের প্রসাব পান করত। আর ওনার পাশ দিয়ে দুর্গন্ধের কারনে হেটে যাওয়া যেত না।
emubd বলেছেনঃ
জনাব বাসন্ত বিষুব
আপনার লেখা পড়ে একজন মনীষীর কথা মনে পড়ে গেল তিনি বলেছেন, কোন লোক মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট, সে যা শুনে তাই সত্য বলে প্রচার করে।
ঠিক আপনি যে রকম শুনা কথার উপর লিখেছেন। আবার রেফারেন্স দিতেও অনীহা প্রকাশ করছেন। তাই আপনাকে একজন নির্ভেজাল মিথ্যাবাদী বলা যায়।
বাসন্ত বিষুব বলেছেনঃ
আমি যা পড়েছি তা শুনে যদি আপনার খারাপ লাগে তাতে আমার বোধ করি কিছুই করার নেই। রেফারেন্স চেয়ে চেয়ে অস্থির হবারো কোন কারণ দেখিনা। কারণ আমি লিখেছি এই কথা অনেক আগে আমি পড়েছিলাম।
হাবিব বলেছেনঃ
বাউলদের সম্পর্কে লোমহর্ষক তথ্য
বাউল প্রসঙ্গে নতুন করে সামনে চলে এসেছে। পাংশা উপজেলার আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং কয়েকজন মাদ্রাসা শিক্ষক কিছু বাউলকে তওবা পড়ান এবং তাদের লম্বা গোঁফ ও চুল কেটে দেন।
একটি জাতীয় দৈনিকে একজন কলাম লেখক ইতিহাস থেকে বাউলদের তওবা পড়ার কয়েকটি উদাহরণ দিয়েছেন যা ঘটেছিল ১৯৩২ সালে, ১৯৪২ এবং ১৯৮৪ সালে। প্রায় একশত বছরের এ রকম কয়েকটি ঘটনাকে ব্যাতিক্রম হিসাবে গন্য করা যায়, তবে এ কথা বিবেচনা যোগ্য যে বাবুলরা যেহেতু মুসলিম নামধারী সেহেতু তাদেরকে মুসলিম সমাজ কিছুটা নিয়ন্ত্রন করবেই, সামাজিক নিয়ন্ত্রন বিষয়টি অস্বীকার করা যাবে না, সমাজ অস্বাভাবিক কাজ গ্রহণ করেনা।
লেখক বাউলদের অনেক প্রশংসা করেছেন, তার ভাষ্য মতে “তাদের দ্বারা বাংলাদেশে এক মানবতাবাদী এক জাগরণ ঘটে” “তাদের হাত ধরেই কৃষক সমাজের মধ্যে ঘটেছিল দেশজ রেঁনেসা” “বাউলরাই হচ্ছে আমাদের আদর্শ নারী পূরুষ”। এ সবই হচ্ছে অতিরঞ্জিত কথা। লালন নিজে সংগীতের ক্ষেত্রে অনেক অনেক বড়। কিন্তু সাধারণ বাউররা তা নয়। তারা অস্বাভাবিক জীবন যাপন করে, তারা অপরিচ্ছসন্ন তাকে, অবাধ যৌনাচারে বিশ্বাস করে, তাদের পূরুষরা হায়েজের রক্তপান বৈধ মনে করে। তাদের নারীরা পূরুষের বীর্যপান বৈধ মনে করে। এসব আমি জেনেছি লালন গবেষক লালনের উপর পিএইচডি করেছেন এক ক্লাসমেটের কাছ থেকে।
বাউলরা কখনই কোন আদর্শ নয়, তারা সাধারণ মানুষ, তারা সভ্যতার কিছুই জানে না। তারা সত্যিকার অর্থে কোন ধার্মিক লোকও না। কিন্তু একথা অবশ্যই বলতে হবে যে, এসব নিরীহ লোকদের উপর কোনো অত্যাচার বৈধ হতে পারেনা, যা করতে হবে মুসলিম সমাজকে তা বৈধ ভাবে করতে হবে।
আমার বাড়ির পাশে এক বাউল ছিল। সে তার নিজের প্রসাব পান করত। আর ওনার পাশ দিয়ে দুর্গন্ধের কারনে হেটে যাওয়া যেত না।
