দেশ তুমি ভালো নেই

মনিরুল ইসলাম
Published : 15 March 2016, 02:29 AM
Updated : 15 March 2016, 02:29 AM

প্রিয় দেশে হচ্ছেটা কি! কেউ বিনা দোষে জেল খেটে জীবন-যৌবন পার করার পর নির্দোষ প্রমাণিত হচ্ছে। আবার যাদের জন্য জেল খানাই উত্তম জায়গা, তারা দিব্যি ফূর্তি মেরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কত কিছুই না হয়ে চলেছে এই দেশে। বর্তমানে খুনের পরিধিটা আগের থেকে অনেক বেশি প্রসারিত হয়েছে। কখনো কুপিয়ে, গুলি করে, গুম করে, ধর্ষণ করে নিরীহ মানুষ গুলোকে মারা হচ্ছে। বর্তমানে এদেশ শিশুদের জন্য নরকে পরিণিত হয়েছে।

এখন এদেশে আর আগের মত 'হারামজাদা' নেই। 'হারামজাদাগুলো' এখন অনেক বেশি জঘন্য। খুনের মত জঘন্যতম মানসিকতা এমন ভাবে লালিত হচ্ছে যে এখন খুনিরা সবাইকে দ্বিধাহীন ভাবে খুন করতে পারে।এরা এখন শিশুদের গুলি মারে, গুম করে এবং সর্বশেষ মেরে বালি চাপা দিয়ে জঘন্যতার শেষ দেখিয়ে দেই। এই সমাজ -দেশের কি হল? যেখানে মমতাময়ি মায়ের ভালোবাসাও গ্রাস হচ্ছে! এবার আসি আর একটি আলোচিত বিষয়ে সেটা হল "ধর্ষণ"। এক সময় মানুষ এমনও ছিল যে অনেকেই নিজের বিয়ে করা বউয়ের কাছে যেতে লজ্জায় লাল হয়ে যেত। বর্তমানে লজ্জাবোধ, অপরাধবোধ ও নৈতিকতাবোধের এতটায় অবক্ষয় হয়েছে যে, নর পিশাচগুলো আপনজনের সামনেই নারীর ইজ্জত লুটে নেয়। শুধু তাই নয়, শিশু ধর্ষণের হারও তো অনেক বেড়ে চলেছে।

এখন বলবো টাকা তুমি কার? ডাকাতদের, ক্ষমতাবানদের, ব্যাংক কর্মকর্তাদের না হ্যাকারদের? শেয়ার বাজারে টাকা গেল, ব্যাংক বুথ লুট, ব্যাংক কর্মকর্তাদের কোটি টাকার অবৈধ লেনদেন আর সর্বশেষ বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে হ্যাক করে হাতিয়ে নিল বিপুল পরিমাণের টাকা। আর এর মাধ্যমে পূর্ণ হল আর্থিক ক্ষতির ষোলকলা।

আর কত নিষ্পাপ জীবন গেলে জীবনের মূল্য পাওয়া যাবে? আর কত মা ও শিশুর ইজ্জত বিলীন হবে? আর কত টাকা খোয়া গেলে টাকার নিরাপত্তা পাওয়া যাবে? প্রশ্নগুলো একারনে যে আমরা সমস্যায় জর্জরিত হয়ে গেছি। কেনানা আমাদের কর্তৃপক্ষ যখন বয়স্কদের কে খুন হওয়া থেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছে তখনি এর মাত্রাটা অবুঝ শিশু পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। যখন নারী ধর্ষণকে রুখতে পারা যাচ্ছে না তখন সেটা শিশুদেরকে ধর্ষণ করা পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। বিভিন্ন খাতে আমাদের আর্থিক ক্ষতি হতেই আছে। আমাদের অকারণে চাঁদা দিতে হয় যেখানে সেখানে। গত কয়েক বছরে কয়েকটি ব্যাংক জালিয়াতির পরও কর্তপক্ষ কতটুকু সতর্ক হয়ছিল? নিশ্চয়ই যথেষ্ট সতর্ক ছিল না। সতর্ক থাকলে হয়ত এতগুলো টনক নাড়ানো আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া লাগত না। কারা আছে এর পিছনে? উদ্ধার হবে কি আমাদের এই রিজার্ভ? নাকি প্রশ্নই রয়ে যাবে?