থলের বিড়াল বের হতে শুরু করেছে। ইসলামী প্রজাতন্ত্র নামধারী রাষ্ট্র ইরান ইসলাম ও মানবাধিকারের নাম ভাঙ্গিয়ে তার জনগণকে যে দুধের বদলে ঘোল গিলাচ্ছে তা প্রকাশ হতে শুরু করেছে। তথাকথিত ইসলামী বিপ্লব যে ইরানকে গণতন্ত্র ও মানবিক মূল্যবোধ দিতে পারেনি তা আজ স্পষ্ট। বিরোধী দলের গণতান্ত্রিক অধিকার এর প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন, মিছিল সমাবেশে দলীয় ক্যাডার ও পুলিশ দিয়ে হামলাসহ উদারনৈতিক রাজনৈতিক নেতাদের উপর দমন-পীড়ন প্রমাণ করে ইসলাম কিংবা ন্যায় ভিত্তিক রাষ্ট্র নয়, ইরান এখন একটি ছদ্মবেশী স্বৈরতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। মানুষের চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা তো নেই-ই বরং রাষ্ট্রটি ক্রমেই বিপদজনক ভাবে অমানবিক চরিত্র ধারণ করতে শুরু করেছে।
সদ্য প্রকাশিত এক রিপোর্টে প্রকাশিত হয়েছে যে, ইরান সরকার বিরোধী নেতা কর্মীদের মিছিল ও সভা-সমাবেশে হামলা চালাবার জন্য শিশু সৈনিক নিয়োগ দিয়েছে। বিভিন্ন ধরণের অস্ত্রে সজ্জিত এই সব সৈনিকদের আনা হয়েছে ইরানের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে। যাদের বয়স ১৪-১৬ বছরের মধ্যে। এই সব শিশু সৈনিকের নির্যাতন কিংবা হামলার শিকার অনেক প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন, তাদের উপর হামলাকারী সৈনিকেরা তাদের সন্তানদের চেয়েও বয়সে ছোট। তারা লক্ষ্য করেছেন, হামলার জন্য মোতায়েন করা রায়ট পুলিশের এক তৃতীয়াংশই হলো এই সব অপ্রাপ্ত বয়স্ক সেনা।
ইরান সরকারের এমন অমানবিক কার্যক্রম স্পষ্টভাবেই জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন। আন্তর্জাতিক একাধিক সংস্থা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করার কথা জানিয়েছে। আর আমার কথা হলো, শুধু তদন্ত হলেই চলবে না। প্রয়োজনে ইরান সরকারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। ইসলামের নাম ভাঙ্গিয়ে যারা চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে সামরিক ব্যবস্থাও গ্রহণ করতে হবে।
——————————————-
সূত্র: দি গার্ডিয়ান, ১৩ মার্চ ২০১১