চরম বিকৃত, অজ্ঞ, নেশাগ্রস্ত, অপরিচ্ছন্ন ও নোংরা মনের অধিকারী তথা ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী আদর্শশূন্য সুশীলদের আদর্শ এসব তথাকথিত বাউলদের জ্ঞানের আলো দ্বারা অন্ধকার পথ থেকে উদ্ধার করতে হবে।
আরও অবাক করা ব্যাপার হলো ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী আদর্শ শূন্য বাউলপ্রেমী হাসিনা সরকারের বিটিভিতে ইসলামী অনুষ্ঠানের থিম সং মূল হলো অনেকটা এরকম–
বাউলদের বাংলাদেশ
মাইজভান্ডারির বাংলাদেশ
সুফি-সাধকের বাংলাদেশ
মাঝারের বাংলাদেশ……
বাউলরা যে জীবনাচারে অভ্যস্ত তা যদি আদর্শ হয় তাহলে মানুষকে আর কোন কিছু করতে হবেনা। শুধু গাঁজা খাও, নেশা করো, নষ্টামি করো এসবই হবে জীবন। যারা বাউল জীবনের পক্ষে বলে তারা তাদের ছেলে-মেয়েকে সেই বাউলের আস্তানায় পাঠাক। তারপর বাউল জীবনকে আদর্শ মানে কিনা বুঝা যাবে…
বাউলদের যারা উচ্ছিষ্ট গোঁফ দাড়ি কেটে দিয়েছেন সে সকল স্থানীয়দের সাক্ষাৎকার আমরা টিভি চ্যানেলগুলোতে দেখেছি। তাদের কথায়ও বোঝা গিয়েছে; এটা একটি স্বাভাবিক সামাজিক প্রতিরোধ। এখানে কোন মতাদর্শ বা রাজনৈতিক চিন্তা কাজ করেনি। স্থানীয় সমাজের মাতুব্বর, বয়জেষ্ঠগণ, মসজিদের ইমাম, রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি সবাই একত্রিত হয়ে বিনা প্ররোচনায় এই সিদ্ধান্তটি নিয়েছেন। পরবর্তীতে আমাদের সংকীর্ণ রাজনৈতিক মনোভাব এই ঘটনা থেকে যে যার মত ফায়দা লুটতে উঠে পড়ে লেগেছে।
আমরা সম্প্রতি আওয়ামী নেতাকমী কর্তৃক বাউলদের চুলদাড়ি কেটে নেয়ার ঘটনা শুনেছি। অনেকে বিষয়টি নিয়ে বাঙালি সংস্কৃতি গেল গেল বলে রব তুলেছেন। কিন্তু আমরা কি জানি বাউলতত্ত্ব কী? বা এতে কী বলা রয়েছে? আমরা কিন্তু জানি না। আনুশেহ, সুমীর মতো কিছু অধুনা গায়িকা বাউলতত্ত্বের প্রচারপ্রসারে উঠেপড়ে লেগেছে। প্রসেনজিৎ এসে কয়েকদিন আগে লালন নিয়ে সিনেমা করে গেল। মূলত ইন্ডিয়াপন্থী কিছু বুদ্ধিজীবীর লালনপ্রেম যে উথলে উঠেছে তা আমাদের ভাবনার বিষয়। তারচেয়ে বড় কথা আমরা জানি না লালন আসলে কে? তার ধর্ম আসলে কি? এই প্রশ্নের জবাব দিবে নিন্মোক্ত লেখাটি
লালন ছিলেন বাউল সম্প্রদায়ের গুরু। আমরা কি জানি কারা এই বাউল সম্প্রদায়? কি তাদের ধর্মবিশ্বাস ও জীবনাচরণ? নব্বই ভাগ মুসলিম অধ্যুষিত একটি দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের সাথে লালন ফকির বা বাউল সম্প্রদায়ের আচার-আচরণ, বিশ্বাস ও মূ্ল্যবোধ আসলে কতটুকু সম্পর্কিত? সর্বোপরি যারা বাউল সংস্কৃতিকে বাঙ্গালীর সংস্কৃতি বলে ১২ কোটি মুসলিমের ঘাড়ে চাপিয়ে দিতে চাইছে তাদের এসব কর্মকান্ডের উদ্দেশ্যই বা কি?
