যুদ্ধাপরাধ মীর কাশেম গ্রেপ্তার

বিডিনিউজ২৪
Published : 17 June 2012, 10:33 AM
Updated : 17 June 2012, 10:33 AM

ঢাকা, জুন ১৭ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পরোয়ানা জারি করার আড়াই ঘণ্টার মাথায় জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাশেম আলীকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (মতিঝিল বিভাগ) আনোয়ার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, রোববার বিকাল পৌনে ৪টায় মতিঝিলে দৈনিক নয়াদিগন্ত কার্যালয় থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মীর কাশেম নয়া দিগন্তের মূল প্রতিষ্ঠান দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান।

গ্রেপ্তারের পরপরই তাকে ট্রাইব্যুনালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া ও কমিউনিটি সার্ভিস) মাসুদুর রহমান।

এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নিজামুল হক এই জামায়াত নেতাকে গ্রেপ্তারের আদেশ দেন।

আদেশ হাতে পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মীর কাশেমকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করতে পুলিশ কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন তিনি।

ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বিভাগ সকালে রেজিস্ট্রারের কাছে এই আবেদন জমা দেয় বলে প্রসিকিউটর জেয়াদ আল মালুম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।

প্রসিকিউশনের আবেদনে বলা হয়, মীর কাশেম আলী একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের সহযোগিতাকারী আলবদর বাহিনীর কমান্ডার ছিলেন। তার প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় একাত্তরে চট্টগ্রামে হত্যা, গণহত্যা, ধর্ষণ, লুটপাটসহ বিভিন্ন ধরনের মানবতাবিরোধী অপরাধ ঘটানো হয়।

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের মীর কাশেমকে একাত্তরে চট্টগ্রামের মানুষ চিনতো মিন্টু নামে। কলেজছাত্র থাকাকালে সেখানেই তিনি জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন। পরে জামায়াতের অঙ্গসংগঠন ইসলামী ছাত্রসংঘের দায়িত্বও নেন।

মীর কাসেমের নির্দেশেই চট্টগ্রামে রাজাকার বাহিনীর ক্যাম্পে বহু লোককে হত্যা ও নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের শেষভাগে পাকিস্তানি বাহিনী এ দেশের যে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে, তার তালিকা তৈরিতে মীর কাশেমও ছিলেন।

বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর মীর কাশেম পালিয়ে সৌদি আরবে চলে যান। আবার দেশে ফেরেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হওয়ার পর।

মীর কাশেম বর্তমানে তিনি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালক, ইবনে সিনা ট্রাস্টের সদস্য এবং বেসরকারি সংস্থা রাবেতা আলম আল ইসলামীর পরিচালকের দায়িত্বেও রয়েছেন।

একাত্তরে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াতে ইসলামীর সাবেক ও বর্তমান আমীরসহ ৬ শীর্ষ নেতা ও দুই বিএনপি নেতার বিচার চলছে।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম/এলএইচ/কেটি/জেকে/১৬১২ ঘ.