জার্মানীর ডয়েসে ভেল কর্তৃক আয়োজিত ব্লগীয় পরীক্ষায় বাংগালী ব্লগাররা রীতিমত হুমড়ি খেয়ে পড়েছে কে প্রথম হবে তার প্রতিযোগিতায়…।
ব্লগারদের মধ্যে কে বেশী মাত্রায় সামাজিক, রাজনৈতিক সচেতনামূলক লেখনী দ্বারা সমাজকে তাড়িত করছে তার ইদুর দৌড়ে এখন লিপ্ত … এরমধ্যে আবার ভোটেরও ব্যবস্থা আছে …
এখন আসুন দেখি,
১, ব্লগ হলো বাক স্বাধীনতা প্রকাশের একটি মাধ্যম হলেও ব্লগের বিভিন্ন প্লাটফর্মে এক শ্রেনীর রাজনীতির বিরুদ্ধাচারন করলে সেখানে ভিন্নমত প্রকাশকারীর আইডি ব্যান করা হয়। ওহ! এটা তো রাজনীতির বিষয়, রাজনীতি নিয়ে লেখা মানা, কিন্তু যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে লেখা জায়েজ, সেটা রাজনীতি নয়, সেটা হলো অর্থনীতি।
২, স্বয়ং জার্মানীতে অবস্থানরত বাংলাদেশীরা বা বিদেশীরা জার্মান কিংবা ইউরোপের তথাকথিত মানবতাবাদী আইনের দ্বারা কষাহত হচ্ছেন কিনা তারও সচেতনামূলক কোন লেখা চোখে পড়েনি।
৩, বাংলাদেশে সামাজিক সচেতনা বৃদ্ধি কিংবা প্রতিবন্ধীদের বিভিন্ন অধিকার নিয়ে লেখা লেখনির মুল্যায়নের জন্য জার্মানীর ববের দরজায় টোকাটাকি ঠিক কতখানি আত্মমর্্যাদাহীন তার বোধশক্তি নেই যেসব ব্লগারদের তারা কিভাবে বাংলাদেশে সচেতনামুলক লেখনি লিখছেন তাও বোধগম্য নয়।
৪, এবার আসুন ভোটের বিষয়, কে কার বন্ধু, বা বান্ধবী এই অর্থে ভোটাভোটি হয়ে থাকলে মেধাভিত্তিক লেখাও ভোটের সংখ্যায় পিছিয়ে পড়তে পারে। এই জাতীয় স্বজনপ্রীতি থেকে আমরা মুক্ত হয়ে কিংবা সচেতন হয়ে মেধাভিত্তিক পরিবেশ গঠনে আমরা কতখানি মানসিকভাবে প্রস্তুত তাও ভেবে দেখার বিষয় আছে।
৫, ফারাক্কা বাধ কিংবা টিপাইমুখে বাংলাদেশের স্বার্থে এগিয়ে থাকা ১০ ইদুরের কেউ কি কিছু লিখেছে? নাকি এই বিষয়ে কোন কিছু না লেখার অর্থই হলো প্রগতিশীল এবং অধিক সামাজিক সচেতন ।
শুধু শুধু সমালোচনা কেন?
তাই তো, আমরা কি বাংলাদেশীরা নিজেরা এই জাতীয় প্রতিযোগিতা করতে পারি না?
হ্যা পারি …কিন্তু আমাদের অধিক সচেতন পুরুস্কারপ্রাপ্ত ব্লগারদের মধ্যে এই সচেতনা আগে গড়ে উঠতে হবে। বিদেশের নাম শুনলেই সেইখানে ইদুরের মত দৌড়ে যাওয়া কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। আমাদের মানসিকতার গড়নটার পরিবর্তন আগে দরকার।