বাউল সম্প্রদায় সম্পর্কে যারা পড়াশোনা করেছেন তাদের কাছে প্রয়াত লেখক আহমদ শরীফের “বাউল তত্ত্ব” এবং লালন একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ডক্টর আনোয়ারুল করিমের “বাংলাদেশের বাউল- সমাজ, সাহিত্য ও সংগীত” নামের বই দুটো খুবই পরিচিত। বাউল শব্দটির উৎস ও এই সম্প্রদায়ের ধর্মবিশ্বাস সম্পর্কে ডক্টর আনোয়ারুল করিম তার বাংলাদেশের বাউল বইতে যা লিখেছেন তার সারাংশ হল, প্রাচীন প্যালেস্টাইন এর রাসসামরায় বা’আল নামের একজন প্রজনন দেবতার উপাসনা করা হতো। তৌরাত, ইঞ্জিল(বাইবেল), কোরান মজিদসহ সকল ধর্মগ্রন্থেই এই দেবতাকে তীব্র নিন্দা করা হয়েছে এবং তার উপাসনা থেকে সকলকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মূলত বা’আল প্রজনন-দেবতা হওয়ায় মৈথুন বা যৌনাচার এই ধর্মের অঙ্গীভূত হয়ে পড়ে। এই বা’আল ধর্ম এক্সময় এ উপমদেশীয় অঞ্চলেও ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলে। পরবর্তীতে এ অঞ্চলে ইসলামের সুফীবাদী মতবাদের প্রচার-প্রসার ঘটার পর সম্ভবত ইসলাম ও পৌত্তলিকতা উভয় মতবাদের সংমিশ্রণে একটি নতুন লোকধর্মের উদ্ভব ঘটেছিল যার উপরিভাগে ছিল মুসলিম সূফীবাদের প্রাধান্য, অভ্যন্তরে ছিল তন্ত্র ও যোগনির্ভর দেহজ সাধনা। তাই তার ধারণা মতে কালক্রমে এই বা’আল লোকধর্মই পরবর্তীতে বাউল লোকধর্মে পরিণত হয়েছে এবং লোকনিরুক্তি অনুসারে বাউল শব্দটি বা’আল>বাওল>বাউল এভাবে পরিবর্তিত হয়ে এসেছে। (বা.বা পৃষ্ঠা ১৩৩-১৪৫) ডা. আহমদ শরীফ তার “বাউলতত্ত্ব” বইটিতে বাউল ধর্মমত সম্পর্কে বলেন, “ব্রাহ্মণ্য, শৈব ও বৌদ্ধ সহজিয়া মতের সমবায়ে গড়ে উথেছে একটি মিশ্রমত যার নাম নাথপন্থ। …দেহতাত্ত্বিক সাধনাই এদের লক্ষ্য। (নাথপ্নথ এবং সহজিয়া) এ দুটো সম্প্রদায়ের লোক একসময় ইসলাম ও বৈষ্ণব ধর্মে দীক্ষিত হয়, কিন্তু পুরনো বিশ্বাস-সংস্কার বর্জন করা সম্ভব হয়নি বলেই ইসলাম ও বৈষ্ণব ধর্মের আওতায় থেকেও এরা পুরনো প্রথায় ধর্ম সাধনা করে চলে, তার ফলেই হিন্দু-মুসলমানের মিলিত বাউল মতের উদ্ভব। তাই হিন্দু গুরুর মুসলিম সাগরেদ বা মুসলিম গুরুর হিন্দু সাগরেদ গ্রহণে কোন বাধা নেই। তারা ব্রাহ্মণ্য ধর্ম ও শরিয়তী ইসলামের বেড়া ভেঙে নিজের মনের মত করে পথ তৈরি করে নিয়েছে। এজন্য তারা বলে,
“কালী কৃষ্ণ গড খোদা/কোন নামে নাহি বাধা
মন কালী কৃষ্ণ গড খোদা বলো রে।” (বাউলতত্ত্ব পৃঃ ৫৩-৫৪)।
