সুশীলেরা নিশ্চুপ কেন? প্রসঙ্গ: শেয়ার কেলেংকারি এবং বিবিধ

বিডি০৮
Published : 8 April 2011, 03:42 PM
Updated : 8 April 2011, 03:42 PM

ভেবেছিলাম কিছু লিখব না। কেন? কারন এই ব্লগে কোন লেখায় আলোচনা বা মন্তব্য দেখি না। এর সম্ভাব্য কারন উল্লেখ করে আইরিন সুলতানাকে ই-মেইল করেছিলাম। উনি উনার মত করে উত্তর দিয়েছিলেন। এখন উনি আত্মমর্যাদাহীন ব্লগ প্রতিযোগিতার ইদুর দৌড়ে আছেন।

কারন সমূহের মধ্যে একটি বলেছিলাম, ব্লগে ব্লগে এক শ্রেনীর সিন্ডিকেটেড মেম্বার আছে, এরা যাই লিখুক না কেন নিজেদের মধ্যে আঙ্গুল তুলে একে অপরের প্রশংসায় ব্যস্ত থাকে। ফলে ব্লগের আসল উদ্দেশ্য এখানে ব্যহত হয়।

যাই হোক, যা বলতে চাইছিলাম, যার জন্য এই লিখা। তা হলো> শেয়ার কেলেংকারির তদন্ত রিপোর্ট

তদন্ত রিপোর্ট বের হলো অথচ জাফর ইকবাল টাইপের অতি উঁচু মানের সুশীলরা একেবারেই নীরব। অথচ এই সব সুশীলরা অতি তুচ্ছ কারনে বিগত দিনে থাকতো সর্বদা সরব। কি অনেকে বুঝি লেখাতে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন? এই শ্রেণীরা এখন আমি রাজনীতি পছন্দ করি না বলে লেজ উঠিয়ে সস্তা বিনোদনের পাতা কিংবা স্পোর্টসের পাতায় নিজেকে নিমজ্জিত করবে।

কিন্তু মিয়া সাহেব! একদা সরব সুশীলরা এখন নীরব এটা কি রাজনীতি নয়?

কিছুদিন আগে তোতা মিয়া ফারুক খান সাংবাদিকদেরকে ব্যবসায়ীদের চেয়েও অসৎ বলেছেন।
কোন এক সাংবাদিক নাকি এই তথ্য দিয়েছেন, ফারুক খানের চাচা নাকি ১৯৭১ সালে পাকি বাহিনীর সাথে বিশেষ সখ্যতা ছিলো। এতে নাকি তিনি রুষ্ট। (সুত্র আমাদের সময় ৮ এপ্রিল ২০১১)

১। শেয়ার কেলেংকারিতে নাকি সামিট গ্রুপের নাম নেই কিংবা আছে …যাই হোক এই সব নাম প্রকাশ করা হবে না।
এই তথ্য জানার পরেও সুশীলরা নিশ্চুপ কারন, এরা তথাকথিত নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে চাইছে

২। বিরোধী পক্ষগুলো বলছি যে ৮৪ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে।
কিন্তু আওয়ামী ভাড় তদন্ত কর্তা ইব্রাহীম বললেন, ৮৪ হাজার কোটি টাকার অভিযোগ নাকি ভুয়া। তবে জানা যাচ্ছে ২০ হাজার টাকা গায়েব করেছে আওয়ামী কর্তারা।

তাই সুশীলেরা একেবারেই নিশ্চুপ ।

ট্রানজিট, করিডোর, কিংবা ট্রান্সশিপমেন্ট
এই সব ইস্যুতে নাকি অন্যদেশের কাছে ফি চাওয়া অভদ্রতার নির্দশন। কিন্তু নিজেরা কত কমিশন পেয়েছেন এবং তা আমেরিকার কোন ব্যাংকে গচ্ছিত হচ্ছে এই নিয়ে কোন সংবাদ করার মত সাহস কারো নেই। তাই সুশীলেরাও নিশ্চুপ।

বিদ্যুৎ ও খনিজ সম্পদ
কোমলমতি শিশুদেরকে এখন স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে শেখানো হচ্ছে অপর দেশ থেকে বিদ্যুৎ এনে দেশের উন্নয়নের সুবিধা অসুবিধার বিভিন্ন দিকগুলো। এছাড়াও নবম দশম শ্রেনীর বইতে পরনির্ভরশীল মানসিকতা গড়ে উঠার জন্য অনেকে উপাদানই ছড়ানো হচ্ছে। অথচ সুশীলরা এইগুলো নিয়ে লিখতে পছন্দ করেন না, কারন এতে প্রতি মাসের খোরাক এদের বন্ধ হয়ে যাবে।

এই সব বিভিন্ন দিক নিয়ে কোন সচেতনামূলক লেখাও চোখে পড়েনি, ব্লগ প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকা ১০ ইঁদুরের লেখনিতে। এই ১০ ইঁদুর নাকি ব্লগে সচেতনামূলক লেখা লিখে দেশ-সমাজ উদ্ধারে নেমেছে।

*** *** ***
লিংক