

আমরা একটি অসুস্থ ধারার আর্থ-সামাজিক ক্যান্সারে বসবাস করছি। সঠিকভাবে বলতে গেলে – আমরা এখন কোন দিকে যাচ্ছি – পুঁজিবাদি অর্থনীতির দিকে নাকি মুক্ত-বাজার অর্থনীতির সাগরে। পুঁজিবাদি অর্থনীতির পদতলে পৃষ্ট হয়ে রাষ্ট্র দিনকে দিন একটি দানবে পরিণিত হচ্ছে। আজকে র্যাব-পুলিশ কর্তৃক মানবাধিকার লংঘিত হচ্ছে অথচ আমাদেরকে থাকতে হয়েছে নীরব। পড়াশুনাকে করা হয়েছে পণ্য, মধ্য-নিম্নবিত্তের ছেলেমেয়েদের ঠেলে দেওয়া হয়েছে এই পন্যের সামগ্রীতে। একই সাথে গ্যাস-বিদ্যুৎ, পানি, আর জ্বালানী তেলের দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে বিশ্বব্যাংক, আইএফএমের কথা মত।
সরকার এই পাঁচ মাসে ১৯ হাজার কোটি টাকা ঋণ করে আর্থিক খাতে যে বিশৃখলা শুরু করেছে তার পরিনিত কোন দিকে ঠেলে দিচ্ছে আমাদের এই রাষ্ট্রযন্ত্রকে তা ভাববার বিষয় এখনই। এর সাথে যুক্ত হয়েছে, রাজনৈতিক অব্যবস্থাপনা – আদালতের কাধে বন্দুক রেখে তুলে দেওয়া হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা। রাখা হয়েছে নিজের অধীনে কিংবা নিয়ন্ত্রণে নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা। বিরোধী পক্ষ আর সরকারী পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতাকে উস্কে দেওয়া – এর পরিনিত কি হতে পারে তা অনিশ্চিত। এই অনিশ্চিত যাত্রাপথে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা যুক্ত হয়ে তবে রাষ্ট্র ব্যবস্থার কি হবে তা বলা মুসকিল।
হেন তেন ভাবে যুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িতদের বিচার করা সুস্থ রাষ্ট্রের কাজ নয়। এক শ্রেনীর নতুন প্রজন্মের দাবী এই হেন তেন টাইপের বিচার – যা প্রকৃতপক্ষে বিকৃত মানসিকতার লক্ষন। আন্তর্জাতিক মানদন্ডে বিচার না করে এই বিকৃত মানসিকতার দিকেই রাষ্ট্র ঝুকে পড়তে পারে – যার পরিনিত মারাত্মকভাবে খারাপ হবে তা অতি সহজেই বোধগম্য। কিংবা এটাকে মুলা ঝুলিয়ে রাজনৈতিক অংগনে খেলাধুলা করাও বিকৃত রুচির পরিচায়ক।
খুন, গুম-হত্যা ইত্যাদির বিচার না করে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক সাধারণ ক্ষমা ঘোষনা রাষ্ট্রকে কোনদিকে ঠেলে দিচ্ছে? পুলিশ প্রশাসনের উদ্ধত আচরণে নিম্ন-মধ্যবিত্তের লোকজন এখন আতংকগ্রস্ত। বিচার বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে এখন দলীয় আনুগত্যের ভিত্তিতে – এমতাবস্থায় সাধারন জনগণের সুবিচার পাওয়া এখন টাকার খেলায় আবৃত থাকছে। দুর্নীতি এখন সব সেক্টরে ভাইরাসের মত প্রবেশ করেছে …এখন সবারই প্রশ্ন – রাষ্ট্র কোন দিকে যাচ্ছে – রাষ্ট্র কি তার নিজের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে পারবে ? নাকি আরেকটি রক্তক্ষয়ী ৭১-এর অপেক্ষায় থাকতে হবে – যা হবে এবার নিজ দেশের জনগনের বিরুদ্ধে ।
Save Bangladesh : No More Farakka
http://bd008.wordpress.com/
মোহাম্মদ শেখ সাদী বলেছেনঃ
রাষ্ট্র ভুমিকম্পের দিকে যাচ্ছে…….
SHUVRO98 বলেছেনঃ
96 সালে নির্বাচনের ইস্যু “মৌলবাদী “। এবারের ইস্যু যুদ্ধ অপরাধী । this is just a political game। জাহাঙ্গীর নগর ইউনিভার্সিটির টীচার ফেসবুক স্টেটাস এ লিখলেন হাসিনা মরে না কেন? তাই তার জব চলে গেল। হাই কোর্ট রুল জারি করল। এটাই কী গণতন্ত্র?
বাংলাদেশে এক্ণাঅয়ক দরকার। 300 জন এমপি মনে 300 দুর্নীতিবাজ। তার চেয়ে কী এক এরশাদ uncle খারাপ ছিল ?
বিডি০৮ বলেছেনঃ
টিপাইমুখে বাঁধ নির্মাণে চুক্তি