সাধারণ জনারণ্যে বাউলরা নাড়ার ফকির নামে পরিচিত। ‘নাড়া’ শব্দটির অর্থ হল শাখাহীন অর্থাৎ এদের কোন সন্তান হয়না। তারা নিজেদের হিন্দু মুসলমান কোনকিছু বলেই পরিচয় দেয়না। লালন শাহ ছিলেন বাউলদের গুরু। লালনকে বাউলরা দেবতা জ্ঞানে পূজা করে। তাই তার ‘ওরসে’ তাদের আগমন এবং ভক্তি অর্পণ বাউলদের ধর্মের অঙ্গ। (বা.বা পৃঃ ১৪) লালন শাহের অনুসারীদের একটি অংশ ১৯৮৬ সালের মার্চ মাসে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের দপ্তরে একজন মুসলমান অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, “আমরা বাউল। আমাদের ধর্ম আলাদা। আমরা না-মুসলমান, না-হিন্দু। আমাদের নবী সাঁইজি লালন শাহ। তাঁর গান আমাদের ধর্মীয় শ্লোক। সাঁইজির মাজার আমাদের তীর্থভূমি।।…আমাদের গুরুই আমাদের রাসুল। …ডক্টর সাহেব [অর্থাৎ উক্ত মুসলিম অধ্যাপক] আমাদের তীর্থভূমিতে ঢুকে আমাদের ধর্মীয় কাজে বাধা দেন। কোরান তেলাওয়াত করেন, ইসলামের কথা বলেন… এ সবই আমাদের তীর্থভূমিতে আপত্তিকর। আমরা আলাদা একটি জাতি, আমাদের কালেমাও আলাদা –লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু লালন রাসুলুল্লাহ।“ (দ্রঃ সুধীর চক্রবর্তী, ব্রাত্য লোকায়ত লালন, ২য় সংস্করণ, আগস্ট ১৯৯৮ পৃঃ ৪-৯৫)
বাউল সাধনায় গুরুশ্রেষ্ঠকে ‘সাঁই’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সাধনসঙ্গিনীকেও গুরু নামে অভিহিত করা হয়। মূলত সাধনসঙ্গিনীর সক্রিয় সাহায্য ব্যতীত সাধনায় সিদ্ধী লাভ করা যায় না। তাই তাকে ‘চেতন গুরু’ বলা হয়। বাউলরা বিশ্বাস করে গুরুর কোন মৃত্যু নেই। তিনি কেবল দেহরক্ষা করতে পারেন। তিনি চিরঞ্জীবী। বাউলরা মন্দিরে কিংবা মসজিদে যায়না। জুম্মার নামায, ঈদ এবং রোযাও পালন করেনা। তারা তাদের সঙ্গিনীকে জায়নামাজ নামে অভিহিত করে। বাউলরা মৃতদেহকে পোড়ায়না। এদের জানাজাও হয়না। হিন্দু মুসলমান নামের সব বাউলদের মধ্যেই এই রীতি। এরা সামাজিক বিবাহ বন্ধনকেও অস্বীকার করে। নারী-পুরুষের একত্রে অবাধ মেলামেশা এবং বসবাসকে দর্শন হিসেবে অনুসরণ করে। (বা.বা পৃঃ ১৫-১৭)
