অবশেষে গাদ্দাফি নিহত হয়েছেন। তার মৃত্যু সংবাদ মোবাইলে নিশ্চিত হবার পর মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বললেন, ওয়াও। তাই তো বলার কথা। এ সংবাদের জন্যই তো তিনি অপেক্ষা করছিলেন। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে তার বাঘা বাঘা গোয়েন্দারা যে কাজ এতোদিন করতে পারেনি সেই কাজটি আজ করে দেখালো গাদ্দাফির স্বজাতিরা।
Heroes emerge, Heroes submerge. বীরের উত্থান আছে, বীরের পতন আছে। তিনি কী বীর ছিলেন? বলবো, once upon a time. তবে এখন তিনি কী? খলনায়ক। এ খেতাব শুধু পশ্চিমাদেরই দেয়া নয় তার নিজেরও অর্জিত।
তিনি বলেছিলেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত লড়াই করবেন; করেছেনও তাই। লড়াই দিয়ে তার উত্থান, লড়াই দিয়েই তার পতন। কিংবা বলা যায়, অন্যের রক্ত ঝরিয়ে তিনি আবির্ভুত হয়েছিলেন, নিজ রক্ত ঝরিয়ে তিনি তিরোহিত হলেন। এটি একটি ইতিহাস এবং ইতিহাসের পরিসমাপ্তি। সে ইতিহাস সবার জানা।
মুয়াম্মার গাদ্দাফি কখনো ছিলেন পরিত্রাতা, কখনো বিশ্বনেতা, কখনো খলনায়ক এবং কখনো ঘাতক। জীবন যার সুবিশাল কলঙ্ক তার ভুষণ। এমন কলঙ্ক অনেকেরই ছিল, অনেকের আছে। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের যে গাদ্দাফি আশ্রয় দিয়েছিলেন সেই বঙ্গবন্ধুও এসব কলঙ্ক থেকে মুক্ত ছিলেন না।
গাদ্দাফি ছিলেন স্বৈরশাসক। কিন্তু পশ্চিমা শক্তির বিরুদ্ধে তার জীবন ইতিহাসে রয়ে গেছে একটি উজ্জ্বল অধ্যায়। ফিলিস্তিনিদের পক্ষে তিনি ছিলেন উচ্চকন্ঠ। তিনি আফ্রিকার ফিদেল কাস্ত্রো। শত কলঙ্ক থাকা সত্বেও তার প্রতি রইলো আমার শ্রদ্ধা।
বিদায় মুয়াম্মার গাদ্দাফি।
***
ফিচার ছবি: আন্তর্জাল থেকে সংগৃহিত