বাউল সাধনা মূলত একটি আধ্যাত্বসাধনা, তবে যৌনাচার এই সাধনার অপরিহার্য অঙ্গ। ড. আহমদ শরীফের ভাষায় কামাচার বা মিথুনাত্বক যোগসাধনাই বাউল পদ্ধতি। বাউল সাধনায় পরকীয়া প্রেম এবং গাঁজা সেবন প্রচলিত। বাউলরা বিশ্বাস করে যে, কুমারী মেয়ের রজঃপান করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধক তৈরী হয়। তাই বাউলদের মধ্যে রজঃপান একটি সাধারন ঘটনা। এছাড়া, তারা রোগমুক্তির জন্য স্বীয় মুত্র ও স্তনদুগ্ধ পান করে। সর্বরোগ থেকে মুক্তির জন্য তারা মল, মুত্র, রজঃ ও বীর্য মিশ্রণে প্রেমভাজা নামক একপ্রকার পদার্থ তৈরি করে তা ভক্ষণ করে। একজন বাউলের একাধিক সেবাদাসী থাকে। এদের অধিকাংশই কমবয়সী মেয়ে। (বা.বা পৃ ৩৫০, ৩৮২)
এদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে বাউল সম্প্রদায় সম্পর্কে সঠিক জ্ঞান না থাকায়, অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলিমও ধর্মবিবর্জিত বিকৃত যৌনাচারী মুসলিম নামধারী বাউলদেরকে সূফী-সাধকের মর্যাদায় বসিয়েছে। মূলতঃ বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত ভেকধারী এসব বাউলরা তাদের বিকৃত ও কুৎসিত জীবনাচারণকে লোকচক্ষুর অন্তরালে রাখার জন্য বিভিন্ন গানে মোকাম, মঞ্জিল, আল্লাহ, রাসূল, আনল হক, আদম-হাওয়া, মুহাম্মদ-খাদিজাসহ বিভিন্ন আরবী পরিভাষা, আরবী হরফ ও বাংলা শব্দ প্রতীকরূপে ইচ্ছাকৃতভাবেই ব্যবহার করেছে। এদেশে বহুল প্রচলিত একটি লালন সঙ্গীত হলো,
“বাড়ির পাশে আরশি নগর/সেথা এক পড়শী বসত করে,
আমি একদিনও না দেখিলাম তারে”
এই গানটিকে আমাদের সমাজে খুবই উচ্চমার্গের আধ্যাতিক গান মনে করা হলেও, এটি মূলত একটি নিছক যৌনাচারমূলক গান, যাতে আরশিনগর, পড়শী শব্দগুলো প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে তাদের বিকৃত জীবনাচারকে গোপন রাখার উদ্দেশ্যে। (বা.বা পৃঃ ৩৬৮-৩৬৯)
বাউল সাধকরা বস্তুতঃ নিরাকার আল্লাহকে সাকারত্ব প্রদান করে তাদের অনুসারীদের পৌত্তলিকতার পর্যায়ে নিয়ে গেছে। এরা সাধারন মানুষের সারল্য, অশিক্ষা ও অজ্ঞতার কারণে তাদের বিভ্রান্ত করেছে এবং এইসব বিকৃত সাধনাসম্বলিত লোকধর্ম আসলে আমাদের সমাজ জীবনকে ধ্বংশের দিকে ঠেলে দিয়েছে। সমাজ জীবনে বাউল লোকধর্মের এই ভয়ঙ্কর প্রভাব লক্ষ্য করে বাংলা ১৩৩৩ সালে হাজী মৌলভী রেয়াজউদ্দীন আহমদ “বাউল ধ্বংশ ফতওয়া” নামে বাউলবিরধী একটি বই লেখেন। যেখানে তিনি এই বাউল সম্প্রদায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে এটা স্পষ্ট যে, ইসলাম, ইসলামী আকিদাহ্ যা এদেশের আপামর মুসলিমের অন্তর্নিহিত বিশ্বাসের সাথে বাউল সম্প্রদায়ের ধর্মীয় বিশ্বাসের দূরতম সম্পর্ক নেই এবং তা পুরোপুরি ষাংঘর্ষিক। শুধু তাই নয়, বিশ্বাসে পৌত্তলিক, আচার-আচরণে ভয়ঙ্কর কুসংস্কারাচ্ছন্ন, বিকৃত জীবানাচারণ ও অবাধ যৌনাচারে অভ্যস্ত বাউল সম্প্রদায় কোনভাবেই এদেশের মানুষের কৃষ্টি-কালচার বা আত্বপরিচিতির বন্ধনমূল হতে পারেনা। কবীর চৌধুরী, হামিদা হোসেন, আয়েশা খানম এবং তাদের অনুসারীরা বস্তুতঃ প্রগতিশীলতা, আধুনিকতা ও দেশীয় কৃষ্টি-কালচারের নামে, ফুল-পাখি-গান-কবিতা-সৌন্দর্য ইত্যাদির উছিলায় এদেশের মানুষকে অশ্লীল, বিকৃত ও নৈতিক মূল্যবোধ বিবর্জিত এক ভয়ঙ্কর অন্ধকারাচ্ছন্ন জগতের দিকে নিয়ে যেতে চায়। যে নিকষ কালো আঁধারের মূলে রয়েছে বস্তুবাদ, ভোগবাদ ও চূড়ান্ত স্বেচ্ছাচারিতা এবং শেষপ্রান্তে অপেক্ষা করছে নিশ্চিত ধ্বংস। স্বনামধন্য লেখক হুমাইয়ূন আহমেদ, সাঁইজির মূর্তি ভাঙায় যার অন্তরে হাহাকার উঠেছে, তার বিতর্কিত ব্যক্তিজীবনই আমাদের বলে দেয় এই হাহাকারের উৎস কোথায়। এছাড়া, রোবায়েত ফেরদৌসের মত ব্যক্তি, যারা কিনা এদেশের তরুন-তরুনীদের বিয়ের আগেই শারীরিক সম্পর্ক তৈরীর ফ্রি লাইসেন্স দিতে চায় তাদের তো বল্গাহীন উদ্দাম বাউলিয়া জীবনাচারণই কাম্য।
তবে, একই সাথে এটাও ঠিক যে, এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমরা পরধর্ম মতে সহনশীল। যদিও পশ্চিমা সাম্রাজ্যবাদীদের তাঁবেদার বুদ্ধিজীবী সুশীল সমাজের একটি অংশ মাঝে মাঝেই এদেশের মানুষের বিরুদ্ধে কল্পিত সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভি্যোগ এনে থাকেন, কিন্তু বাস্তবতা হলো, ধর্মনিরপেক্ষ প্রগতিশীল ভারতের মতো এদেশের মানুষ কখনোই সংখ্যালঘুদের উপর বর্বরভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ে না, অন্য ধর্ম বা মতে বিশ্বাসী মানুষদের জীনন্ত পুড়িয়ে হত্যা করে না, কিংবা তাদের ঘরবাড়ী, উপাসনালয়ও জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দেয়না। তাই, যদি হামিদা হোসেন এবং কবীর চৌধুরীর অনুসারীরা বাউল ধর্মকে তাদের নিজস্ব ধর্ম বা সংস্কৃতি বলে মানতে চায় কিংবা শ্রীকৃষ্ণের অবতারে বিশ্বাসী লালন ফকিরকে তাদের দেবতা বলে ঘোষণা তবে, তবে নিঃসন্দেহে তাদের কেউ বাধা দেবে না। তারা যদি নিজেদের অর্থ-সম্পদ খরচ করে তাদের অধিকৃত জায়গায় আকাসছোঁইয়া লালনমূর্তি বানাতে চায়, তাতেও হয়তো কেউ কোন আপত্তি করবে না। কিন্তু জাতীয় বিমানবন্দরের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে, হাজী ক্যাম্পের সামনে জনগণের অর্থ ব্যয় করে লালনমূর্তি তৈরী বা বিমানবন্দরের সামনের চত্বরকে ‘লালন চত্বর’ ঘোষণার দাবী একেবারেই অযৌক্তিক। কারণ, তাদের অন্ধকারাচ্ছন্ন বিশ্বাস বা বিকৃত মূল্যবোধকে জাতীয় কৃষ্টি-কালচার হিসেবে সমস্ত জাতির ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার কোন অধিকার তাদের নেই।
সুতরাং আমরা বুঝলাম কেন এই লালন মচ্ছব। এ তো আমাদের ইসলাম নয়! এ হল কৃষ্ণের ১৬ হাজার গোপী নিয়ে কামক্রীড়ার বাস্তব উদাহরণ, যা আমাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় লিপ্ত একটি চিহ্নিত গোষ্ঠী। এদের হাত ধরেই নববর্ষে মুসলমান ছেলেদের পরনে ধুতি উঠেছে, মেয়েদের কপালে এসেছে সিঁদুর। আমরা যদি আজ ঘুমিয়ে থাকি, কাল কে আমাদের বাচাবে লালনধর্মের কুৎসিত অন্ধকার জগৎ হতে?
লিটন বলেছেনঃ
@বাসন্ত বিষুবঃ উপরের লেখাটা পড়ে তারপর আপনার জবাব লিখুন। বাউল কখনও আমাদের সাংস্কৃতি হতে পারে না, কোন দিন না, কখনও না। নষ্টামির যাইগা বাংলাদেশ না। আপনার যা খুশি করবেন, যা খুশি বলবেন, এর নাম স্বাধীনতা না, প্রত্যেক বিষয়ের একটি সীমারেখা আছে।
সীমালঙ্ঘনকারী শয়তানের দোসর।
emubd বলেছেনঃ
জনাব বাসন্ত বিষুব একটি গল্প শুনুন
একদিন এক বাবুর্চি তার মুনিবের জন্য একটি হাঁসের রোস্ট বানল।রোস্টটি দেখতে এতই সুস্বাদু ছিল যে , বাবুর্চি তার লোভ সংবরণ করতে পারল না এবং পা দুটির একটি খেয়ে ফেলল।
মুনিব খেতে বসে খোয়া যাওয়া পা-টি খোজঁ করল এবং তার বাবুর্চি কাছে খোয়া যাওয়া পা-টি কি হয়েছে জানতে চাইল।বাবুর্চি তাকে বলল যে হাঁসটির শুধু একটি পা ছিল।মনিবও বোকা হওয়ার পাত্র ছিল না।সে বলল যে , এক পা ওয়ালা হাঁস বলে এমন কিছু নাই।
বাবুর্চি দৃঢ়তার সঙে বলল যা, এই হাঁসটির একটি পা ছিল।মনিব বাবুর্চি অনমনীয়তায় ভীষণ বিরক্ত হল এবং তাকে তার চাকরি থেকে ছাঁটাই করার হুমকি দিল।ঠিক সেই মুহূর্তে বাবুর্চি জানালা দিয়ে বাইরে তাকাল এবং বাড়ির উঠানে কতকগুলো হাঁসকে বিশ্রাম নিতে দেখল।
হাঁসগু্লোর মধ্যে একটি এক পায়ের উপর দাঁড়িয়েছিল এবং অন্য পাটি ভেতরে গুটানো ছিল।সে তার মুনিবের দৃষ্টি আর্কষণ করে দেখাল যে কিছু কিছু হাঁসের আসলেই একটি পা থাকে।মনিব জোরে হাততালি দেওয়ায় হাঁসটি চমকে উঠল।
হাঁসটি তার অন্য পাটি মাটিতে নামিয়ে দৌড়ে পালাল।মনিব বাবুর্চি দিকে তাকাল।বাবুর্চি শান্তভাবে উত্তর দিল যে, তার মুনিবই ঠিক।সেই যদি এই কৌশলটি জানত তবে রান্নার আগে হাঁসটির অন্য পা-টি বের করে আনার জন্য সেও হাততালি দিত……..
ঠিক এরুপ আপনিও বাবুর্চির মত সমস্ত যুক্তি উপেক্ষা করে নিজের খোঁড়া যুক্তির উপর রগচাটার মত দৃড় রয়েছেন।ফলত আপনার মূর্খতা উম্মাচিত।
শফিক বলেছেনঃ
যারা মন্তব্য করছেন তাদের মধ্যে বেশির ভাগ মনে হচ্ছে কোরআন এবং হাদিস সম্পর্কে অনেক কিছু জানেন। তারা মুল প্রসঙ্গের কোন উত্তর না দিয়ে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে প্রসঙ্গত একের পর এক মন্তব্য শুরু করেছেন।
আপনাদের কাছে আমার প্রশ্ন হল যদি বাউলরা হাবিব সাহেব এর বিশাল লিখায় যা লিখেছেন তাই যদি করে থাকে, তাহলে সেই ক্ষেত্রে ইসলাম কি তাদের এই ভাবে চুল দাড়ি কাটা বা নির্যাতনের কথা বলেছে কি না? বা এই ক্ষেত্রে যদি হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) হতেন তাহলে তিনি কি ভূমিকা রাখতেন ?
দয়া করে জানালে আমার ইসলাম সম্পর্কে কিছু জানা হত। ধন্যবাদ সবায় কে ।
বাসন্ত বিষুব বলেছেনঃ
আন্তরিক ধন্যবাদ আপনাকে।
লিটন বলেছেনঃ
এ ভাবে চুল কেটে দেয়া আমরাও সমর্থন করি না, কিন্তু এখানে দেখা যাই বাউলদেরকে আমাদের সাংস্কৃতির ধারক বাহক বানিয়ে দিয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে যা কখনই মেনে নেয়া যাই না ।
লেখার ধরন কিঃ
বাসন্ত বিষুব সাহেব – আমি আপনার উত্তরের জন্য অপেক্ষা করছি। এই আপনার শিকড় তাই না?
আইরিন সুলতানা বলেছেনঃ
২০১১ সাল ….! আজকে ২০১৬ !!!! ঘটনার পুনরাবৃত্তি! আপনার লেখাটা ভুলিনি … সে সময় এরকম উন্নতচিন্তার পোস্টগুলোর জন্য আপনাকে কম নাজেহাল হতে হয়নি ব্লগে … নীচের প্রতিবেদনটা পড়ামাত্রই আপনার লেখাটা খুঁজে বার করলাম।
দুই বাউলকে মারধর-চুল কর্তনের পর আখড়ায় অগ্নিসংযোগ – http://bangla.bdnews24.com/samagrabangladesh/article1190579.bdnews
বাসন্ত বিষুব বলেছেনঃ
বিডি নিউজের এই রিপোর্টটা আমি পড়েছি আপা। কষ্ট পেয়েছি। আমার পোস্টটার কথাও মনে পড়েছিল। আরো একজনেরও মনে পড়েছে দেখে খুব লাগছে। আমরা আসলে ওই বৃত্ত থেকে এখনও বের হতে পারিনি। তা না হলে এই ২০১৬ তে আবার কেন ওই রকম ঘটনা ঘটবে!
আর নাজেহাল তো হতেই হয়েছিল। ভাবছি, এই সুযোগে মন্তব্যগুলো আবার পড়বো। অনেকে অনেক কিছু লিখেছিলেন। সময়ের অভাবে তখন জবাব দেয়া হয়নি।